পঙ্গু হয়ে গৃহবন্দি- বিএনপি’র এমন নেতাও গাড়ি পোড়ানো মামলার আসামি!
রাজধানীতে গত বৃহস্পতিবার ৯টি গাড়িতে অগ্নিসংযোগ করা হয়৷ এই ঘটনায় বিএনপির সাড়ে চারশ’ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে ১৪টি (ষড়যন্ত্রমূলক) মামলা দায়ের হয়েছে৷ ইতোমধ্যে ৩২ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ৷ এর মধ্যে ২৮ জনকে রিমান্ডে নেয়া হয়েছে৷ আরো অনেক অজ্ঞাতনামা আসামীদের বিরুদ্ধেও (ষড়যন্ত্রমূলক) মামলা দায়ের করা হয়েছে৷
রাজধানীর বিভিন্ন থানায় দায়ের করা (ষড়যন্ত্রমূলক) মামলা বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, করোনায় আক্রান্ত হয়ে আইসোলেশনে, হাসপাতালে চিকিৎসাধীন, পঙ্গু হয়ে গৃহবন্দি- বিএনপি’র এমন নেতাদেরও মামলার আসামি করা হয়েছে৷ মামলার তালিকায় আছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, বিভাগীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মাশুকুর রহমান, যুবদলের সাধারণ সম্পাদক সুলতান সালাহ উদ্দিন টুকুসহ অনেক নেতাকর্মী৷
বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স বলেন, ‘সরকারি দল গতানুগতিক ধারায় এই মামলা করেছে৷ এই ঘটনার সঙ্গে বিএনপি নেতাকর্মীদের কোনো সম্পৃক্ততা নেই৷ অথচ আমাদের এমন সব নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মামলা দেয়া হয়েছে, যাদের অনেকেই ঘর থেকে বের হতে পারেন না৷ স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বাসা থেকেই বের হন না৷ করোনায় আক্রান্ত হয়ে ইশরাক হোসেন আইসোলেশনে আছেন৷ ওই দিন প্রেস কনফারেন্সে আমার পাশে বসা বিএনপির বিভাগীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মাশুকুর রহমান, যুবদলের সাধারণ সম্পাদক সুলতান সালাহ উদ্দিন টুকু সপরিবারে করোনায় আক্রান্ত হয়ে আইসোলেশনে আছেন৷
এছাড়াও, যুবদলের ভাইস প্রেসিডেন্ট জাকির হোসেন সিদ্দিকী কিছুদিন আগে সাংগঠনিক কাজে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় গিয়েছিলেন৷ সেখানে পুলিশি নির্যাতনের শিকার হন তিনি৷ তার হাত-পা ভেঙে গেছে৷ গত ১৫ দিন যাবত তিনি ল্যাব এইড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন৷ আরেক ভাইস প্রেসিডেন্ট, মোনায়েম মুন্না ও নুরুল ইসলাম নয়ন, করোনায় আক্রান্ত৷ এছাড়া যুবদলের আরেক ভাইস প্রেসিডেন্ট জাকারিয়া মনজু দুই বছর যাবত পঙ্গুত্ব বরণ করেছেন৷ তিনি বাড়ি থেকে বের হতে পারেন না, চলাফেরাও করতে পারেন না৷ অথচ তাকেও এই গাড়ি পোড়ানো মামলার আসামি করা হয়েছে৷’