ট্রাম্পের পরাজয় কর্তৃত্ববাদী শাসকদের জন্য দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে: আমির খসরু
বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য মনে করেন, ট্রাম্পের পরাজয়ের মূল কারণ হচ্ছে কর্তৃত্ববাদ। বিগত বছরগুলোতে আমেরিকায় কর্তৃত্ববাদী শাসন চলেছে। যা দেখে বাংলাদেশসহ বিশে^র যেসব দেশে কর্তৃত্ববাদী শাসক রয়েছেন তারা এতোদিন উৎসাহিত হয়েছেন। কিন্তু জো বাইডেনের বিজয়ে আমেরিকা এই জায়গা থেকে বেরিয়ে আসতে পেরেছে।
আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, আমেরিকার রাজনীতির একটা ঐতিহ্য বা কালচার হলো তারা একে অন্যকে সম্মান দিয়ে কথা বলে। তারা কারও সম্মানহানি হয় এমন কোনো কথা বলেন না বা বিষেদাগার করেন না। কিন্তু ট্রাম্প রাষ্ট্রপতি থাকাকালীন এই রেস্পেক্টের জায়গা থেকে বেরিয়ে এসেছিল।
তিনি বলেন, বাংলাদেশসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে যারা গণতন্ত্র, হিউম্যান রাইটস এর জন্য লড়াই করছে তারা এই কর্তৃত্ববাদী শাসনের অবসান চায়।
বিএনপির ফরেন উইংয়ের প্রধান বলেন, আমেরিকার যে ফরেন পলিসি যেমন ডেমোক্রেসি, হিউম্যান রাইটস এগুলোকে ট্রাম্প ধ্বংস করতে পারেননি। আর এ কারণেই বাংলাদেশের নির্বাচনকে তারা প্রশ্নবিদ্ধ করেছে, গেল নির্বাচনের বিষয়ে ইনভেস্টিগেশনের কথা বলেছে।
তিনি বলেন, বেগম খালেদা জিয়াকে জেলে পাঠানো রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে স্টেট ডিপার্টমেন্টের রিপোর্টে বলেছে। বাংলাদেশে যে গুম-খুনের কালচার শুরু হয়েছে এটার বিরুদ্ধে আমেরিকার ১০ জন সিনেটর যারা এর সঙ্গে জড়িত তাদের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞার জন্য প্রসেস শুরু করেছে। সুতরাং প্রশাসনের সময় সীমিত আকারে হলেও অনেকগুলো বিষয় তারা বলেছে এবং এগুলো এখনও প্রসেসে আছে।
আমির খসরু বলেন, বিএনপির সঙ্গে সব দলের সম্পর্ক ভাল রয়েছে। এখানে বেশ কিছু ফান্ডামেন্টাল ইস্যু রয়েছে। গণতন্ত্র-মানবাধিকার-আইনের শাসন-মৌলিক অধিকার এগুলো বাংলাদেশে প্রশ্নবিদ্ধ। বাংলাদেশে যা হচ্ছে এটা কোন সভ্য দেশে হতে পারে না।
বিএনপির ফরেন পলিসি পিছিয়ে আছে এ প্রসঙ্গে এই নীতিনির্ধারক বলেন, যারা এই ধরনের রিপোর্ট করেন তারা অনেকে জেনে করেন আবার অনেকে ফরেন পলিসি সম্পর্কে না জেনেই করেন তাই এ বিষয়ে কিছু বলতে চাই না।