চাকরির প্রলোভনে ধর্ষণের চেষ্টা, মৎস্যজীবী লীগের ২ নেতার বিরুদ্ধে মামলা
চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে যৌন হয়রানি ও ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগে বাংলাদেশ মৎস্যজীবী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক রেজওয়ান আলী খানসহ দুজনের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে।
বুধবার ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৯ -এর আদালতে এ মামলা দায়ের করেন ভিকটিম। আদালত ভিকটিমের জবানবন্দি গ্রহণ করে ভাটারা থানার ওসিকে এজহার গ্রহণের নির্দেশ দেন।
এ মামলার অপর আসামি হলেন আওয়ামী লীগের সুনামগঞ্জ জেলার ধর্মপাশা উপজেলার যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শামীম আহমেদ মুরাদ।
উল্লেখ্য, আসামি শামীম আহমেদ মুরাদের সাথে বাদির পূর্ব পরিচয় ছিল। সে কারণে গত ২৭ অক্টোবর চাকরির আশায় আসামি মুরাদের সাথে বাদি যোগাযোগ করেন। অতঃপর বাদিকে আসামি মুরাদ অপর আসামি রেজওয়ান আলী খানের বসুন্ধরা অফিসে দেখা করতে বলেন।
এরপর কাজ পাওয়ার উদ্দেশ্যে গত ১ নভেম্বর সকাল সাড়ে ১০টার দিকে বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় পৌঁছানার পর আসামি মুরাদকে দেখতে পান। কিন্তু তার দেয়া ঠিকানায় বাদি কোনো অফিস দেখতে পাননি। সেখানে অফিসের পরিবর্তে একটি ফ্ল্যাট বাসা দেখতে পান বাদি। এরপর আসামি মুরাদ তাকে বলে স্যার (রেজওয়ান আলী খান) ভিতরের রুমে আছেন। এরপর বাদি রুমে প্রবেশ করা মাত্রই কোনো কিছু বুঝার পূর্বেই তার ওপর দুই আসামি ঝাপিয়ে পড়েন এবং তার ওপর যৌন নির্যাতনসহ ধর্ষণের চেষ্টা করেন। এই ঘটনায় বাধ্য হয়ে ভুক্তভোগী আদালতে মামলা দায়ের করেন।