স্বামীর সঙ্গে ঝগড়া মিটমাটের কথা বলে গৃহবধূকে ধর্ষণ
চট্টগ্রামে স্বামীর সঙ্গে ঝগড়া মিটিয়ে দেওয়ার কথা বলে এক গৃহবধূকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে তার প্রতিবেশীর বিরুদ্ধে।
শনিবার (৭ নভেম্বর) লালখান বাজার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত মো. মনির হোসেনকে (৩৩) আটক করেছে পুলিশ। এ ছাড়া ওই নারীকে হেনস্থা ও টাকা ছিনিয়ে নেওয়ায় মাসুদ (২০), দিদার (২২) ও সোহেল (২৪) নামের তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
পুলিশ জানায়, নির্যাতিত নারীকে ধর্ষকের সঙ্গে বিয়ে দেওয়ার চেষ্টায় ব্যর্থ হয়ে স্থানীয় কয়েক যুবক ওই নারীকে মারধর করে। তার কাছ থেকে টাকাপয়সা কেড়ে নেওয়া হয় বলে জানিয়েছে পুলিশ।
চট্টগ্রাম নগর পুলিশের সহকারী কমিশনার (বায়েজিদ জোন) পরিত্রাণ তালুকদার বলেন, নির্যাতিত নারী স্বামীর সঙ্গে চট্টগ্রামের লালখান বাজারের মতিঝর্ণা এলাকায় থাকতেন। মাসখানেক আগে নিজেদের মধ্যে ঝগড়া হলে তারা বাসা ছেড়ে দিয়ে কুমিল্লায় চলে যান। কিছুদিন পর স্ত্রীর সঙ্গে মনোমালিন্যের জেরে তার স্বামী আবার চট্টগ্রামে ফিরে আসেন। নির্যাতিতার বরাত দিয়ে তিনি আরো বলেন, গত শুক্রবার (৬ নভেম্বর) মনির হোসেন নামে চট্টগ্রামের এক প্রতিবেশি ওই নারীকে জানান, তার স্বামী চট্টগ্রামে আছে। স্বামীর সঙ্গে মিটমাট করে দেবে, এমন কথা বলে তাকে চট্টগ্রামে আসতে বলেন মনির। এ আশ্বাসে সন্ধ্যায় ওই নারী চট্টগ্রামে এসে মনিরের বাসায় ওঠেন। পরে শনিবার সকালে মনিরের স্ত্রী চাকরিতে গেলে তিনি ওই নারীকে ছুরির ভয় দেখিয়ে ধর্ষণ করেন।
খুলশী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহীনুল ইসলাম বলেন, ঘটনার পর ওই গৃহবধূ মনিরের বাসা থেকে বের হয়ে গেলেও ফেলে যাওয়া বোরকা নিতে দুপুরে আবার সেখানে যান। এ সময় স্থানীয় কয়েক যুবক তার সঙ্গে মনিরের বিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করে। কিন্তু ওই নারী রাজি না হওয়ায় মারধর করে তার টাকাপয়সা ছিনিয়ে নেয়।
তিনি আরো বলেন, পরে ওই গৃহবধূ প্রতিবেশি এক নারীকে নিয়ে থানায় এসে মারধরের অভিযোগ করলেও ধর্ষণের বিষয়টি গোপন করেন। থানার দায়িত্বরত কর্মকর্তা তাকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে গিয়ে চিকিৎসা সনদ নিয়ে থানায় আসার পরামর্শ দেন।
জানা গেছে, হাসপাতালে যাওয়ার পর তিনি চিকিৎসককে ধর্ষণের ঘটনা জানান। পরে তাকে ওসিসিতে ভর্তি করা হয়। হাসপাতাল থেকে তথ্য পেয়ে পুলিশ আটজনের বিরুদ্ধে মামলা রেকর্ড করে।
পরে শনিবার রাতেই ডবলমুরিং এলাকায় অভিযান চালিয়ে অভিযুক্ত ধর্ষক মনিরকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তার বাসা থেকে ছুরিও উদ্ধার করা হয়। আজ রোববার ভোরের দিকে লালখান বাজার এলাকায় অভিযান চালিয়ে আরও তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। ওসি শাহীনু ইসলাম জানান, মনিরের বিরুদ্ধে অস্ত্র আইনেও একটি মামলা করা হবে।