মানুষের ভোটাধিকার ফিরিয়ে দেয়ার জন্য ও গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার জন্য মাঠে আছি থাকব: জাহাঙ্গীর
ঢাকা-১৮ আসনের উপ-নির্বাচনে লেভেল প্লেইং ফিল্ড নেই অভিযোগ করে বিএনপির প্রার্থী এস এম জাহাঙ্গীর হোসেন বলেছেন, নির্বাচন কমিশনও বলে তারা সবকিছু করতে পারছে না। তাদেরও নাকি বাধ্যবাধকতা আছে।নির্বাচনী এলাকায় যেখানে সব ক্ষমতার মালিক ইসি, সেখানে তাদের বাধ্যবাধকতা কী?
রোববার (৮ নভেম্বর) উত্তরা ৯ নম্বর সেক্টরের বিভিন্ন এলাকায় গণসংযোগ শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি।
এস এম জাহাঙ্গীর বলেন, এখানে ভোটের কোনো সুষ্ঠু পরিবেশ নেই। আওয়ামী লীগ ঘরে ঘরে, রাস্তায় রাস্তায় মাইক বাজায়। আর আমাদের অফিসেও মাইক বাজাতে দেয় না। দুদিন আগে আমাদের মাইক ভাঙচুর করেছে। সিইসি নিজেও বলছেন, ‘এখানে সবকিছু করতে পারছি না, আমাদের নিজেদেরও বাধ্যবাধকতা আছে’। তাদের বাধ্যবাধকতা কী? পুলিশ আমাদের সাথে কথা বলে না। বললেও বলে উপরে যান। নির্বাচনী এলাকায় সব ক্ষমতার অধিকারী হলো সিইসি। সেখানে সিইসি যদি অপারগতা প্রকাশ করেন, তাহলে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড কীভাবে থাকে? এখানে কোনো অবস্থায় লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নেই, নির্বাচনেরও পরিবেশ নেই। শুধুমাত্র গণতন্ত্রের স্বার্থে গণতন্ত্র রক্ষার চেষ্টা করে যাচ্ছি।
বিএনপির এই প্রার্থী আরও বলেন, আজ আমাদের ৪৭ ও ৪৮ নম্বর ওয়ার্ড থেকে গণসংযোগ শুরু হওয়ার কথা ছিল। পুলিশ প্রশাসনের কাছে আমরা আবেদনপত্র পাঠিয়েছিলাম, তারা গ্রহণ করেনি। আমরা শুরু থেকেই পুলিশের অনুমতি নিয়ে কর্মসূচি দিলেও একই স্থানে পাল্টা কর্মসূচি দিয়ে যাচ্ছে আওয়ামী লীগ। আপনারা দেখেছেন আমরা সংঘাত এড়াতে অনুমতি পাওয়ার পরও সেসব স্থানে গণসংযোগ এড়িয়ে চলছি।
বেলা সাড়ে ১১টায় উত্তরা ৯ নম্বর সেক্টরের নিজ নির্বাচনী কার্যালয় থেকে কয়েক হাজার নেতাকর্মী সঙ্গে নিয়ে গণসংযোগ শুরু করেন এস এম জাহাঙ্গীর। এরপর আব্দুল্লাহপুরসহ উত্তরা ৯ নম্বর সেক্টরের বিভিন্ন সড়কে গণসংযোগ শেষে ১২ নম্বর সড়কে শহীদ ক্যাডেট স্কুল অ্যান্ড কলেজের সামনে বিপুলসংখ্যক নেতাকর্মী ও সমর্থকদের উপস্থিতিতে সংক্ষিপ্ত পথসভায় বক্তব্য রাখেন তিনি।
এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা হাবিবুর রহমান হাবিব, সাবেক সংসদ সদস্য নাজিম উদ্দিন আলম, ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি রাজীব আহসান, যুবদলের সিনিয়র সহ-সভাপতি মোরতাজুল করীম বাদরু, গাজীপুর মহানগর বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক সুমন সরকার, উত্তরের স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি ফখরুল ইসলাম রবিন, পশ্চিম ছাত্রদলের সভাপতি কামরুজ্জামান জুয়েল, মহিলা দলের তাহমিনা আফরিন নিতা, বিএনপির মহানগর নেতা এস আই টুটুলসহ বিপুলসংখ্যক নেতাকর্মী।