অপশক্তিকে পরাজিত করতে ‘দেশ বাঁচাও -মানুষ বাঁচাও’ শ্লোগানে, সবাইকে জেগে উঠতে হবে: তারেক রহমান
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন,.’২১ আগস্ট’ এবং কথিত ‘ওয়ান-ইলেভেন’ একই সূত্রে গাঁথা। একটি ‘ওয়ান-ইলেভেন’ এর নাটক মঞ্চস্থ করার জন্যই পরিকল্পতিভাবে ঘটানো হয়েছিলো ‘২১ আগষ্টের ঘটনা’। ৭৫ সালের নভেম্বরের পরাজিত অপশক্তি যারা তখন দেশকে উল্টো পথে নিতে ব্যর্থ হয়েছিল তারা ২০০৭ সালের কথিত ‘ওয়ান-ইলেভেনে’র মাধ্যমে সফল হয়।
৭ই নভেম্বর জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে গতকাল শনিবার বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট রিসার্চ সেন্টার আয়োজিত ভার্চুয়াল আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান এসব কথা বলেন। সভায় সভাপতিত্ব করেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
বিএনপি’র প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানি’র পরিচালনায় আয়জিত এ অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন বিএনপি’র জাতীয় স্থায়ী কমিটি’র সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ,ব্যারিস্টার জমির উদ্দিন সরকার, মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ড. আব্দুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান,আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, সেলিমা রহমান, ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু, বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ, অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক মাহবুব উল্লাহ এবং বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টি’র চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল অবঃ সৈয়দ মোহাম্মাদ ইব্রাহিম।
সভায় তারেক রহমান বলেন, বাংলাদেশের জাতীয়তাবাদী শক্তির কাছে, গণতন্ত্রকামী মানুষের কাছে, বাংএদেশের পক্ষের শক্তির কাছে, ৭ ই নভেম্বর প্রেরণার বাতিঘর । তিনি বলেন, সাম্য-মানবিক মর্যাদা-ন্যায় বিচার এই মূল্যবোধে উজ্জীবিত হয়ে লাখো মানুষের জীবনের বিনিময়ে অর্জিত হয়েছিলো স্বাধীন বাংলাদেশ। কিন্তু গুম, খুন, দুর্নীতি, দুরাচার, তৎকালীন নেতৃত্বের সীমাহীন ব্যর্থতা, সেনাবাহিনীর অস্তিত্ব বিরোধী তৎপরতায় লিপ্ত হওয়া, ক্ষমতার ভাগবাটোয়ারা নিয়ে আওয়ামী-বাকশালী চক্র এবং তাদের দোসর তথা সেই অপশক্তির স্বেচ্ছাচারিতার কারণে যাত্রার শুরুতেই পথ হারায় স্বাধীনতাত্তোর বাংলাদেশ, বলেন তারেক রহমান।
তারেক রহমান বলেন, গণতন্ত্রহীন অন্ধকারে নিমজ্জিত বাংলাদেশ, বাক স্বাধীনতা হারানো বাংলাদেশ, সন্ত্রাস ও দুর্নীতিবাজদের কাছে পরাস্ত বাংলাদেশ, দিক নির্দেশনাহীন বাংলাদেশ, ১৯৭৫ সালের ৭ নভেম্বর আলোর দিশা পেয়েছিলো । ঐতিহাসিক ৭ ই নভেম্বর দিনটিকে ভিত্তি করেই, মূলত: ‘সাম্য-মানবিক মর্যাদা-ন্যায় বিচার’, মুক্তিযুদ্ধের এই মূলমন্ত্রে বাংলাদেশ প্রথমবারের মতো যাত্রা শুরু করতে পেরেছিলো। এ কারণেই বাংলাদেশের পক্ষের শক্তির কাছে৭ নভেম্বর প্রেরণার চেতনার বাতিঘর।
বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষক শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানকে ঐতিহাসিক ৭ নভেম্বরের মহানায়ক উল্লেখ করে
তারেক রহমান বলেন, এ কারণেই ১৯৭৫ সালের ৭ নভেম্বরের পরাজিত অপশক্তি ‘স্বাধীনতার ঘোষক’কে ভয় পায়, এ কারণেই ‘স্বাধীনতার ঘোষক’ সম্পর্কে ৭৫ এর পরাজিত অপশক্তি অপপ্রচার চালায়।
তিনি আরো বলেন, ৭৫ এর ৭ নভেম্বরের সেই পরাজিত অপশক্তি মহাজোটের নামে একজোট হয়ে আবারো দেশের স্বার্থ বিরোধী তৎপরতায় লিপ্ত হয়েছে, জাতীয়তাবাদী শক্তির বিরুদ্ধে অপপ্রচারে লিপ্ত হয়েছে, স্বাধীনতার ঘোষকের বিরুদ্ধে মিথ্যাচার চালিয়ে যাচ্ছে, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে ।
আলোচনা সভায় তারেক রহমান বলেন, দেশপ্রেমিক সিপাহী জনতার সম্মিলিত প্রতিরোধ আর বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষকের সাহসী নেতৃত্বের কারণে ৭৫ সালের পরাজিত অপশক্তি সেদিন দেশের সার্বভৌমত্ব বিকিয়ে দিতে ব্যর্থ হয়েছিল, স্বাধীন দেশের গৌরবের প্রতীক সেনাবাহিনীকে ধ্বংস করে দিতে ব্যর্থ হয়েছিল।
তারেক রহমান আরো বলেন, সময়ের পরিপ্রেক্ষিতে দূরদর্শী নেতা জিয়াউর রহমান উপলব্ধি করেছিলেন, দেশের স্বার্থের পক্ষে একটি একটি সুসংগঠিত রাজনৈতিক শক্তি না থাকলে, দেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব সুসংহত থাকবেনা, প্রতিষ্ঠান হিসেবে সেনাবাহিনী শক্তিমান থাকবেনা, তাই কোনো দেশি-বিদেশী অপশক্তি যাতে দেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্বের বিরুদ্ধে দাঁড়াতে না পারে, দেশের স্বার্থ বিরোধী অপতৎপরতায় লিপ্ত হতে না পারে, .সেই ইতিবাচক চিন্তা থেকেই স্বাধীনতার ঘোষক জিয়াউর রহমান দেশ এবং জনগণের স্বার্থে গঠন করেছিলেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি। সেই আদর্শ ও চেতনাকে ধারণ করেই দেশি-বিদেশী নানা ষড়যন্ত্র মোকাবেলা করে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে এগিয়ে যেতে থাকে বাংলাদেশ কিন্তু দেশের স্বার্থবিরোধী অপশক্তির এটি পছন্দ ছিলোনা ফলে দেশপ্রেমিক জাতীয়তাবাদী শক্তি আর সেনাবাহিনী, ৭৫ এর পরাজিত অপশক্তি আর তাদের দেশি বিদেশী দোসরদের টার্গেটে পরিণত হয়।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, জাতীয়তাবাদী শক্তির ঐক্যের প্রতীক দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে দুর্বল করতেই অত্যন্ত সুপরিকল্পতিভাবে ৭৫ এর পরাজিত অপশক্তির ইন্ধনে সংঘটিত হয় ‘২১ আগস্ট’। তারেক রহমান বলেন, এটি ভুলে গেলে চলবেনা , ‘২১ আগস্ট’ এবং কথিত ‘ওয়ান-ইলেভেন’ একই সূত্রে গাঁথা। একটি ‘ওয়ান-ইলেভেন’ এর নাটক মঞ্চস্থ করার জন্যই পরিকল্পতিভাবে ঘটানো হয়েছিলো ‘২১ আগষ্টের ঘটনা’। ৭৫ সালের নভেম্বরের পরাজিত অপশক্তি যারা তখন দেশকে উল্টো পথে নিতে ব্যর্থ হয়েছিল, তারা ২০০৭ সালের কথিত ‘ওয়ান-ইলেভেনে’র মাধ্যমে সফল হয়।
তারেক রহমান বলেন, কথিত ‘২১ আগষ্ট’ আর ‘ওয়ান ইলেভেনের’ নামে ষড়যন্ত্রের পথ ধরে রাষ্ট্র ক্ষমতা দখল করে ৭৫ এর পরাজিত অপশক্তি।
এই অপশক্তি এখন পরাজয়ের প্রতিশোধ নিচ্ছে, জাতীয়তাবাদী শক্তির বিরুদ্ধে প্রতিশোধ নিচ্ছে, সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে প্রতিশোধ নিচ্ছে। …
২০০৯ সালের ফেব্রুয়ারী মাসে বিডিআর পিলখানায় সুকৌশলে ৫৭ জন সেনা কর্মকর্তাকে হত্যাযজ্ঞ ছিল সেই প্রতিশোধেরই অংশ।
তিনি আরো বলেন, দুর্ভাগ্য বাংলাদেশের, সেনাবাহিনীর ৫৭ জন কর্মকর্তা হত্যার নির্মম হত্যাযজ্ঞের দিনটি প্রতিবছর নীরবে নিভৃতে চলে যায়
অথচ বাংলাদেশের ইতিহাসে ২৫ ফেব্রুয়ারী ‘জাতীয় শোক দিবস’ হিসেবে পালন করা উচিত বলেই দেশপ্রেমিক জনগণ মনে করে।
দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া সম্পর্কে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেন, মিথ্যা মামলা দিয়ে আদালতকে ব্যবহার করে জাতীয়তাবাদী শক্তির ঐক্যের প্রতীক দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে ষড়যন্ত্রমূলকভাবে জনগণের কাছ থেকে দূরে রাখার অপচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। কিন্তু দেশনেত্রীর স্বাভাবিক পথচলায় বাধা সৃষ্টি করে ‘৭৫ এর পরাজিত অপশক্তি লাভবান হলেও ক্ষতি হয়েছে বাংলাদেশের, ক্ষতি হচ্ছে দেশপ্রেমিক জনগণের। ক্ষতি হচ্ছে বাংলাদেশের রাজনীতির -রাষ্ট্র ব্যবস্থার। এটাই সত্য এটাই বাস্তবতা
তারেক রহমান আরো বলেন, সেনাবাহিনী, সশস্র বাহিনী ছিল দেশের গৌরবজনক প্রতিষ্ঠান অথচ জনগণ এখন কি দেখছে ? কি শুনছে?
এখন দেখা যাচ্ছে, কারা, কে, কোথায়, কেন, কিভাবে, কি উদ্দেশ্যে, উচ্চপদস্থ সেনা কর্মকর্তা নিয়োগ করছে এসব নিয়ে চলছে রসালো আলোচনা, এসব নিয়ে বই লেখা হয়, দলিল প্রমানসহ আলোচনা হয় সোশ্যাল মিডিয়ায়।
তিনি বলেন, এখানেই শেষ নয়, বেরিয়ে আসছে সরকার কিভাবে সেনাবাহিনীর হাতেগোনা কিছু অসৎ কর্মকর্তাকে দিয়ে বিরোধী দল ও মতের মানুষকে গুম খুনে লিপ্ত রয়েছে। সেনাবাহিনীর দুই কর্মকর্তা বিরোধী দল ও মতের মানুষকে গুম খুন অপহরণ করছে এমন স্বীকারোক্তি দিচ্ছেন খোদ উচ্চপদস্থ সেনা কর্মকর্তা। দেশের গৌরবজনক প্রতিষ্ঠান সেনাবাহিনীর বর্তমান বেহাল অবস্থা মেনে নেয়া জনগণের জন্য কষ্টকর।
বক্তব্যে তারেক রহমান বলেন, সেনাবাহিনীর কর্মকর্তা পরিচয় দেয়ার পরও একজন মেজর সিনহাকে ঠান্ডা মাথায় গুলি করে হত্যা করা হয়।
নৌ বাহিনীর কর্মকর্তা পরিচয় দেয়ার পরও স্ত্রীর সামনেই তাকে পিটিয়ে দাঁত ফেলে দেয়া হয়। এমন বাংলাদেশ অতীতে কি আর কেউ কখনো দেখেছে? দেখেনি।
তারেক রহমান বলেন, নৌ বাহিনীর একজন কর্মকর্তাকে তার স্ত্রীর সামনেই প্রকাশ্যে রাজপথে পেটানোর পর নিশিরাতের এক এমপির বাসায় অভিযান চালায় আইনশৃঙ্খলাবাহিনী। অভিযানে নিশিরাতের এমপির বাসায় আবিষ্কার হয় ‘মিনি ক্যান্টনমেন্ট’। ওই মিনি ক্যান্টনমেন্টে গুলি-বন্দুক-ওয়াকিটকি-টর্চার সেল সবই আছে. খোদ রাজধানীতে এক ব্যক্তির বাসায় এই ‘মিনি ক্যান্টনমেন্টে’র খবর কি গোয়েন্দাবাহিনী আগে জানতোনা ?
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, জনগণের ভোটের অধিকার কেড়ে নিয়ে নিশিরাতের এমপিরা এভাবেই নিজেদের বাসায় ‘মিনি ক্যান্টনমেন্ট’ বানিয়ে জনগণকে বন্দি করে রেখেছে। দেশের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীও কার্যত: এইসব ‘মিনি ক্যান্টনমেন্টে’র মালিকদের কাছে জিম্মি।
তারেক রহমান বলেন, কতজন ‘মেজর সিনহা’ জীবন দিলে কিংবা কয়জন ‘লেফটেন্যান্ট ওয়াসিফ’ প্রহৃত হলে দেশের আইনশৃঙ্খলাবাহিনী জনগণের পক্ষে দাঁড়াবে? নিশিরাতের এমপি সাইনবোর্ডধারী এইসব দুর্বৃত্তদের মালিকানাধীন ‘মিনি ক্যান্টনমেন্টে’ অভিযান চালাবে, জনগণ জানতে চায়.?
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেন, একজন মাত্র ব্যক্তির ক্ষমতা লিপ্সার কারণে বর্তমানে দেশের চরিত্র নষ্ট করে দেয়া হয়েছে। দেশের রাজনীতির চরিত্র নষ্ট করে দেশটাকে পরিণত করা হয়েছে ‘রঙ্গমঞ্চে’।
তারেক রহমান বলেন, শুধু সেনাবাহিনীই নয় দেশের প্রতি প্রতিষ্ঠানই এখন ধ্বংস প্রায়। সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান নির্বাচন কমিশন বর্তমানে কয়েকটা অপদার্থ -মেরুদন্ডহীন প্রাণীর আস্তানায় রূপান্তরিত হয়েছে। বিচারালয়কে পরিণত করা হয়েছে স্রেফ নাট্যশালায়। আদালতের হুকুম তামিল নয় বরং আদালতই এখন স্রেফ নিশিরাতের সরকারের হুকুম তামিল করে। দেশের আরেক সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান দুদকে’র গোপাল ভাঁড়দের’ কাজ হচ্ছে নিশিরাতের সরকারের দুর্নীতিবাজদের দুর্নীতির পাহারা দেয়া। আর যদি কোনো কারণে সরকারি দলের কোনো দুর্নীতিবাজ ধরা পড়ে তখন ফাইল নিয়ে লোক দেখানো ছুটোছুটি করা।
তারেক রহমান আরো বলেন, সংবাদপত্রের স্বাধীনতার কথা যত কম আলোচনা করা যায় ততই ভালো। কারণ গণতন্ত্র আর সংবাদপত্রের স্বাধীনতা এই দুইটা বিষয় আওয়ামী লীগের সঙ্গে যায়না। যে দেশে সাংবাদিক সাগর-রুনি দম্পতির হত্যাকাণ্ডের বিচার হচ্ছেনা, সেখানে দেশে গণমাধ্যমের স্বাধীনতা কতখানি আছে এই প্রশ্ন করাও অবান্তর।
দেশের চলমান পরিস্থিতি উল্লেখ করে তারেক রহমান বলেন, দেশ এখন এক সময়ের সন্ধিক্ষনে, ভীষণ এক ক্রান্তিকাল অতিক্রম করছে দেশ, গোটা দেশটাকেই পরিণত হয়েছে কারাগারে, শাসন-প্রশাসন চলছে বন্দুকের নলের মুখে। তাই এই মুহূর্তের সবচেয়ে বড়ো প্রশ্ন, গণতন্ত্র, /আইনের শাসন, সাম্য, মানবিক মর্যাদা, সামাজিক মূল্যবোধ সব কিছুই কি পরাজিত হবে একজন মাত্র ব্যক্তির ক্ষমতার বিকৃত নেশার কাছে?
মাত্র একজন ব্যক্তির ইচ্ছে অনিচ্ছা কিংবা চাওয়া পাওয়ার কাছে কি পরাজিত হবে ১৮ কোটি মানুষের স্বপ্ন – সাধ – আকাঙ্খা ? নাকি ঘুরে দাঁড়াবে বাংলাদেশ ?
তারেক রহমান আরো বলেন, বাংলাদেশ পরাজিত হতে পারেনা, লাখো কোটি মানুষের স্বাধীনতা বন্দি হতে পারেনা। কারণ ৭১ কিংবা ৭৫ সেই শিক্ষা দেয়না। দেশ প্রেমিক প্রতিটি নাগরিকের প্রতি আহবান জানিয়ে তারেক রহমান বলেন, মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে অর্জিত এই রাষ্ট্রটি কাউকে ব্যর্থ করতে দেয়া যায়না। এই দেশটা কোনো ব্যক্তির নয়, কোনো দলের নয়। ‘এই দেশটা আমার -আপনার-আমাদের সকলের’ বলেন তারেক রহমান।
তারেক রহমান বলেন, ৭৫ এর নভেম্বরের সেই পরাজিত অপশক্তির কাছে আজ বাংলাদেশ অসহায়, গণতন্ত্র অসহায়, হুমকির মুখে দেশের সার্বভৌমত্ব। তাই ৭৫ এর পরাজিত অপশক্তিকে পরাজিত করতে ‘দেশ বাঁচাও -মানুষ বাঁচাও’ শ্লোগানে, সবাইকে জেগে উঠতে হবে। দেশকে সংকট থেকে বাঁচাতে জাতীয়তাবাদী শক্তিকেই দায়িত্ব নিতে হবে, নেতৃত্ব দিতে হবে। এজন্য জাতীয়তাবাদী শক্তির প্রতিটি নেতাকর্মীকে ঐক্যবদ্ধভাবে প্রস্তুত থাকার আহবান জানান তারেক রহমান।