চীন-ভারত সীমান্ত আলোচনায় অচলাবস্থা, বাড়তে পারে উত্তেজনা

0

পূর্ব লাদাখের লাইন অব অ্যাকচুয়াল কন্ট্রোলের (এলএসি) পাশে ভারতীয় অংশ চশুলে ৬ নভেম্বর চীন ও ভারতের সেনা কমান্ডারদের মধ্যে অষ্টম দফা আলোচনা হবে বলে ভারতীয় সংবাদ মাধ্যম খবর দিয়েছিলো।

এতে আরো বলা হয়, ভারতীয় পক্ষ চীনকে আগে সেনা প্রত্যাহারের জন্য চাপ দিচ্ছে। অন্যদিকে চীনা পক্ষ বলছে যে ভারতীয় সেনারা রাতের অন্ধকারে প্যাংগং সো লেকের দক্ষিণ তীরে যেসব পর্বত চূড়া দখল করেছে সেগুলো মুক্ত করতে হবে। আর দুই সেনাবাহিনীর পুরোপুরি প্রত্যাহারের এটাই পূর্বশর্ত।

দুই পক্ষই অনড় এবং তাদের অবস্থান পরস্পর থেকে অনেক দূরে।

মজার বিষয় হলো, অষ্টম দফা কোর কমান্ডার বৈঠকের আগে ফ্রান্স থেকে কেনা রাফাল জেটের দ্বিতীয় চালানে তিনটি জেট ভারতের জামনগর বিমান ঘাঁটিতে পৌছেছে। ফ্রান্স থেকে ৩৬টি রাফাল কিনেছে ভারত।

ভারতের জরুরি তাগিদে ফ্রান্স এ পর্যন্ত আটটি রাফাল সরবরাহ করেছে। এগুলোর প্রতিটি দাম ২০০ মিলিয়ন ডলারের বেশি। সবগুলো সরবরাহ করতে ২০২২ সাল লেগে যাবে। এগুলো দিয়ে দুটি স্কোয়াড্রন গঠন করবে ভারতীয় বিমান বাহিনী। একটি পাকিস্তান, আরেকটি চীনের জন্য।

ছয় মাসের বেশি সময় ধরে চীনের সঙ্গে ভারতের সামরিক অচলাবস্থা চলছে। গত ছয় মাসের পরিস্থিতির দিকে তাকালে দেখা যাবে ভারতীয় পক্ষ চীনের সঙ্গে পুরোদুস্তুর সংঘাতে লিপ্ত হওয়ার দিকেই এগিয়ে যাচ্ছে। এটা শুধু সীমান্ত এলাকাতেই নয়, অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক ক্ষেত্রেও।

শীত মওসুমের কারণে ভারত ও চীনের আবহাওয়া ক্রমেই খারাপের দিকে যাচ্ছে। ভারত জরুরিভিত্তিতে যুক্তরাষ্ট্রের কাছে থেকে সেকেন্ডহ্যান্ড বা ব্যবহৃত গরম পোশাক ও অন্যান্য শীত নিবারক সরঞ্জাম কিনেছে। এতে বুঝা যায় যে চীনের সঙ্গে সামরিক সংঘাতে যেতে ভারতের আকাঙ্ক্ষায় নড়চড় হয়নি। আর সে কারণে সীমান্তের অচলাবস্থাও নিরসন হচ্ছে না।

চীন কারো সঙ্গে যুদ্ধে যেতে চায় না। তাই বলে কারো ব্লাকমেইলিংকেও ভয় পায় না। অপ্রত্যাশিতে যেকোন কিছু মোকাবেলার জন্য দেশটি প্রস্তুত ও সক্ষম।

বর্তমান অচলাবস্থার প্রেক্ষাপটে বলতে হচ্ছে, প্রথমত আমরা শান্তি রক্ষার জন্য সর্বাত্মক চেষ্টা করে যাবো। দ্বিতীয়ত, আমরা দীর্ঘকাল আলোচনা করে যেতেও প্রস্তুত। এবং তৃতীয়ত, আমরা যুদ্ধকে ভয় পাই না।

ইতিহাসের দিকে তাকালে দেখা যাবে যে গত কয়েক দশকেও চীন-ভারতের সম্পর্কে অনেক উত্থান-পতন হয়েছে। কিন্তু প্রতিবারই তারা সঙ্কট থেকে বেরিয়ে আসতে পেরেছে। বর্তমান সঙ্কট অনেক গুরুতর হলেও দুই পক্ষ যদি ইতিবাচক মনোভাব নিয়ে এগিয়ে আসে, তাহলে এখনো চীন-ভারত সম্পর্কটি সুস্থ পথে ফিরে আসার সম্ভাবনা রয়েছে বলে আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি।

তুমি এটাও পছন্দ করতে পারো

উত্তর দিন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রচার করা হবে না.

WP2Social Auto Publish Powered By : XYZScripts.com