৭ই নভেম্বরের চেতনা হচ্ছে- বহুদলীয় গণতন্ত্র নিশ্চিত করা
আজ ৭ই নভেম্বর।
১৯৭৫ সালের ৭ই নভেম্বর সৈনিক-জনতার ঐতিহাসিক বিপ্লবে আমাদের মাতৃভূমি প্রভাবমুক্ত হয়ে স্বাধীন অস্তিত্ব লাভ করে এবং বহুদলীয় গণতন্ত্রের পথচলা নিশ্চিত হয়। স্বাধীনতার চেতনায় আধিপত্যবাদী শক্তির নীলনকশা প্রতিহত করে এদেশের বীর সৈনিক ও জনতা। জনগণ নতুন প্রত্যয়ে জেগে ওঠে। ৭ই নভেম্বর বিপ্লবের সফলতার সিঁড়ি বেয়েই আমরা বহুদলীয় গণতন্ত্র এবং অর্থনৈতিক মুক্তির পথ পেয়েছি। আইনের শাসন, বাক, ব্যক্তি ও সংবাদপত্রের স্বাধীনতা ফিরে এসেছিল। দেশ, জনগণ, স্বাধিকারসহ স্বাধীনতার চেতনা বিরোধী সুগভীর ষড়যন্ত্র ও চক্রান্তের বিরুদ্ধে ৭ই নভেম্বর সিপাহি-জনতার স্বতঃস্ফূর্ত বিপ্লব সংঘটিত হয়েছিল, এই বিপ্লবের মাধ্যমে জাতি পেয়েছিল যোগ্য নেতৃত্ব জিয়াউর রহমানকে, যিনি ‘৭১-এ জাতির চরম ক্রান্তিলগ্নে মহান স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়ে কিংকর্তব্যবিমূঢ় জাতিকে মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ার দিকনির্দেশনা দিয়েছিলেন। ৭ই নভেম্বরের চেতনা হচ্ছে- বহুদলীয় গণতন্ত্র নিশ্চিত করা।
স্বাধীনতার ঘোষক শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান প্রতিষ্ঠিত দুটো অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয় গণতন্ত্র ও জাতীয় ঐক্য আজ বিপন্ন। অথচ ৭ নভেম্বরের মূল চেতনা ছিল জাতীয় ঐক্য প্রতিষ্ঠা।
বাংলাদেশের আজ ক্রান্তিলগ্নে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির নেতারা নতুন করে জাতীয় ঐক্যের লক্ষ্যে যে আন্দোলন পরিচালনা করছেন, তা ৭ নভেম্বরের চেতনার পরিপূরক। এ চেতনা ও প্রক্রিয়া এগিয়ে নেয়া নাগরিক সাধারণের অবশ্য কর্তব্য।
তাই আসুন বাংলাদেশের সকল বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলো ঐক্যবদ্ধ হয়ে ৭ই নভেম্বরের চেতনাকে ধারণ করে অনির্বাচিত, অবৈধ আওয়ামী সরকারের নাট্যশালার রঙ্গমঞ্চ জনবিস্ফোরণে ভাসিয়ে দিয়ে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার আন্দোলনে রাজপথে ঝাপিয়ে পড়ি এবং স্বাধীনতার সুফল তথা অর্থনৈতিক মুক্তি, শান্তি-শৃঙ্খলা, সাম্য, ন্যায়বিচার ও মানবিক মর্যাদা প্রতিষ্ঠা করি।
-ডালিয়া লাকুরিয়া