দ্বিতীয় বিয়ে নিয়ে কিছু ভেবেছেন? সাফ জবাব শাবনূরের
বাংলা চলচ্চিত্রের অন্যতম সফল নায়িকা শাবনূর ১৯৯৩ সালে ক্যারিয়ার শুরু করার পর দেড় শতাধিক ছবিতে অভিনয় করেছেন। সালমান শাহ, রিয়াজ, ফেরদৌস, শাকিল খান, মান্না ও শাকিব খানের সঙ্গে জুটি গড়ে বহু ছবিতে বক্স অফিস কাঁপিয়েছেন। শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র অভিনেত্রী ক্যাটাগরিতে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার, বাচসাস পুরস্কার ও ১০ বার পেয়েছেন মেরিল প্রথম আলো পুরস্কার।
দেশের এই গুণী অভিনেত্রী বাস্তব জীবনের ছন্দপতনে আছেন এখন। গেল ২৬ জানুয়ারি অস্ট্রেলিয়া প্রবাসী স্বামী অনিক মাহমুদকে ডিভোর্স দেন শাবনূর। এরপর থেকে একমাত্র ছেলে আইজান নিহানকে নিয়ে অস্ট্রেলিয়াতেই আছেন তিনি।
ডিভোর্সের পর একা থাকার অভিজ্ঞতা ও অনুভূতি এবং নতুন কোনও জীবনসঙ্গী খুঁজে নেয়ার প্রসঙ্গে সম্প্রতি গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেন শাবনূর। সেখানেই উঠে আসে অজানা অনেক তথ্য।
নতুন করে জীবনসঙ্গী নিয়ে কিছু ভেবেছেন? এমন প্রশ্নের উত্তরে জনপ্রিয়তার তুঙ্গে থাকা এই ঢালিউড নায়িকা বলেন, ‘ন্যাড়া একবারই বেলতালায় যায়। আমার আর বিয়ে করার ইচ্ছে নেই। বিয়ের শখ পুরোপুরি মিটে গেছে। আমি মনে করি, দুষ্টু গরুর চেয়ে শূন্য গোয়াল ভালো। পরিবারের সবাইকে নিয়ে বেশ ভালোই আছি। জেনেবুঝে আর শান্তি নষ্ট করতে চাই না।’
দ্বিতীয়বার বিয়ে করার জন্য এখনও প্রস্তাব পান শাবনূর। তবে এসব নিয়ে তিনি মাথা ঘামাচ্ছেন না। এ বিষয়ে এক প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘সাধারণ একজন মেয়ে যেখানে প্রস্তাব পায় সেখানে আমার তো প্রস্তাব না পাওয়া কোনও কারণ নেই। আমার কাছেও বিয়ের প্রস্তাব প্রতিনিয়ত আসে। আমি ওসবে মাথা ঘামাই না। আসতেই থাকুক। আমি বাপু ওসবে আর নেই।’
ওই সাক্ষাৎকারে শাবনূর জানিয়েছেন, আপাতত তার বাংলাদেশে আসার কোনও পরিকল্পনা নেই। করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলেই দেশে ফিরবেন। ইউটিউব চ্যানেল খোলা, তার অভিনীত ছবিগুলোর গানের নতুন সংগীতায়োজন করাসহ আরও কিছু ভবিষ্যত পরিকল্পনার কথাও জানান তিনি।
১৯৭৯ সালের ১৭ ডিসেম্বর জন্মগ্রহণ করা শাবনূরের পারিবারিক নাম কাজী শারমিন নাহিদ নূপুর। রুপালি পর্দায় পরিচালক এহতেশাম তার নাম বদলে রাখেন শাবনূর। তিন ভাইবোনের মধ্যে শাবনূর সবার বড়। তার ছোট বোন ঝুমুর ও ভাই তমালও পরিবারসহ অস্ট্রেলিয়ায় থাকেন। তার বাবার নাম শাহজাহান চৌধুরী।
২০১২ সালের ২৮ ডিসেম্বর ব্যবসায়ী পাত্র অনিক মাহমুদকে বিয়ে করেন কোটি পুরুষের স্বপ্নের রানী শাবনূর। বিয়ের পর স্বামীর সঙ্গে অস্ট্রেলিয়ায় বসবাস শুরু করেন এবং সে দেশের নাগরিকত্ব পান। ২০১৩ সালের ২৯ ডিসেম্বর তার ঘর আলো করে এক পুত্র সন্তানের জন্ম হয়। হঠাৎ তাদের সুখের সংসারে ছন্দপতন শুরু হয়। ‘বনিবনা হচ্ছে না’- এমন কারণ দেখিয়ে ২০২০ সালের ২৬ জানুয়ারি ৮ বছরের সংসারের সমাপ্তি টেনে অনিককে তালাক দেন শাবনূর।