‘আওয়ামী লীগ মানে জুয়া ও নারী ধর্ষণকারী দল: মান্না
জনগণকে রাজপথে নামার আহ্বান জানিয়ে নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, ‘গণতন্ত্রের জন্য লড়াই-সংগ্রাম করতে রাজপথে আসেন। ভয় পাবেন না, রাজপথে না আসলে মুক্তি মিলবে না আপনাদের।’
বুধবার (৪ নভেম্বর) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে গণতান্ত্রিক ফোরাম আয়োজিত মানববন্ধনে তিনি এই আহ্বান জানান।
মান্না বলেন, ‘আওয়ামী লীগ মানে জুয়া ও নারী ধর্ষণকারী দল। আওয়ামী লীগ যে গণতন্ত্রের, আন্দোলনের, নির্বাচনের দল ও মুক্তিযুদ্ধের দল ছিল, সেই দল আর নাই। বাংলার জনগণ বাঁচতে চাইলে কাজ একটাই, এই সরকারকে বিদায় করে দেন।’
তিনি আরও বলেন, আওয়ামী লীগ সহজেই কি যাবে? কথায় আছে না, চড়েছে বাঘের পিঠে, নামলেই বাঘ খেয়ে ফেলবে। আর যদি না নামে না খেয়ে মারা যাবে।’
মান্না বলেন, ‘এই সরকার এত বেশি খেয়েছে যে, আর ক্ষুধা লাগার কথা না। কিন্তু ক্ষুধা লেগেছে। যদি না লাগতো, তাহলে গুজবের কাহিনী প্রচার করত না। বাংলাদেশের টেলিভিশন চ্যানেলে কথা বলতে দেয়া হচ্ছে না। বিদেশি টেলিভিশন যেগুলো প্রচার করছে, সেগুলোও বন্ধ করছেন।’ এ গুলোকেও যদি গুজব বলেন, পারলে বন্ধ করে দেন।’
শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার প্রসঙ্গ টেনে মান্না আরও বলেন, ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ করেছেন অথচ এখন পর্যন্ত স্কুল কলেজ বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ রয়েছে। সব চলে কিন্তু আমাদের দেশের শিক্ষা চলে না। সারা পৃথিবীতে করোনার পর খুলে দেয়া হয়েছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। তারা কি শিক্ষার্থীদের ভালোবাসে? তাহলে তো লেখাপড়ার সুযোগ করে দিত।’
তিনি বলেন, ‘নূর হোসেন নভেম্বর মাসে বুকে লিখেছিল স্বৈরাচার নিপাত যাক আর পিঠে লিখেছিল গণতন্ত্র মুক্তি পাক। গুলি করে তখনকার সরকার তাকে মাটিতে শুইয়ে দিয়েছে। আপনারা যতই বক্তৃতা করেন সমাধান হচ্ছে গণতন্ত্র উদ্ধার করা।’
আয়োজক সংগঠনের সভাপতি ভিপি ইব্রাহিম এর সভাপতিত্বে মানববন্ধনে আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপির সহ তথ্য বিষায়ক সম্পাদক কাদের গনি চৌধুরী, সহ প্রান্তিক বিষয়ক সম্পাদক অর্পনা রায়, নির্বাহী কমিটির সদস্য রফিক শিকদার, রাজিয়া আলম, তাঁতী দলের আহ্বায়ক আবুল কালাম আজাদ, মৎস্যজীবী দলের সদস্য সচিব আব্দুর রহিম, মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সহ সভাপতি বীর মক্তিযোদ্ধা ফরিদ উদ্দিন, সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক ইসমাইল হোসেন সিরাজী, কৃষক দলের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য কে এম রকিবুল ইসলাম রিপন প্রমুখ।