বীর মুক্তিযোদ্ধা তরিকুল ইসলামকে দেশবাসী ও বিএনপি চিরদিন শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করবে

0

বীর মুক্তিযোদ্ধা, দেশের অগ্রগণ্য রাজনীতিবিদ, সাবেক মন্ত্রী ও বিএনপি জাতীয় স্থায়ীকমিটির সদস্য জনাব মোঃ তরিকুল ইসলাম এর ২য় মৃত্যুবার্ষিকীতে বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জনাব তারেক রহমান এক বাণী দিয়েছেন-

বাণীতে তারেক রহমান বলেন,“দেশের বরেণ্য রাজনীতিবিদ তরিকুল ইসলাম ছাত্রজীবনে প্রগতিশীল ছাত্র-রাজনীতির সাথে যুক্ত হয়ে মেহনতি মানুষের পক্ষের রাজনীতিতে তিনি ছিলেন একজন অবিসংবাদিত নেতা। ‘৭১ এ দেশমাতৃকার মুক্তির জন্য তিনি লড়াই করেছেন অমিত বিক্রমে। মহান স্বাধীনতার ঘোষক ও বহুদলীয় গণতন্ত্রের প্রবর্তক শহীদ জিয়াউর রহমানের আহবানে সাড়া দিয়ে বিএনপি-তে সম্পৃক্ত হয়ে জাতীয়তাবাদী রাজনীতির উন্মেষ ঘটিয়েছিলেন। সেই থেকে বিএনপি’র সাংগঠনিক শক্তিবৃদ্ধিতে এবং আন্দোলন-সংগ্রামে তিনি ছিলেন সামনের কাতারে। রাজরোষে পড়া সত্ত্বেও তিনি নীতি ও আদর্শ থেকে কখনোই বিচ্যুৎ হননি। দেশ ও দলের স্বার্থে নিষ্ঠাসহকারে দায়িত্ব পালনে তিনি ছিলেন অগ্রপথিক। নিজস্ব মতাদর্শে তিনি ছিলেন নির্ভিক ও প্রত্যয়দৃঢ়। স্বৈরাচারী এরশাদ সরকারের আমলে আদর্শনিষ্ঠ এই নেতার ওপর চালানো হয় চরম অমানবিক নিষ্ঠুরতা, পৈশাচিক শারীরিক নির্যাতন সত্ত্বেও এরশাদবিরোধী গণতান্ত্রিক আন্দোলন থেকে তাঁকে বিন্দুমাত্র টলানো যায়নি। বারবার কারাবরণসহ নিপীড়ণ-নির্যাতন সহ্য করেও নিষ্ঠা ও সাহসিকতার সাথে অগণতান্ত্রিক শক্তির বিরুদ্ধে তাঁর নির্ভিক নেতৃত্ব সহকর্মীদের প্রেরণা যুগিয়েছে। মন্ত্রী হিসেবে দেশের উন্নয়ন ও জনকল্যানমূলক কাজে তিনি নিরপেক্ষ দৃষ্টিভঙ্গি কখনোই বিসর্জন দেননি। যখনই গণতন্ত্র বিপদাপন্ন হয়েছে তখনই স্বৈরাচারের কবল থেকে দেশকে গণতন্ত্রের পথে উত্তরণে মরহুম তরিকুল ইসলাম ঘনিষ্ঠ সহকর্মী হিসেবে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে বলিষ্ঠ ভূমিকা রেখেছেন। দেশবাসী ও বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপি চিরদিন তাঁকে শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করবে।

তাঁর মৃত্যু জাতীয়তাবাদী শক্তির জন্য অপূরণীয় ক্ষতি এবং অত্যন্ত মর্মস্পর্শী। মরহুম তরিকুল ইসলামের ২য় মৃত্যুবার্ষিকীতে আমি তাঁর বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করছি।”

অপর এক বাণীতে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, মরহুম তরিকুল ইসলাম ছিলেন গণমানুষের রাজনীতির সাথে আজীবন যুক্ত। পরবর্তিতে মজলুম জননেতা মাওলানা ভাষানীর অনুসারী হিসেবে ছাত্র রাজনীতি থেকে শুরু করে জাতীয় রাজনীতি পর্যন্ত তিনি সবসময় ছিলেন জনগণের পক্ষে। দেশ ও দশের প্রতি সহমর্মী এই মানুষটি সবসময় নিজ আদর্শে ছিলেন অবিচল। জাতীয়তাবাদী রাজনীতির কল্যাণে গণমানুষের ভাগ্যের পরিবর্তন ঘটিয়ে সামাজিক ন্যায়বিচার ভিত্তিক শোষণমুক্ত সমাজ এবং গণতান্ত্রিক, মানবিক ও কল্যাণমূখী রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠাই ছিল মরহুম তরিকুল ইসলামের রাজনীতির মূল লক্ষ্য। এ লক্ষ্যে তিনি নিরলসভাবে কাজ করেছেন আজীবন। আজীবন সংগ্রামী এই নেতা নিষ্ঠুর নির্যাতন সহ্য করেও কঠিন সিদ্ধান্তে অটুট থাকতেন। তাঁর রাজনীতি দলীয় নেতাকর্মীদেরকে সবসময় অনুপ্রেরণা যোগাবে। মুক্তিযুদ্ধ, স্বৈরাচার ও ফ্যাসিবাদ বিরোধী গণতন্ত্র পূণ:রুদ্ধারের আন্দোলনে এবং বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার অধিকার আদায়ের সংগ্রামে মরহুম তরিকুল ইসলাম এর অবদান অবিস্মরণীয়।

মুক্তিযুদ্ধে বীর মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে দেশমাতৃকার মুক্তিতে তাঁর সাহসী ভূমিকার জন্য জাতি তাঁকে চিরদিন কৃতজ্ঞতাচিত্তে স্মরণ করবে। তাঁর কর্মময় জীবনের সাফল্যের মূলে ছিল আদর্শনিষ্ঠ উদ্যম ও উদ্যোগ। জনঘনিষ্ঠ ও কর্মীবান্ধব রাজনীতিবিদ হওয়ার কারণেই তিনি জনগণ ও দলের সকল পর্যায়ের নেতাকর্মীদের নিকট ছিলেন অত্যন্ত শ্রদ্ধেয় ব্যক্তিত্ব। মরহুম তরিকুল ইসলামের রাজনীতির মধ্যে নিহিত ছিল সমাজ উন্নয়নের মূল শক্তি। বিভিন্ন পর্যায়ে জনপ্রতিনিধি হিসেবে সমাজকল্যানমূলক কাজকেই তিনি অগ্রাধিকার দিয়েছেন। জনাব তরিকুল ইসলামের মৃত্যু বাংলাদেশের রাজনীতিতে এক গভীর শুণ্যতা। আমরা একজন সত্যিকারের অভিভাবককে হারিয়েছি।স্বাধীনতার ঘোষক সাবেক রাষ্ট্রপতি শহীদ জিয়াউর রহমান বীর উত্তম এর জাতীয়তাবাদী দর্শনকে প্রতিষ্ঠিত করা এবং দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া ও দেশনায়ক জনাব তারেক রহমানের নেতৃত্বে স্বৈরাচারের কবল থেকে দেশকে গণতন্ত্রে উত্তরণের সাহসী সংগ্রামে মরহুম তরিকুল ইসলাম এর অবদান দল ও দেশবাসী চিরদিন শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করবে।

মরহুমের ২য় মৃত্যুবার্ষিকীতে আমি তাঁর রুহের মাগফিরাত কামনা করছি।”

তুমি এটাও পছন্দ করতে পারো

উত্তর দিন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রচার করা হবে না.

WP2Social Auto Publish Powered By : XYZScripts.com