সেলুনে শিশুকে ধর্ষণ, দোকানি গ্রেপ্তার
ফেনীর বনানী পাড়ায় সেলুন দোকানে আটকে ১০ বছরের এক শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগে মানিক চন্দ্র দাস (৫৫) নামে একজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। সোমবার সন্ধ্যায় মানিক চন্দ্র দাসকে তার সেলুনের দোকান থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এর আগে বিকালে শিশুটির মা বাদী হয়ে ফেনী মডেল থানায় মামলা দায়ের করেন। মানিক ফেনী সদর উপজেলার কালিদহ ইউনিয়নের পূর্ব সিলোনিয়ার সুরামণি দাসের ছেলে।
আজ মঙ্গলবার আসামিকে আদালতে প্রেরণ করা হবে ও নির্যাতিতা শিশুটির জবানবন্দি গ্রহণ করা হবে বলে জানিয়েছেন ফেনী মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) ওমর হায়দার।
নির্যাতিতা শিশুর মা জানায়, বনানী পাড়া এলাকার জনৈক আরিফ হোসেন মোল্লার ভাড়া বাসায় থাকে শিশুটির পরিবার। এই বাসার একটি ঘরে থাকে সেলুন দোকানি মানিক চন্দ্র দাস। একই বাসায় ভাড়া থাকায় উভয়ে পূর্ব পরিচয় সূত্রে সামান্য হৃদ্যতার সম্পর্ক ছিলো। গত ১৫ই অক্টোবর সেলুন দোকানি মানিক চন্দ্র দাসের স্ত্রী অসুস্থ থাকায় তার জন্য দুপুরে ভাত নিয়ে যায় অপর ভাড়াটিয়ার ১০ বছরের শিশুটি।
এসময় তার সঙ্গে ৮ বছর বয়সী তার ছোট বোনও ছিল।
এদিকে, দুই বোন দোকানে গেলেও কৌশলে মানিক দাস ছোট বোনকে সিঙ্গারা আনার জন্য বাইরে পাঠিয়ে বড় বোনকে রেখে দোকানের দরজা আটকে দেয়। এসময় শিশুটির মা-বাবাকে মেরে ফেলার হুমকি দিয়ে চোখ বেঁধে ধর্ষণ করে দোকানি মানিক। কিছুক্ষণ পর ছোট বোন ফিরে এসে দোকান বন্ধ দেখে দরজায় ধাক্কা দেয়। দরজা খোলার পর বড় বোনকে নগ্ন অবস্থায় দেখতে পায় ছোট বোন।
ঘটনার পর বাসায় ফিরে তারা মা-বাবাকে বিষয়টি জানালে স্থানীয়ভাবে মীমাংসা করে ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা চালায় মানিক। এতে কোন সুরাহা না হওয়ায় স্থানীয়দের পরামর্শে তার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে নির্যাতিতা শিশুটির মা।
ফেনী মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) ওমর হায়দার জানান, ধর্ষণের ঘটনায় মা বাদী হয়ে ২০০৩ সালের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ৯ (১) ধারায় মামলা দায়ের করলে পুলিশ অভিযুক্ত মানিক দাসকে গ্রেপ্তার করেছে। তিনি আরো জানান, নির্যাতিতা শিশুটির শারিরীক পরীক্ষা জন্য সোমবার বিকালে ফেনী জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। একইসঙ্গে অভিযুক্ত মানিক দাসের ডিএনএ পরীক্ষার জন্য নমুনা নিতে গ্রেপ্তারের পর তাকেও হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।