ইসি’র প্রস্তাবিত আইন গণতন্ত্রের জন্য হুমকি
বিএনপি’র মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, নির্বাচন কমিশনের (ইসি) প্রস্তাবিত আইন গণতন্ত্রের জন্য হুমকি। এই আইনে সকল দলের অংশগ্রহণের মাধ্যমে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন বেশ কঠিন হয়ে পড়বে।
গতকাল দুপুরে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশন কর্তৃক প্রস্তাবিত স্থানীয় সরকার নির্বাচন আইন-২০২০ বিষয়ে ইতিপূর্বে নজরুল ইসলাম খানের নেতৃত্বে গঠিত কমিটি বিস্তারিত পর্যালোচনা করে প্রতিবেদন তৈরি করেছে যা স্থায়ী কমিটির বৈঠকে গৃহীত হয়। রোববার বিকালে বিএনপি’র একটি প্রতিনিধিদল এই সংক্রান্ত সুপারিশ ও চিঠি নির্বাচন কমিশনে পৌঁছে দিয়েছে।
এদিকে, মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) এর ব্যঙ্গচিত্র (কার্টুন) প্রকাশের নিন্দা জানিয়ে তিনি বলেন, পবিত্র ধর্ম ইসলাম এবং মহানবী মুহাম্মদ (সা.)-এর ব্যঙ্গ চিত্র (কার্টুন) প্রকাশ ও তার পক্ষে ফ্রান্সের প্রেসিডেন্টের অবস্থান গ্রহণকে কেন্দ্র করে সারা বিশ্বের ২০০ কোটিরও বেশি মুসলমানসহ সকল ধর্ম-বর্ণের কোটি কোটি যুক্তিবাদী ধর্মপ্রাণ মানুষ এবং বিভিন্ন রাষ্ট্র যে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে চলেছে বিএনপি তার সঙ্গে একাত্মতা ঘোষণা করছে। সকল ধর্মের মানুষের ধর্মবিশ্বাসের প্রতি শ্রদ্ধাশীল বিএনপি মনে করে যে, মত প্রকাশের স্বাধীনতার নামে কোনো ধর্মনেতার অবমাননা কোনোভাবেই সমর্থনযোগ্য হতে পারে না। রাসুল (সা.)-এর কার্টুন প্রকাশকে বিএনপি তাই একটি গর্হিত অপরাধ বলে গণ্য এবং তীব্র নিন্দা জানিয়েছে।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, ধর্মীয় সহিষ্ণুতায় বিশ্বাসী বিএনপি মনে করে যে, মহানবী (সা.)-এর কার্টুন প্রকাশ ও তা সমর্থন করা যেমন ধর্মবিদ্বেষকে উস্কে দেয়ার মতো অপরাধ তেমনি প্রতিবাদের ভাষা হিসেবে মানুষ হত্যাও গ্রহণযোগ্য নয়। বিশ্বের শান্তি প্রতিষ্ঠার মহান ব্রত নিয়ে যিনি মানবতার ধর্ম ইসলাম প্রচার করেছেন সেই মহানবী (সা.)-এর দীক্ষাই হোক আমাদের নির্দেশক।
মহাসচিব বলেন, বাংলাদেশ সরকার কোনোটাতে প্রতিবাদ জানায় আর কোনোটাতে জানায় না-এটা বলা দুরূহ। কারণ বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব যেখানে প্রশ্নের সম্মুখীন হয়, সীমান্তে গুলি করে মারা হয় আমাদের নাগরিকদেরকে সে বিষয়ে কিন্তু আমাদের সরকার কোনো প্রতিবাদ জানান না বা প্রতিবাদ করেন না। আজ পর্যন্ত বাংলাদেশের জনগণের যে ইচ্ছা বা আকাঙ্ক্ষা বা তাদের যে সমস্ত চিন্তা-ভাবনা সেগুলোকে লক্ষ্য করে বা সেগুলোকে কেন্দ্র করে সরকার কখনো সেই ধরনের স্ট্যান্ড তারা নেয়নি। আমার মনে হয়, সেই কারণে হয়তো তারা (সরকার) এখন পর্যন্ত কোনো রি-অ্যাকশন দেয়নি। সেটাতে তাদের যে চরিত্র তা পরিষ্কার হয়ে উঠে।
এসময় দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান উপস্থিত ছিলেন।