এই নির্বাচন কমিশন বাংলাদেশের জনগণের নয়, এই নির্বাচন কমিশন আ.লীগের: বিএনপি
স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানগুলোর নির্বাচনের জন্য অভিন্ন আইন তৈরিতে নির্বাচন কমিশনের উদ্যোগের বিরোধিতা করে বিএনপির আইন বিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার কায়সার কামাল বলেছেন, আমাদের কাছে মনে হচ্ছে এই নির্বাচন কমিশন বাংলাদেশের নয়, এটা আওয়ামী লীগের নির্বাচন কমিশন এবং সরকারের নির্বাচন কমিশন। এই নির্বাচন কমিশন যে একটি সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান, সে মর্যাদা তারাই ভূলুণ্ঠিত করছেন।
রোববার (১ নভেম্বর) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি। এর আগে সিটি করপোরেশন, পৌরসভা, উপজেলা, জেলা ও ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন পরিচালনার জন্য অভিন্ন আইন তৈরির বিরোধিতা করে এ সংক্রান্ত ভুল-ত্রুটি তুলে ধরে ৬৬ পৃষ্ঠার এক প্রতিবেদন নির্বাচন কমিশনে জমা দেন তিনি। এসময় বিএনপির যুগ্ম-মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন উপস্থিত ছিলেন।
ব্যারিস্টার কায়সার কামাল বলেন, আওয়ামী লীগের মেনুফেস্টোতে যা যা আছে, এই নির্বাচন কমিশনে তা আছে। এজন্য আমরা বিএনপির পক্ষ থেকে স্পষ্টভাবে বলেছি, এই আইন সময়োপযোগী নয়।
তিনি বলেন, স্থানীয় সরকার নির্বাচনের জন্য ইউনিয়ন পরিষদ আইন আছে। জেলা পরিষদ নির্বাচন আইন আছে। তারা (নির্বাচন কমিশন) প্রত্যেকটি আইনকে একীভূত করে একটা আইন করতে চাচ্ছেন এবং বলছেন, এই আইন সমগ্র বাংলাদেশের জন্য প্রযোজ্য হবে। আপনারা জানেন পার্বত্য জেলাগুলোর স্থানীয় নির্বাচনের জন্য আলাদা আইন আছে। সেগুলোতে কিন্তু তারা পরিবর্তন আনছেন না। প্রস্তাবিত আইনে বলা হচ্ছে, প্রতিরক্ষা বাহিনীকে নিয়োগ করা হবে না। সিটি করপোরেশন ও উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের আইনে ছিল, যদি করপোরেশন ও পরিষদের মেয়াদ শেষ হয়, তবে যথাসময়ে নির্বাচন অনুষ্ঠান হবে। কিন্তু প্রস্তাবিত আইনে বলা হচ্ছে, নির্বাচন কমিশনের ইচ্ছামাফিক নির্বাচন হবে। নির্বাচন কমিশন যদি এই আইন কার্যকর করে, মেয়াদ শেষ হওয়ার পাঁচ বছর পরও নির্বাচন করতে পারবে। মানে তাদের ইচ্ছামাফিক সব কিছু করবে।
প্রসঙ্গত, প্রস্তাবিত এ আইন পাস হলে স্থানীয় সরকারের সব প্রতিষ্ঠানের আইনের সংশোধনী আনার প্রয়োজন হবে। ওই সংশোধনগুলো করবে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়। আইনের খসড়ায় বলা হয়েছে- স্থানীয় সরকার (ইউনিয়ন পরিষদ) আইন-২০০৯, উপজেলা পরিষদ আইন-১৯৯৮, জেলা পরিষদ আইন-২০০০, স্থানীয় সরকার (সিটি করপোরেশন) আইন-২০০৯ ও স্থানীয় সরকার (পৌরসভা) আইন-২০০৯-এ নির্বাচন পরিচালনার জন্য বিভিন্ন অধ্যায় ও ধারা সংযুক্ত রয়েছে। ওইসব আইন থেকে নির্বাচন সংক্রান্ত বিধান আলাদা করতে স্বতন্ত্র আইন করা হচ্ছে।