ধর্মকে সামনে রেখে রাজনৈতিক দুর্বৃত্তরা সুযোগ নিতে চায়
সাধারণ মানুষের ধর্মীয় অনুভূতিকে কাজে লাগিয়ে এক শ্রেণির উন্মত্ত মানুষ নিজেদের ফায়দার জন্য সমাজে অস্থিরতা জিইয়ে রাখতে চায়। ধর্মকে সামনে রেখে যারা রাজনৈতিক দুর্বৃত্তায়ন করে পরিস্থিতির সুযোগ নিতে চায় তারা। আর গুজব-কুসংস্কারের কারণেই অনেকে বুঝতে পারে না যে তারা আসলে কী করছে।
শনিবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টির (বাংলাদেশ ন্যাপ) চেয়ারম্যান জেবেল রহমান গানি ও মহাসচিব এম. গোলাম মোস্তফা ভুইয়া এসব কথা বলেন।
তারা বলেন, কিছু উন্মত্ত মানুষ, সম্মিলিত হয়ে একজনকে দোষী সাব্যস্ত করে সমবেতভাবে পুড়িয়ে ফেলল! এটা কোনো সভ্য সমাজে মেনে নেয়া যায় না। এভাবে গণপিটুনিতে যাদের হত্যা করা হয়েছে তাদের বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগই প্রমাণিত নয়।
নেতৃদ্বয় বলেন, সমাজের কিছু দুষ্টু মানুষ সাধারণ মানুষকে ক্ষেপিয়ে দিয়ে এ ধরনের হত্যাকাণ্ড ঘটিয়ে থাকে। জনতাকে এমন উন্মত্ত করে যারা
তাদের বিচার হয় না। ফলে সমাজে বহাল তবিয়তে রয়ে যায় তারা। তাদেরকেই বিচারের আওতায় আনা উচিত। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই গণপিটুনির শিকার হন দুর্বল ও অসহায় মানুষ। তাদের মধ্যে মানসিক ভারসাম্যহীন, নারী, শারীরিক প্রতিবন্ধী বেশি। লালমনিরহাটের হত্যাকাণ্ডের শিকার ব্যক্তি কিছুটা হতাশ ও মানসিক ভারসাম্যহীন ছিলেন বলে খবর প্রকাশিত হয়েছে।
তারা আরও বলেন, গুজব ছড়িয়ে পড়ে মানুষের মনে আতঙ্ক তৈরি করে এবং সেই আতঙ্ক থেকেই গণপিটুনির ঘটনাগুলো ঘটে। ছেলেধরা গুজবে বহু মানুষের প্রাণ গেছে। রাজনৈতিক প্রতিপক্ষের কারণেও গণপিটুনির শিকার হয়েছেন অনেকে। সঙ্ঘবদ্ধভাবে নিজের হাতে আইন তুলে নেয়া ও পিটিয়ে হত্যা করা ভয়ঙ্কর অপরাধ।
এসব নৃশংস আচরণ আর বরদাশত করা যায় না। সংক্রামক হওয়ার আগেই এই ব্যাধি ঠেকাতে হবে। আইন হাতে তুলে নেয়ার অধিকার কোন ব্যক্তি-গোষ্ঠীরও নেই। নির্লিপ্ত হয়ে বসে থাকার দিন শেষ। গণপিটুনির বিরুদ্ধে গণপ্রতিরোধ যেমন প্রয়োজন, তেমনি দরকার গুজবের বিরুদ্ধে গণসচেতনতা তৈরি করা এবং গণপিটুনিতে অংশগ্রহণকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করা— বলেন ন্যাপ নেতৃদ্বয়।