মহানবী (সঃ) এর আদর্শ অতুলনীয়, তাই তিনি সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ মানব হিসেবে অভিষিক্ত: তারেক রহমান
“আজ ১২ রবিউল আউয়াল। পবিত্র ঈদ-ই-মিলাদুন্নবী। মহান আল্লাহ বিশ্ব জগতের রহমত স্বরূপ ১২ রবিউল আউয়াল হযরত মুহাম্মদ (সঃ)-কে এই জগতে প্রেরণ করেন। আজ সৃষ্টি জগতের আলোকবর্তিকা প্রদর্শনকারী করুণাধারা ধরাপৃষ্ঠে আবির্ভাবের দিন।
বিশ্বনবীর আবির্ভাবে পৃথিবীতে মানুষ ইহলৌকিক ও পরলৌকিক জগতের মুক্তির সন্ধান পায় এবং নিজেদের কল্যাণ ও শান্তির নিশ্চয়তা লাভ করে এবং জগতের সমস্ত পঙ্কিলতা, কুসংস্কার, অন্যায়, নৈরাজ্য, অবক্ষয় ধীরে ধীরে অপসৃত হতে শুরু করে।
মহানবী (সঃ) মানব জাতির জন্য এক আলোক অনুসরণীয় আদর্শ। নিজ যোগ্যতা, সততা, মহানুভবতা, সহনশীলতা, কঠোর পরিশ্রম, আত্মপ্রত্যয়, অসীম সাহস, ধৈর্য্য, সৃৃষ্টিকর্তা আল্লাহ রাব্বুল আলামীনের প্রতি অগাধ বিশ্বাস, নিষ্ঠা ও অপরিসীম দুঃখ যন্ত্রনা ভোগ করে তাঁর উপর অবতীর্ণ সর্বশ্রেষ্ঠ মহাগ্রন্থ আল-কোরআনের বাণী তথা তওহীদ প্রতিষ্ঠার মহান দায়িত্ব পালন করেন। তিনি আইয়ামে জাহেলিয়াতের অন্ধকার যুগ দুর করে অত্যাচার ও জুলুম-নির্যাতন বরণ করে সত্য ও ন্যায়কে সুপ্রতিষ্ঠিত করার মাধ্যমে বিশ্বকে আলোয় উদ্ভাসিত করেছিলেন। সমাজে অবহেলিত, নির্যাতিত, বঞ্চিত ও দু:খী মানুষের সেবা, পরস্পরের প্রতি শ্রদ্ধা প্রদর্শন, পরমত সহিষ্ণুতা, দয়া ও ক্ষমাগুণ, শিশুদের প্রতি দায়িত্ব এবং নারী জাতির মর্যাদা প্রতিষ্ঠায় মহানবী (সঃ) এর আদর্শ অতুলনীয় এবং তাই তিনি সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ মানব হিসেবে অভিষিক্ত।
আমি আল্লাহ রাব্বুল আল-আমিনের নিকট প্রার্থনা করি মহানবী (সঃ) এর শিক্ষা, আদর্শ ও ত্যাগের মহিমা আমরা সবাই যেন নিজেদের জীবনে প্রতিফলন ঘটাতে পারি। আমরা যদি রাসুল (স:) এঁর বাণী ও আদর্শ অনুসরণ করে এগিয়ে যেতে পারি তাহলে বর্তমান দু:সময়ের ঘন অমানিশা দূরীভূত করে হারানো অধিকার ফিরে পেতে সক্ষম হবো।
আমি পবিত্র মিলাদুন্নবী উপলক্ষে বাংলাদেশসহ বিশ্বের মুসলিম ভাই-বোনদের জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। আমি শেষ নবী সাইয়েদুল মুরছালিন হযরত মোহাম্মদ (সঃ) এর জন্য অসংখ্য দরুদ ও তাঁর প্রতি সালাম জানাই।
আল্লাহ হাফেজ, বাংলাদেশ জিন্দাবাদ।”