যুবলীগ নেতার অপরাধের প্রতিবাদ করায় প্রকাশ্য অস্ত্র ঠেকিয়ে অপহরণ, ছয় দিনেও মামলা নেয়নি পুলিশ
পাবনায় প্রকাশ্য অস্ত্র ঠেকিয়ে অপহরণ অর্ধশতাধিক টাকা ছিনিয়ে নিলো স্থানীয় যুবলীগ। এ ঘটনায় ৬ দিন অতিবাহিত হলেও মামলা আমলে নেয়নি সাঁথিয়া থানা পুলিশ। উল্টো মামলা করলে হত্যা করার হুমকি দিচ্ছে চিহ্নিত সন্ত্রাসীরা।
সাঁথিয়া উপজেলার হাড়িয়াকাহন গ্রামের তোয়াজ উদ্দিনের ছেলে মাসুদ রানা (৪৫) গত ১৯ অক্টোবর সাঁথিয়া উপজেলা সদরে আসে তার ভগ্নিপতি ওসমান গণিকে ব্যাংকের মাধ্যামে ঢাকায় টাকা পাঠানোর জন্য।
বেলা ১২ টার দিকে মাসুদ রানা সাঁথিয়া পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনে (থানা থেকে ৫০ গজ দূরে) পৌঁছালে একদল সন্ত্রাসী মাসুদ রানাকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে জোরপূর্বক মোটরসাইকেলে উঠিয়ে নিয়ে যায়।
সন্ত্রাসীরা তাকে উপজেলার নন্দনপুরের সাইফুল ইসলামের বসত বাড়ির উত্তর পাশের আশরাফুল আলমের ডিশ লাইন অফিস ঘরে আটকে রাখে। তারপর মাসুদ রানার কাছে থাকা ৫৭ হাজার ২’শ টাকা কেড়ে নিয়ে আশরাফুলের নির্দেশে একদল যুবক তাকে মারপিট করে। এর পর সন্ত্রাসীরা গুরুতর জখম মাসুদ রানাকে সাঁথিয়া উপজেলা যুবলীগ সভাপতি টুটুলের তেঁথুলিয়া গ্রামের বাড়িতে নিয়ে যায়। সেখানেও যুবলীগ নেতা টুটুল মারপিট করে মাসুদ রানাকে।
জানা যায়, সাঁথিয়া উপজেলার হাড়িয়াকাহন গ্রামের উত্তর বরাবর সোনাই বিল। গ্রামের সাধারন মানুষ বর্ষাকালে এই বিলের পানিতে মাছ শিকার করে আসছে বংশ পরম্পরায়। তবে এবার বিলে মাছ ধরতে নিষেধ করে যুবলীগ সভাপতি টুটুল।
বিলপাড়ের মানুষ বিলে মাছ শিকার করতে গেলে টুটুলের বাহিনী জাল কেড়ে নিয়ে যায় এবং পুড়িয়ে দেয়। আহত মাসুদ রানাসহ এলাকাবাসী এর প্রতিবাদ করায় ক্ষুব্ধ হয়ে সন্ত্রাসীরা যুবলীগ সভাপতি টুটুলের নির্দেশে মাসুদ রানাকে অপহরণ করে মারপিট করে।
সাঁথিয়া থানার (ওসি) আসাদুজ্জামান বলেন, বিষয়টি এলাকায় মীমাংসা হবে সেহেতু মামলা রেকর্ড করা হয়নি।
অস্ত্রের মুখে প্রকাশ্য দিবালোকে অপহরণের ঘটনার তদন্ত বা মামলা গ্রহণ না করে থানা পুলিশ শালিশী বৈঠকে মীমাংসার কথা বলায় জনমনে ভীতির সৃষ্টি হয়েছে।