ব্যারিস্টার রফিক-উল হকের মৃত্যুতে দেশের যে ক্ষতি হলো তা সহজে পূরণ হবার নয়: তারেক রহমান
দেশের খ্যাতনামা আইনজীবী, সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল ব্যারিস্টার রফিক-উল হক আজ সকালে রাজধানীর আদ-দ্বীন হাসপাতালে ইন্তেকাল করেছেন। ইন্না লিল্লাহে ওয়া ইন্না ইলাইহে রাজিউন। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৮৫ বছর। ব্যারিস্টার রফিক-উল হকের মৃত্যুতে গভীর শোক ও দু:খ প্রকাশ করেছেন বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জনাব তারেক রহমান।
এক শোকবার্তায় বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, “দেশের কৃতি আইনজ্ঞ ব্যারিস্টার রফিক-উল হক এর মৃত্যুতে আমি গভীরভাবে শোকাহত ও মর্মাহত। দেশের বর্তমান সংকটকালে তাঁর মতো একজন গুনী আইনবিদের ইন্তেকালে সৃষ্টি হবে গভীর শুন্যতা। তিনি আইন পেশায় ছিলেন একজন অগ্রগন্য ব্যক্তিত্ব। ব্যারিস্টার রফিক-উল হক আইন পেশার মাধ্যমে মানবসেবাকেই মহান ব্রত হিসেবে গ্রহণ করেছিলেন। সজ্জন, বিনয়ী ও আত্মপ্রত্যয়ী এই মানুষটি দেশের গভীর সংকট কালেও নিরপেক্ষতার প্রশ্নে তাঁর নীতি ও আদর্শ থেকে কখনোই বিচ্যুত হননি। দেশের একজন প্রখ্যাত আইনজীবী হিসেবে তিনি বিএনপি শীর্ষ নেতৃত্ব থেকে অন্যান্য দল ও মতের ব্যক্তিদের পক্ষে আইনী লড়াই করেছেন। তিনি দেশ পরিচালনায় উচ্চ পর্যায়ের নেতৃবৃন্দের মন্দ কাজেরও সমালোচনা করতে দ্বিধা করেননি। সবসময় ন্যায্য কথা বলতে কারো রক্তচক্ষুকে ভয় পাননি। দেশ স্বাধীন হওয়ার পরে অনেক গুরুত্বপূর্ণ আইনী বিষয় নিয়ে সরকারকে সহযোগিতা করেছেন। ছাত্রজীবনে রাজনীতির সাথে ওৎপ্রোতভাবে জড়িত থাকলেও পেশাগত জীবনে রাজনীতি থেকে দুরে থেকেছেন দেশের এই স্বনামধন্য আইনবিদ। তাঁর মৃত্যুতে দেশের যে ক্ষতি হলো তা সহজে পূরণ হবার নয়।
আমি ব্যারিস্টার রফিক-উল হকরে বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করছি এবং শোকাহত পরিবারবর্গ, গুণগ্রাহী ও শুভানুধ্যায়ীদের প্রতি জানাচ্ছি গভীর সমবেদনা।”