নোয়াখালীর সেই যুবলীগ নেতার বিরুদ্ধে আরেকটি ধর্ষণ মামলা
নোয়াখালীর চাটখিল উপজেলায় অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে প্রবাসীর স্ত্রীকে ধর্ষণ করে অস্ত্রসহ গ্রেফতার সেই যুবলীগ নেতা মজিবুর রহমান শরীফের বিরুদ্ধে আরও একটি মামলা হয়েছে।
শুক্রবার রাতে উপজেলার নোয়াখোলা এলাকার এক গৃহবধূ (২৭) চাটখিল থানায় হাজির হয়ে তার বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে আরও একটি মামলা করেন (মামলা নং- ২৩ তারিখ -২৩-১০-২০২০)।
মজিবুল রহমান শরীফ (৩২) ১নং ওয়ার্ডের ইয়াছিন বাজারসংলগ্ন ওয়াতির বাড়ির রফিকুল ইসলাম খোকনের ছেলে। তিনি নোয়াখলা ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি ছিলেন।
চাটখিল থানার ওসি আনোয়ারুল হক জানান, শুক্রবার রাতে চাটখিলের নোয়াখোলার এক গৃহবধূ থানায় হাজির হন। এরপর তিনি একই গ্রামের বাসিন্দা নোয়াখোলা ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি মুজিবুর রহমান শরীফের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ এনে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করেন।
মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়, গত ২০১৫ সালের ১৫ ডিসেম্বর রাতে ওই নারী এক ছেলে এক মেয়েকে নিয়ে তার ঘরে ঘুমিয়ে ছিলেন। হঠাৎ গভীর রাতে অস্ত্রেরমুখে পাশের বাড়ির মজিবর রহমান শরীফ তাকে টেনে তুলে ধর্ষণ করে তার উলঙ্গ ছবি মোবাইলে ধারণ করে। যাওয়ার সময় বলে যায়– কাউকে বললে তার ছবি ভাইরাল করবে এবং তার দুই সন্তানকে গুলি করে হত্যা করবে।
তাই সে তার সংসার ও সন্তানদের জীবনরক্ষার জন্য কাউকে কিছু না জানিয়ে গুমরে গুমরে কেঁদেছেন। মজিবুর রহমান শরীফ গ্রেফতার হওয়ার পর তিনি সাহস পান এবং মামলা করেন।
চাটখিল থানার ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আনোয়ারুল হক মামলার কথা নিশ্চিত করে জানান, শুক্রবার রাতেই মামলা রেকর্ড করা হয়েছে। যেহেতু মামলার একমাত্র আসামি মজিবুর রহমান শরীফ আগেই ধর্ষণ ও অস্ত্র মামলায় চারদিনের রিমান্ডে রয়েছেন; তাই আগামি রোববার তাকে এ মামলায় গ্রেফতার দেখাতে সিনিয়র জুডিশিয়াল আদালতের কাছে আবেদন জানানো হয়। ওই দিন তাকে আদালতে হাজির করা হবে।
উল্লেখ্য,গত বৃহস্পতিবার মজিবুর রহমান শরীফকে প্রবাসীর স্ত্রী ধর্ষণ মামলায় পুলিশ গ্রেফতার করে। তার স্বীকারোক্তি মোতাবেক শরীফের বাড়ি থেকে আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করে তার বিরুদ্ধে ধর্ষণের মামলার পাশাপাশি অস্ত্র মামলাও দায়ের করা হয়।
এ দিকে গত বুধবার রাতে তাকে যুবলীগ থেকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে বলে চাটখিল উপজেলা যুবলীগ আহবায়ক মোহাম্মদ উল্লা পাটওয়ারী নিশ্চিত করেছেন।