প্রতিবাদী সাংবাদিকদের মুখ বন্ধ করতে আ.লীগ সরকার বেপরোয়া হয়ে উঠেছে: বিএনপি
সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদের ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক ও বিএফইউজে সভাপতি রুহুল আমিন গাজীকে গ্রেফতারের ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘জনাব রুহুল আমিন গাজীকে গ্রেফতারের মধ্য দিয়ে সরকার মত প্রকাশের স্বাধীনতাকে স্তব্ধ করতে আরো একটি ঘৃণ্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করলো। আগামী দিনে আওয়ামী ফ্যাসিবাদের চেহারা কী বিভৎস রূপ ধারণ করবে সেটিরই একটি কুনজীর এটি।’
তিনি বলেন, কথায় কথায় বিরুদ্ধ মতাবলম্বীদের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহের মামলা দিয়ে সরকার দেশে প্রতিহিংসার রাজনীতিকে চরম পর্যায়ে নিয়ে গেছে।
বিএনপির কেন্দ্রীয় দফতরের চলতি দায়িত্বে থাকা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক এমরান সালেহ প্রিন্স স্বাক্ষরিত গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে তিনি এ নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান।
বিবৃতিতে বিএনপি মহাসচিব বলেন, রুহুল আমিন গাজীকে রাষ্ট্রদ্রোহের বানোয়াট মামলায় গ্রেফতারের মাধ্যমে সরকারের সমালোচক, প্রতিবাদী কলামিস্ট, বিবেকবান লেখক-বুদ্ধিজীবিদেরকে বর্তমান ফ্যাসিস্ট সরকার এক অশুভ বার্তা জানান দিলো। সরকার কেবলমাত্র বিএনপিসহ বিরোধী দলীয় নেতাকর্মীরাই নয়, তারা এখন টার্গেট করেছে ফ্যাসিবাদ বিরোধী প্রতিবাদী কণ্ঠস্বরকে। সরকারের পায়ের তলা থেকে মাটি সরে গেছে। জনসমর্থনহীন এই সরকার হিতাহিত-বিবেচনাহীন। অন্তঃহীন ক্ষমতালিপ্সার জন্য এরা প্রতিবাদী সাংবাদিকদের মুখ বন্ধ করতে বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। তাই প্রতিবাদী সাংবাদিক, নির্ভিক লেখক ও অকুতোভয় গণতন্ত্রকামী বরেণ্য সাংবাদিকদের মিথ্যা মামলায় গ্রেফতারের খেলায় মাতোয়ারা হয়ে গেছে। সাংবাদিকদেরকে গ্রেফতার দুঃশাসনকে টিকিয়ে রাখারই ইঙ্গিতবহ।
মির্জা ফখরুল বলেন, সরকার গণভিত্তি হারিয়ে কোনোরকমে ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য আইন শৃঙ্খলা বাহিনীকে দিয়ে যারা জাতির বিবেক, তাদের ওপর মরণকামড় দিতে শুরু করেছে। রুহুল আমিন গাজীকে গ্রেফতারের ঘটনায় আমি তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি এবং অবিলম্বে তার বিরুদ্ধে দায়েরকৃত রাষ্ট্রদ্রোহের মনগড়া মামলা প্রত্যাহার ও নিঃশর্ত মুক্তির জোর দাবি করছি।’