ঢাকা-১৮ আসনের উপ-নির্বাচনে বিনা ‘চ্যালেঞ্জে’ ছেড়ে দেবে না বিএনপি: আমান
ঢাকা-১৮ আসনের উপ-নির্বাচনে ভীতির পরিবেশ তৈরি করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও ডাকসুর সাবেক ভিপি আমান উল্লাহ আমান। তবে বিনা চ্যালেঞ্জে বিএনপি ছেড়ে দেবে না বলেও হঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন তিনি।
বৃহস্পতিবার (২২ অক্টোবর) বিকেলে এক সংবাদ সম্মেলনে আমান উল্লাহ আমান এ কথা বলেন। ঢাকা-১৮ আসনের উপনির্বাচনে বিএনপির প্রার্থী এসএম জাহাঙ্গীর হোসেনের উত্তরার বাসায় নির্বাচনী অফিসে মনোনয়ন প্রত্যাশিত কফিলউদ্দিন আহমেদকে সাথে নিয়ে এই সংবাদ সম্মেলন হয়।
ঢাকা উত্তর সিটির ৪৮ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলরের বাসায় সভা চলাকালে বিএনপির নেতাকর্মীদের ওপর যুবলীগ-ছাত্রলীগ কর্তৃক হামলার ঘটনা জানাতে এই সংবাদ সম্মেলন।
সংবাদ সম্মেলনে ঢাকা-১৮ আসনে বিএনপি নির্বাচন পরিচালনা কমিটির প্রধান সমন্বয়ক আমান উল্লাহ আমান বলেন, গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার ও জনগণের ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠার জন্যই বিএনপি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করছে। আমরা নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছি। কিন্তু এমনি পরিস্থিতিতে ৪৮ নং ওয়ার্ড কমিশনার আলী আকবর। যিনি দক্ষিণ খান থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক। তার বাসায় দলীয় নির্দেশে নেতাকর্মীদের নিয়ে সভা করছিলেন।
এ সময় ছাত্রলীগ-যুবলীগসহ অন্যরা ভেতরে ঢুকে কাউন্সিলর আলী আকবরকে হকিস্টিক দিয়ে পেটানো হয়। তার সাথে বিএনপি নেতা সৈয়দ দেলওয়ার, মহিলা দলের হাসিনা বেগম, দক্ষিণ খান যুবদলের আতিক, বিএনপির ফারুক মোল্লা এবং ওয়াহিদকে আহত করে। শুধু তাই নয় বাসার প্রধান গেট, ২ টি প্রাইভেটকার, চারটি মোটরসাইকেল, ছয়টি স্ট্যান্ড ফ্যান, ১৫০ টি চেয়ার, বিশটি টেবিল ভাংচুর করে।
তিনি আরও বলেন, এভাবে একটি প্রস্তুতি সভায় ন্যাক্কারজনকভাবে তারা আক্রমণ করলো। তার মানে কী। এটি সহজেই অনুমেয়। নির্বাচনের পরিবেশ নষ্ট করতে চায় সরকারি দলের লোকেরা। কিন্তু আমরা শান্তিপূর্ণ নির্বাচন চাই।
আমান বলেন, জনগণ যাতে নির্বিঘ্নে কেন্দ্রে গিয়ে ভোট দিতে পারে। কিন্তু প্রতীক পাওয়ার আগেই এভাবে আক্রমণ ও বিএনপি নেতাকর্মীদের মারধর করা হলো! প্রশাসন কোনও পদক্ষেপ নেয়নি। লিখিতভাবে জানানো হয়েছে। সুষ্ঠু বিচার চাই। দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা ও গ্রেফতারের দাবি জানাই। দোষীদের যাতে কোনও ছাড় দেয়া না হয়। আমরা শান্তিপূর্ণ ভোট দিয়ে শান্তিপূর্ণভাবে ফল পেতে চাই।
আমান আরও বলেন, ঢাকা-১৮ আসনে যদি কেউ নিজেদের প্রার্থীকে জোর করে কারচুপির মাধ্যমে নিয়ে যেতে চায়
বিএনপি নেতাকর্মীরা কিন্তু জনগণকে সাথে নিয়ে প্রতিরোধ গড়ে তুলবে। বিনা চ্যালেঞ্জে ছেড়ে দেয়া হবে না। কারণ আমাদের প্রার্থী ছিলেন ৮ জন। ইতিমধ্যে তারা দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ হয়ে এসএম জাহাঙ্গীর হোসেনকে সমর্থন দিয়ে কাজ শুরু করেছে। বিএনপি এখন আগের চেয়ে ঐক্যবদ্ধ।
ডাকসুর সাবেক এই ভিপি বলেন, দেশে গণতন্ত্র অনুপস্থিত। ভোটাধিকার, মানবাধিকার নেই। আমরা এসব পুনরুদ্ধার করার জন্যই নির্বাচনে আছি। কোনও কিছু হলে জনগণই তাদের সিদ্ধান্ত নেবে।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা-১৮ আসনের উপ নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সদস্য সচিব ফজলুল হক মিলন, সদস্য মো. আব্দুস সালাম, হাবিবুর রহমান হাবিব, মোস্তাফিজুর রহমান বাবুল, শহীদুল ইসলাম বাবুল, নাজিম উদ্দিন আলম, বজলুল বাসিত আঞ্জু, আব্দুল আলিম নকী, এজিএম শামসুল হক, প্রত্যাশিত প্রার্থী কফিল উদ্দিন আহমেদ, মোস্তাফিজুর রহমান সেগুন, যুবদল সভাপতি সাইফুল আলম নীরব ও ঢাকা-১৮ আসনে ধানের শীষের প্রার্থী এসএম জাহাঙ্গীর হোসেন প্রমুখ।