‘শুধু তাহাজ্জত নামাজ পড়লেই হবে না, দেশে ন্যায়বিচার ও শান্তি প্রতিষ্ঠা করতে হবে: জাফরুল্লাহ
বাংলাদেশের মানুষের যে গড় আয়ু প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সেই গড় আয়ু অতিক্রম করে ফেলেছেন- একথা জানিয়ে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ও ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেছেন, ‘আমরা যদি প্রধানমন্ত্রীকে জীবিত দেখতে চাই, সুস্থ দেখতে চাই, তাহলে তাঁর এখন বিশ্রাম প্রয়োজন।’
তিনি বলেন, ‘তবে বিশ্রামেরও একটা পদ্ধতি আছে, তা হলো সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন দিয়ে ইতিহাসের পাতায় তাঁর নাম লিখিয়ে বিশ্রামে যেতে হবে।’
মঙ্গলবার (২০ অক্টোবর) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে নাগরিক ঐক্যের উদ্যোগে মাহমুদুর রহমান মান্নার ওপর হামলার প্রতিবাদে এক বিক্ষোভ সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।
জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, ‘আজ আমাদের দেশে প্রত্যেকটা সাধারণ মানুষের জীবন বিপদগ্রস্ত। মাফিয়ারা সব জায়গায় ছড়িয়ে পড়েছে। সব জায়গায় অনাচার শুরু হয়েছে। এই মাফিয়া ছড়াতে ছড়াতে একদিন নিজের ঘরে আগুন দেবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধুর কন্যা হিসেবে আমি ওনাকে সবসময় প্রশংসা করি। উনিও হয়তো এর থেকে রেহাই পাবেন না, যদি না তিনি এখনই এই মাফিয়াদের বিরুদ্ধে কোনও কিছু না করেন।’
তিনি বলেন, ‘মান্নার ওপর ছাত্রলীগ, যুবলীগ হামলা করেছে। প্রধানমন্ত্রীর তো অনেক গোয়েন্দা বাহিনী, তারা নিশ্চয়ই প্রধানমন্ত্রীকে বলেছে। গোয়েন্দা বাহিনীরা প্রধানমন্ত্রী যেটা শুনতে চান তারা সেটা শোনায়। তবে আমি বলবো, এই গোয়েন্দা বাহিনী তাঁর বিপদ ডেকে আনবে।’
গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা বলেন, ‘আজ আমার দেশের একটা মানুষও বিশ্বাস করে না, দেশে আইন-কানুন বলে কোনও কিছু আছে। স্কুলের বাচ্চা থেকে শুরু করে কারোই জীবনের নিরাপত্তা নাই।’
শেখ হাসিনা বাংলাদেশের মানুষের বয়সের গড় আয়ু অতিক্রম করেছে মন্তব্য করে জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, ‘আমরা চাই তিনি সুস্থ থাকুন, দীর্ঘজীবী হোন। তবে তিনি যদি মানসিকভাবে সুস্থ থাকতেন তাহলে মান্নাকে একটি ফোন দিয়ে বলতেন যে, ‘আমি দুঃখিত, আমি জানিনা তারা তোমার সাথে এ কাজ করেছে’। অথবা তিনি বলতেন, ‘বিষয়টা আমি দেখছি’। অথবা আজ সকালের মধ্যেই তাদের গ্রেফতার করে জেলে ঢুকাতেন।’
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, ‘শুধু তাহাজ্জত নামাজ পড়লেই হবে না। দেশে ন্যায়বিচার ও শান্তি প্রতিষ্ঠা করতে হবে। আপনার পিতার একটু গুণ অর্জন করুন। খোদা আপনাকে হেদায়েত দান করুক।’
বিক্ষোভ সমাবেশে আরও উপস্থিত ছিলেন নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি ও ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুর প্রমুখ।