সরকারের ‘বংশবদ ক্রীড়ানক’ সিইসি মিথ্যা বলছেন, ঢাকা থেকেই ১৬২টি অভিযোগ দেয়া হয়েছে: ফখরুল

0

নির্বাচন কমিশন সরকারের ‘বংশবদ ক্রীড়ানক’ হিসেবে কাজ করছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। পাবনা-৪, ঢাকা-৫ ও নওগাঁ-৬ আসনের অনুষ্ঠিত উপ-নির্বাচনের ভোট নিয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় গতকাল রোববার দুপুরে এক সংবাদ সম্মেলনে বিএনপি মহাসচিব এ মন্তব্য করেন।

তিনি বলেন, তিনটি উপনির্বাচনে আওয়ামী লীগ ও সরকার দলীয় সন্ত্রাসীরা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সহায়তায় ২০১৮ সালের জাতীয় নির্বাচনের মতোই ভোট ছিনতাই করেছে। নির্বাচন কমিশন নির্বিকার দর্শকের ভুমিকা পালন করেছে। রিটার্নিং অফিসার ধানের শীষের প্রার্থীদের অভিযোগ গ্রহণ করেনি। অবলীয়লায় মিথ্যা কথা বলেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার। কোনো অভিযোগ নাকি তারা পান নাই। ঢাকা থেকেই ১৬২টা অভিযোগ দেয়া হয়েছে।

সদ্য শেষ হওয়া উপনির্বাচনের ঘোষিত ফলাফল বাতিল ও পুনরায় নির্বাচনের দাবিতে দুই দিনের কর্মসূচিও ঘোষণা করেন বিএনপি মহাসচিব।

কর্মসূচির মধ্যে আছে-আগামী ১৯শে অক্টোবর সারাদেশে মহানগর ও জেলায় এবং ২০শে অক্টোবর থানা-উপজেলায় বিক্ষোভ সমাবেশ।
গুলশানে চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে এই সংবাদ সম্মেলনে গত শনিবার দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সভাপতিত্বে স্থায়ী কমিটির ভার্চুয়াল বৈঠকে গৃহীত সিদ্ধান্ত তুলে ধরা হয়।

কেনো মধ্যবর্তী নির্বাচন হবে না-আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের এরকম বক্তব্যের জবাবে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, আমরা তো একথা (মধ্যবর্তী) নির্বাচন এখনো বলিনি। আমরা গত নির্বাচন যেটা হয়েছে সেটাই তো মানছি না, আমরা ওইটাকে অবৈধ বলছি, আমরা ওইটাকে বাতিল করার কথা বলছি। আপনারা দেখেন আমাদের প্রত্যেকটা স্টেটমেন্ট একথা বলেছি যে, এই নির্বাচন আমরা মানি না, এই নির্বাচন বাতিল করে নির্বাচন নির্বাচন দেয়া হোক। মধ্যবর্তী-টড্ডবর্তী নির্বাচনের কথা আমরা তো বলিনি ভাই। যখন বলব তখন দল থেকে বলা হবে তখন অবশ্যই বলা হবে। এখন ব্যক্তিগত ভাবে কেউ কিছু বললে, যারা সিভিল সোসাইটিতে আছেন তাদের মধ্যে কেউ বলতে পারেন-সেটা তাদের মতামত। আমরা বিশ্বাস করি যে, আওয়ামী লীগের অধীনে কোনো সুষ্ঠু নির্বাচন হতে পারে না। যে কারণে আমরা বলি যে, নির্দলীয় সরকারের অধিনে নির্বাচনের কথা বলে এসেছি, এটাতে আমরা বিশ্বাস করি।

মির্জা ফখরুল বলেল, আইএমএফের যে রিপোর্ট আমরা দেখছি ভারতের জিডিপি ১০% কমে যাওয়ার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। সেখানে বাংলাদেশের জিডিপি বেশি করে দেখানো, বাংলাদেশে অর্থনীতি এতো চমৎকার ইকনোমী দেখানো হচ্ছে। এর পেছনে আরো অনেক উদ্দেশ্য আছে। প্রথম থেকে বাংলাদেশকে বলা হয়েছে রোল মডেল। আপনারা দেখবেন যে, একটা বিশেষ মহল জাতীয় ও আন্তর্জাতিকভাবে এই রোল মডেলের কথা বলছে, এটা প্রচার করছে। যেখানে বাংলাদেশের মানুষের চাকরি নেই, যে হারে বেকারত্ব বেড়েছে, শিক্ষিত ছেলে-পেলেদের চাকরি নেই। সেক্ষেত্রে রোল মডেল কিভাবে বলবেন? কোন শুভঙ্করের ফাঁকি দিয়ে বাংলাদেশের মানুষকে বোকা বানানো হচ্ছে।

তুমি এটাও পছন্দ করতে পারো

উত্তর দিন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রচার করা হবে না.

WP2Social Auto Publish Powered By : XYZScripts.com