ধর্ষণের শাস্তি এখন মৃত্যুদণ্ড করা হয়েছে, এবার ধর্ষক তো ধর্ষণের পর হত্যা করবে: মান্না
দেশ স্বাধীনের ৪৯ বছরের ইতিহাসে এতো পরিমাণ ধর্ষণ, নির্যাতন দেখিনি বলে মন্তব্য করেছেন নাগরিক এক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না। তিনি বলেন, ‘আমরা যদি বিচার করতে পারতাম, বিচারহীনতা থেকে সরে আসতে পারতাম, তাহলে অপরাধ কমে আসতো।’
শনিবার (১৭ অক্টোবর) জাতীয় প্রেসক্লাবের মাওলানা মোহাম্মদ আকরাম খাঁ হলে জাতীয়তাবাদী প্রজন্ম ৭১ আয়োজিত ‘বিচারহীনতার সংস্কৃতি, ন্যায় বিচার এবং বর্তমান বাংলাদেশ’ শীর্ষক আলোচনা সভায় এ কথা বলেন তিনি।
মান্না বলেন, আমাদের দেশের একমন্ত্রী বললেন ক্রসফায়ার আমাদের সংস্কৃতি হয়েছে গেছে। না, এটা হতে পারে না। বলা যায় অপসংস্কৃতি, বিনা বিচারে হত্যা কাম্য না। আর বিচার শব্দটিও হারাতে বসেছে, বিচারের নামে বিচারহীনতাকে বেঁচে নেয়া হয়েছে এখন। রাষ্ট্রীয় সংস্থাকে দলীয়করণ করে ভোট ডাকাতিতে ব্যবহার করা হয়। তাহলে কিভাবে ভালোর আশা করে, কিভাবে বিচার পাবেন।
তিনি বলেন, `গত নির্বাচনে আমাদের ভোট দেওয়ার কথা ছিল। নিয়ম ছিল যারা ভোট দেবে তারা ক্ষমতায় আসবে। কিন্তু উনারা দেখেছে আমাদের পক্ষে জেতার কোনো সুযোগ নাই। তাই তারা ভোট ডাকাতি করে ক্ষমতায় এসেছে।`
মান্না বলেন, মৃত্যুদণ্ড কোনো বিচারের সমাধান দিতে পারে না, আমি এটা সমর্থন করি না। সত্যিকারের বিচার হলে অবশ্যই খুন, গুম কমে আসতো। এখন ধর্ষণের শাস্তি মৃত্যুদণ্ড করা হয়েছে। ধর্ষক তো ধর্ষণের পর এবার তাকে হত্যা করবে। এর মাধ্যমে ধর্ষক প্রমাণ মুছে ফেলবে।
সংগঠনটির সভাপতি ঢালি আমিনুল ইসলাম রিপনের সভাপতিত্বে আয়োজিত অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন বিএনপির যুগ্ন মহাসচিব মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল। এলডিপি একাংশের মহাসচিব শাহাদত হোসেন সেলিম, বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য আবু নাসের মোহাম্মদ রহমাতুল্লাহ, সাবিরা নাজমুল, স্বেচ্ছাসেবক দলের সাংগঠনিক সম্পাদক ইয়াসিন আলী, জাতীয়তাবাদী মহিলা দল মুন্সিগঞ্জ শাখার সভাপতি পাপিয়া ইসলাম, অধ্যাপক মোস্তফা কামাল, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী প্রজন্ম ৭১ এর কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক মোশারফ হোসেন, অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খানসহ অনেকে।