দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে জনগণ দিশেহারা : শিবির সভাপতি
‘সরকার যখন বিশ্ব খাদ্য দিবস পালন করছে তখন দ্রব্যমূল্যের চলমান ঊর্ধ্বগতিতে দেশের মানুষ দিশেহারা। বিশেষ করে এ সমস্যায় নিদারুণ খাদ্যসঙ্কটে ভুগছে সাধারণ মানুষ।’ শুক্রবার বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি মো. সিরাজুল ইসলাম বিশ্ব খাদ্য দিবসে ইসলামী ছাত্রশিবির গাজীপুর মহানগরের উদ্যোগে এতিমদের মাঝে খাদ্য বিতরণ কর্মসূচিতে এসব কথা বলেন।
তিনি আরো বলেন, সরকার বিশাল আয়োজন করে ‘বিশ্ব খাদ্য দিবস’ পালন করেছে। কথার ফুলঝুড়ি আওড়াচ্ছে। কিন্তু বাস্তবতা হলো দেশের খাদ্য পরিস্থিতি ভয়াবহ রূপ ধারণ করেছে। এমনিতে করোনা পরিস্থিতির কারণে অসংখ্য মানুষের ব্যবসা-চাকরি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, অনেকে নিঃস্ব হয়ে গেছে, এর মধ্যে সব কিছুর দাম প্রতিদিন বাড়ছে। বিশেষ করে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্য সামগ্রীর দাম সাধারণ মানুষের হাতের নাগালের বাইরে চলে গেছে। ফলে মধ্যবিত্ত ও নিম্নবিত্ত মানুষ বিপর্যস্ত জীবন যাপন করছে। নিরব দুর্ভিক্ষ চলছে বেশিরভাগ মানুষের ঘরে ঘরে। এ অবস্থার দ্রুত পরিবর্তন না হলে পরিস্থিতি আরো খারাপের দিকে যেতে পারে।
তিনি বলেন, ‘একদিকে প্রতিদিন দ্রব্যাদির দাম বাড়ছে অন্যদিকে সরকার বলছে যে, কোনো সঙ্কট নেই, উল্টো পর্যাপ্ত খাদ্য মজুদ রয়েছে। তাহলে কি কারণে দ্রব্যমূল্য মানুষের সাধ্যের বাইরে চলে যাচ্ছে? মানুষ অনাহারে জীবন যাপন করছে, তার কারণ জনগণ জানতে চায়। সরকারের এমন দায়িত্বহীন বক্তব্য সঙ্কটকে আরো জটিল করে তুলছে। খাদ্যদ্রব্যের মূল্য সাধারণ মানুষের ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে রাখতে অবিলম্বে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
একই সাথে আমরা ব্যবসায়ীদের লক্ষে বলছি, সিন্ডিকেট ও দ্রব্যের অনৈতিক মজুদ করে জনগণকে শোষণ করা সৎ ব্যবসায়ীদের কাজ নয় বরং এটা এক ধরণের ডাকাতি। যা কোনোভাবে কাম্য নয়। রাসূল সা. বলেছেন, সৎ ব্যবসায়ী রাসূল সা. এর সাথে থাকবেন। একটি মুসলিম প্রধান দেশ হিসেবে দেশবাসী ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে তাকওয়াপূর্ণ দায়িত্বশীল আচরণ আশা করে। আমরা আশা করি সরকার ও ব্যবসায়ীরা দ্রব্যমূল্য সহনীয় রাখতে সর্বোচ্চ দায়িত্বশীলতার পরিচয় দিবেন।’
বক্তব্যে কেন্দ্রীয় সভাপতি দেশের বিভিন্ন সংগঠন ও বিত্তবান মানুষদেরকে অসহায় মানুষের খাদ্য সঙ্কট দুরীকরণে সাধ্যমত তাদের পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান জানান।
প্রেস বিজ্ঞপ্তি।