ভোট শুরুর আগেই পোলিং এজেন্ট বের করে দেয়ার অভিযোগ বিএনপির
ঢাকা-৫ আসনের উপনির্বাচনে ভোট গ্রহণ শুরু হওয়ার আগেই বিভিন্ন কেন্দ্র থেকে বের করে দেয়া হচ্ছে বিএনপির এজেন্ট ও ভোটারদের। ভোট কেন্দ্র পরিদর্শনে গেলে ধানের শীষের প্রার্থী সালাহ্ উদ্দিন আহম্মেদের সমর্থক ও এজেন্টরা এ অভিযোগ করেন।
শনিবার সকাল ৯ টায় ঢাকা-৫ সংসদীয় আসনের উপনির্বাচনের ভোট গ্রহণ শুরু হয়েছে। কিন্তু ভোট শুরুর আগে সকাল ৮ টা থেকেই বিভিন্ন কেন্দ্র থেকে বিএনপির এজেন্ট ও ভোটারদের বের করে দেয়ার অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে।
বিএনপি কর্মীদের অভিযোগ, সকাল ৮.১০ মিনিটে ৫০ নং ওয়ার্ড এর ৯ নম্বর কেন্দ্র যাত্রাবাড়ী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় বিএনপির এজেন্টরা গেলে তাদের স্কুল প্রাঙ্গণ থেকে ঘাড় ধাক্কা দিয়ে বের করে দেয়া হয়। এছাড়াও ৬৮ নং ওয়ার্ডের হাজী আদর্শ মোয়াজ্জেম আলী হাই স্কুল, সানারপাড় রুস্তম আলী হাই স্কুল ও ফুলকলি প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং ৬৬ নং ওয়ার্ডের ভ্যামুইল আইডিয়াল স্কুল, সারুলিয়া ডগাইর দারুস সুন্নত ফাজিল ফাদ্রাসা, ৭০ নং ওয়ার্ডে ১৮৫ নং কেন্দ্র (আমুলিয়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়), দেল্লা, ৬৬ নং ওয়ার্ডের ১৪৮ ও ১৪৯ কেন্দ্র থেকে বিএনপির সকল পোলিং এজেন্টদের পুলিশের সামনেই আওয়ামী লীগের উগ্রকর্মীরা বের করে দিয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপি প্রার্থী। এদিকে
৪৮ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর অনু তার ওয়ার্ড এর সকল কেন্দ্রের দখল নিয়েছেন বলেও অভিযোগ বিএনপি প্রার্থী।
ঢাকা-৫ আসনের উপনির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ছয় প্রার্থী। তারা হলেন- আওয়ামী লীগের মো. কাজী মনিরুল ইসলাম, বিএনপির সালাহ্ উদ্দিন আহম্মেদ, জাতীয় পার্টির মীর আব্দুর সবুর, গণফ্রন্টের এইচ এম ইব্রাহিম ভূঁইয়া, বাংলাদেশ কংগ্রেসের মো. আনছার রহমান শিকদার ও ন্যাশনাল পিপলস পার্টির মো. আরিফুর রহমান।
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ৪টি থানা নিয়ে এই আসনটি গঠিত। মতিঝিল (আংশিক), যাত্রাবাড়ি, ডেমরা ও কদমতলী (আংশিক) নিয় গঠিত এই আসনে ১৪টি ওয়ার্ডে মোট ১৮৭টি কেন্দ্রের ৮৬৪টি কক্ষে ১হাজার ৯৫টি বুথে ভোটগ্রহণ চলছে। এখানে মোট ভোটার রয়েছেন ৪ লাখ ৭১ হাজার ১২৯ জন। যাঁদের মধ্যে পুরুষ দুই লাখ ৪১ হাজার ৪৬৪ জন ও নারী দুই লাখ ২৯ হাজার ৬৬৫ জন।
উল্লেখ্য, ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য হাবিবুর রহমান মোল্লা গত ৬ মে মারা যাওয়ায় ঢাকা-৫ আসনটি শূন্য হয়।