দেশের একমাত্র চিকিৎসা বা একমাত্র পথ সুষ্ঠু গণতন্ত্র, সুষ্ঠু নির্বাচন: জাফরুল্লাহ
মৃত্যুদন্ড দিয়ে চলমান আন্দোলন থামানো যাবে না উল্লেখ করে সরকারের জন্য মধ্যবর্তী নির্বাচনই একমাত্র পথ বলে মন্তব্য করেছেন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ও ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী।
গতকাল সকালে জাতীয় প্রেস ক্লাবে এক মানববন্ধন কর্মসূচিতে অংশ নিয়ে তিনি এ কথা বলেন। ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, এই আন্দোলন-সংগ্রাম থামবে না। আমি স্পষ্ট করে বলতে চাই, এটার একমাত্র চিকিৎসা বা একমাত্র পথ সুষ্ঠু গণতন্ত্র, সুষ্ঠু নির্বাচন। এই রোগের চিকিৎসা জনগণের হাতে ক্ষমতা দেওয়া। আসুন, জনগণকে নিয়ে আমরা সবাই মিলে একত্রিতভাবে প্রতিদিন, যতদিন পর্যন্ত গণতন্ত্র না আসবে, মধ্যবর্তী নির্বাচন না আসবে ততদিন আন্দোলনে থাকি।
জাতীয়তাবাদী সংগ্রামী দলের উদ্যোগে নারী ও শিশু ধর্ষণ ও নির্যাতনের প্রতিবাদে এই মানববন্ধন হয়। সংগঠনের সভাপতি জাহাঙ্গীর হোসেন হানিফের সভাপতিত্বে মানববন্ধনে সাবেক শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী ড. আ ন ম এহছানুল হক মিলন, কবি আবদুল হাই শিকদার, শিক্ষক-কর্মচারী ঐক্যজোটের সভাপতি অধ্যক্ষ সেলিম ভুঁইয়া, গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের মিডিয়া উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম মিন্টু, অ্যাডভোকেট রফিক শিকদার, আরিফা সুলতানা রুমা প্রমুখ বক্তব্য দেন।
প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশে ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, প্রধানমন্ত্রী ভয় কেন পান? একটা মধ্যবর্তী নির্বাচন দিয়ে দেখুন না। নির্বাচনে আসুন, গণতন্ত্র ফেরত দিন, গণতন্ত্র ফিরিয়ে দেওয়াই এই রোগের চিকিৎসা। আমি বলি, আপনি সামগ্রিক পরিবর্তন আনেন। একটা কমিশন করে সবাইকে ডাকুন। আপনি একলা কিছুই করতে পারবেন না। রাষ্ট্রের সর্বক্ষেত্রে নারীর সমান অধিকার ও তাদের একলা চলার নিশ্চয়তা ও নিরাপত্তার বিধান করতে হবে বলেও দাবি জানান প্রবীণ এ চিকিৎসক।
এন্টিজেন কিট আমদানি বেআইনি : দক্ষিণ কোরিয়া থেকে এন্টিজেন কিট আমদানি করে সরকার বেআইনি কাজ করছে বলে মন্তব্য করেন ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী। গতকাল গণমাধ্যমের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।
ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, আমরা সবার আগে এন্টিজেন ও এন্টিবডি কিট আবিষ্কার করি। সরকার আমাদের এন্টিজেন কিট আমেরিকার ল্যাবে পরীক্ষা করাতে বলে। তখন আমি সরকারকে বোঝাই, আমি তো আমার দেশের মানুষের জন্য এই কিট বানিয়েছি। চারটি দেশের কূটনীতিকের সঙ্গে আমি এ নিয়ে ফাইট করেছি। বলেছি, এটা আমাদের দেশের ব্যাপার। ভালো হলে ভালো, খারাপ হলে খারাপ। তুমি কেন মাথা ঘামাও? তখন আমাদের কিটের বিষয়ে নতুন একটা কন্ডিশন দেওয়া হলো, আমেরিকা অথবা সুইডেনের তৃতীয় পক্ষের একটা ল্যাবে পরীক্ষা করতে হবে। সেখানে আমাদের প্রায় আরও ১ কোটি টাকা খরচ করতে হবে।
তিনি বলেন, সব থেকে বড় কথা হচ্ছে, আমি তৃতীয় বিশ্বকে ঠকানোর জন্য রাজি হইনি। এখন সরকার দক্ষিণ কোরিয়া থেকে এন্টিজেন কিট আমদানি করছে। কিন্তু দক্ষিণ কোরিয়ার এন্টিজেন কিট তো আমেরিকার ল্যাবে পরীক্ষা করেনি। এখন কথা হচ্ছে আমাকে যে পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে হবে, দক্ষিণ কোরিয়াকেও সেই পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে হবে। কিন্তু দক্ষিণ কোরিয়ার বেলা তারা সেই নীতি অনুসরণ করছে না। এটা একেবারে বেআইনি কাজ করছে সরকার। দেশের কিটের বেলায় এক নিয়ম, আর অন্য দেশের কিট হলে আরেক শর্টকাট নিয়ম হতে পারে না। নাকি এখানে টাকা-পয়সার বিষয় জড়িত?