এবার বিউটিশিয়ানকে প্রাইভেটকারে তুলে ধর্ষণ
দেশের নারীর ওপর ধর্ষণ-নিপীড়ন থামছেই না। প্রায় প্রতিদিন ঘটছে একের পর এক ঘটনা। এরই ধারাবাহিকতায় এবার গাজীপুরে এক সুন্দরী বিউটিশিয়ানকে প্রাইভেটকারে তুলে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে ধর্ষককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
এর আগে গেল বুধবার রাতে (১৪ অক্টোবর) রাতে গাজীপুরের কাশিমপুর থানাধীন জিরানী এলাকায় এ ধর্ষণের ঘটনা ঘটে।
গ্রেফতারকৃত ধর্ষকের নাম পিন্টু (৩২)। তিনি পেশায় একজন রেন্ট-এ কার চালক।
এ ব্যাপারে ভুক্তভোগী নারী বাদী হয়ে কাশিমপুর থানায় মামলা দায়েরর প্রস্তুতি নিচ্ছেন বলে জানা গেছে।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে কাশিমপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহবুব-এ খোদা জানান, ভিকটিম নারী ও ধর্ষক পূর্বপরিচিত। উভয়েই কালিয়াকৈর এলাকার বাসিন্দা। ভুক্তভোগী নারী স্থানীয় একটি বিউটিপার্লারে ও পিন্টু একই এলাকায় রেন্ট-এ কারে চাকরি করেন। বুধবার রাতে ওই নারী কালিয়াকৈরে তার এক ছেলে (৮) ও বান্ধবীকে নিয়ে রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে গাড়ির জন্য অপেক্ষা করছিলেন। এসময় পিন্টু কার নিয়ে যাওয়ার পথে ওই নারীকে তার গাড়িতে তুলেন। পরে চটপটি খাওয়ার কথা বলে আশুলিয়ার পল্লী বিদ্যুৎ এলাকায় নিয়ে যান। সেখান থেকে চটপটি খেয়ে ফেরার পথে রাত সাড়ে ৮টার দিকে কাশিমপুর থানার জিরানী এলাকায় পৌঁছুলে ভিকটিমের ছেলে ও বান্ধবী (১৮) হালিম খাওয়ার জন্য গাড়ি থেকে নামের এবং হালিমের দোকানে যান।
ভিকটিমের ছেলে ও বান্ধবী দোকানে বসে হালিম খাওয়ার এক পর্যায়ে কিছু বুঝে ওঠার আগেই পিন্টু কারে বসে থাকা নারীকে নিয়ে পাশেই এক নির্জন স্থানে যান ও ভয়ভীতি দেখিয়ে কালো গ্লাসের কারের ভেতরে ধর্ষণ করেন। বিষয়টি জানাজানি হলে ভুক্তভোগী নারীকে হত্যার হুমকি দেয় পিন্টু। পরে সবাইকে গাড়িতে তুলে কালিয়াকৈর নামিয়ে পিন্টু চলে যান।
ওসি জানান, ঘটনাটি কাশিমপুর থানা এলাকায় ঘটলেরও বৃহস্পতিবার দুপুরে ভিকটিম ভুলবশত আশুলিয়া থানায় মামলা করতে যান। তখন পিন্টু খবর পেয়ে আশুলিয়া থানায় ঘটনাটি মীমাংসা করতে যান। এসময় ভুক্তভোগী নারী পুলিশকে বিস্তারিত জানালে পিন্টুকে আটক করে কাশিমপুর থানায় হস্তান্তর করা হয়।
আজ শুক্রবার স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য ভুক্তভোগী নারীকে তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হবে বলেও জানান ওসি মাহবুব-এ খোদা।