সরকারি দলের পৃষ্ঠপোষকতায় ছাত্র অধিকারের নতুন কমিটি: নুর
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) সাবেক ভিপি নুরুল হক নুর বলেছেন, তাকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করে ‘বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ’ নামে নতুন আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণার বিষয়টি সরকারই করাচ্ছে। সরকারি দলের পৃষ্ঠপোষকতায় ছাত্র অধিকার পরিষদের বিদ্রোহী অংশের কমিটি গঠন করা হয়েছে বলে মনে করেন নুর।
বৃহস্পতিবার (১৫ অক্টোবর) দুপুরে নতুন কিমিটি সম্পর্কে নিজের প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে ডাকসুর সাবেক ভিপি বলেন, ‘এ নিয়ে আমাদের বলার কিছু নেই। আমরা গুরুত্ব দিচ্ছি না। এটা আসলে সরকারই করাচ্ছে। সরকারি দলের পৃষ্ঠপোষকতায় এরা আসলে এই কাজগুলো করছে।’
ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক নুরুল হক নুর আরও বলেন, “প্রেস ক্লাবে যারা সংবাদ সম্মেলন করেছে তারা আমাদের সংগঠনের কেউ না। আমরা লাইভে দেখেছি যে ওখানে যারা আছে তাদের একজন ‘চাকরির বয়সসীমা ৩৫’ এর আন্দোলনকারী, ঐক্যবদ্ধ সাধারণ ছাত্র সমাজের সাধারণ সম্পাদক। কয়েকজনকে আমরা চিনিও না। ওখানে এ পি এম সুহেল ছাত্র অধিকার পরিষদে ছিল। কিন্তু গত মে মাসে তাকে সংগঠনের শৃঙ্খলা পরিপন্থী কাজে যুক্ত থাকার কারণে বহিষ্কারকরা হয়েছে। কাজেই তারা সংগঠনের কেউ না।”
তিনি বলেন, “আমরা কোটা সংস্কার আন্দোলন করেছিলাম বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ হিসেবে। সেই আন্দোলনের পরে যেহেতু আমরা একটি রাজনৈতিক প্রক্রিয়ার দিকে যাচ্ছি সেখানে আমরা নামটি সংশোধন করে আমরা ‘বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদ’ করেছি। এখন আগের নাম নিয়ে কেউ যদি দাবি করে সেটা আমাদের বিবেচ্য বিষয় না। তারপরও একজন সংগঠন করতেই পারে। এ নিয়ে আমাদের বলার কিছু নেই। আমরা গুরুত্ব দিচ্ছি না। এটা আসলে সরকারই করাচ্ছে। সরকারি দলের পৃষ্ঠপোষকতায় এরা আসলে এই কাজগুলো করছে।”
উল্লেখ্য, ছাত্র অধিকার পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক মুহাম্মদ রাশেদ খান ও ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুরকে ‘অবাঞ্ছিত’ ঘোষণা করে একই সংগঠনের ২২ সদস্যের নতুন আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করেছে। বৃহস্পতিবার (১৫ অক্টোবর) জাতীয় প্রেস ক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলন করে তারা এই ঘোষণা দেন। আগের ‘বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ’ নামেই তারা নতুন আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করেন।