জনগণের প্রতি আ.লীগ সরকারের আস্থা থাকলে তারা আগের রাতে ভোট ডাকাতি করতো না: মোশাররফ
আওয়ামী লীগ সরকার বাংলাদেশের জন্য বিপর্যয় বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন।
বুধবার ঢাকা-৫ আসনের উপনির্বাচনে বিএনপি মনোনীত ধানের শীষের প্রার্থী সালাহউদ্দিন আহমেদের নির্বাচনী প্রচারণায় অংশ নিয়ে তিনি এ মন্তব্য করেন।
মোশাররফ হোসেন বলেন, আজকে এমন একটি সময় আমরা এই নির্বাচনের মুখোমুখি হচ্ছি যখন বাংলাদেশের ওপর দিয়ে দুটি মহামারি বয়ে চলছে। একটি হলো- আওয়ামী দুর্যোগ আরেকটি হলো করোনা দুর্যোগ। আওয়ামী দুর্যোগ এ জন্য বলছি, আজকে যারা সরকারে আছেন আপনারা জানেন, এ এলাকার মানুষ জানেন, সারা বাংলাদেশের মানুষ জানেন- ৩০ ডিসেম্বরে যে নির্বাচন হওয়ার কথা ছিল ২৯ তারিখ রাতে ভোট ডাকাতির মাধ্যমে সে নির্বাচন নস্যাৎ করা হয়েছে।
এই সরকার বাংলাদেশের জন্য একটি বিপর্যয় উল্লেখ করে খন্দকার মোশাররফ বলেন, এই যে রাতের অন্ধকারে তারা ভোট ডাকাতি করেছে, এটা কেন? এ দেশের শতকরা ৮০ ভাগ মানুষ তখন ধানের শীষে ভোট দেয়ার জন্য প্রস্তুত হয়ে গিয়েছিল। তখন আওয়ামী লীগ ও গোয়েন্দা সংস্থার লোকেরা আওয়ামী লীগের হাইকমান্ড জানালো, ৩০ তারিখ যদি মানুষ সকাল থেকে ভোট দেয়ার সুযোগ পায় তাহলে বিএনপি ৮০ ভাগ ভোট পাবে আওয়ামী লীগের কোনো খবর থাকবে না। তখনই তারা সিদ্ধান্ত নিলো আগের রাতে ভোট ডাকাতি করার। যদি সামান্যতম আস্থা থাকতো যে জনগণ ভোট দিলে তাদের সামান্য অবস্থান থাকবে তাহলে তারা ভোট ডাকাতি করতো না।
তিনি আরও বলেন, যারা ক্ষমতায় আছেন তারা অনৈতিক সরকার, অবৈধ সরকার, গায়ের জোরের সরকার।
১৭ তারিখ সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত নেতাকর্মীদের ভোট কেন্দ্রে থাকার আহ্বান জানিয়ে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব হাবিব-উন-নবী খান সোহেল বলেন, ওইদিন ভোট নিয়ে যদি ফের তালবাহানা করা হয়, যদি ফের আগের রাতে ভোট দিয়ে দেয়া হয় এই নির্বাচন কমিশন এবং এই অবৈধ সরকারের বিরুদ্ধে ডেমরা-যাত্রাবাড়ী এলাকায় প্রচণ্ড থেকে প্রচণ্ড আন্দোলন গড়ে তোলা হবে।