ধর্ষকের শাস্তি নিশ্চিত করতে হলে বিচার প্রক্রিয়ায় ত্রুটি দূর করতে হবে: শাহদীন মালিক
সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ও সংবিধান বিশেষজ্ঞ ড. শাহদীন মালিক বলেছেন, ধর্ষকের শাস্তি নিশ্চিত করতে হলে বিচার প্রক্রিয়ায় ত্রুটি দূর করতে হবে। ত্রুটি দূর না করে শুধু শাস্তি বাড়ালে হিতে বিপরীত হবে।
শাহদীন মালিক বলেন, ‘আমাদের বিচার প্রক্রিয়ায়ই কিছু সমস্যা রয়েছে। আগে এ সমস্যাগুলো দূর করতে হবে।’ তিনি বলেন, ‘আমাদের দেশে আইন কর্মকর্তাদের জন্য কোনো ক্যাডার সার্ভিস নেই। বিশ্বে আমাদের দেশই একমাত্র, যে সরকার ক্ষমতায় আসে, তাদের দলীয় আইনজীবীদের আইন কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োগ দেয়। এদের মধ্যে অনেকেরই মামলা প্রমাণ করার মতো যোগ্যতা, দক্ষতা ও অভিজ্ঞতা থাকে না। ফলে ফৌজদারি মামলায় দোষীর অপরাধ প্রমাণ করার জন্য আইন কর্মকর্তাদের যে ভূমিকা থাকা প্রয়োজন, এটা তারা পালন করতে পারেন না।’
তিনি বলেন, ‘আমাদের পুলিশেরও তদন্তে দক্ষতার অভাব রয়েছে। তাদের আরও প্রশিক্ষিত করে এই দক্ষতার অভাব দূর করতে হবে। এ ছাড়া সাক্ষী হাজিরে পুলিশের খামখেয়ালি ভাব বন্ধ করতে হবে।’ এ সংবিধান বিশেষজ্ঞ বলেন, সাক্ষী হাজির হয়ে সাক্ষ্য না দিলে বিচার করা যাবে না। দীর্ঘসূত্রতা হলো সাক্ষী আসে না। বিচারকরা একের পর এক সাক্ষীর জন্য তারিখ নির্ধারণ করেন। মামলা বিলম্বের মূল কারণ সাক্ষী হাজির না করা।
শাহদীন মালিক বলেন, ‘এসব সমস্যার কারণেই আমাদের দেশে ধর্ষণের মামলায় দোষী সাব্যস্ত হওয়ার হার ২ শতাংশের কম। তাই সবার আগে এই ত্রুটি দূর করতে হবে। ত্রুটি দূর না করে শাস্তি যতই বাড়ানো হোক, এতে হিতে বিপরীত হবে।’