আইন কাগজের মধ্যে থাকলে চলবে না, আইনের প্রয়োগ থাকতে হবে: গয়েশ্বর
স্বাধীনতা-সারভৌমত্ব ও গণতন্ত্র আজ ধর্ষিত মন্তব্য করে বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেছেন, ‘একদিকে আপনি দেখছেন, নারী শিশুদের নির্যাতনের মহোৎসব, অন্যদিকে দেখছেন লুটপাট, দখলবাজী ও বাকস্বাধীনতা রুদ্ধ করার মহোৎসব। এই অবস্থা থেকে পরিত্রাণ পেতে সকলকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।’
মন্ত্রিসভায় ধর্ষণের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদন্ড করার আইন সংশোধনে নীতিগত অনুমোদনের পর গতকাল সোমবার (১২ অক্টোবর) দুপুরে এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘ধর্ষণ অপরাধের শাস্তি যদি মৃত্যুদন্ড হয়, তাহলে কি কালকে থেকে এই অপকর্ম বন্ধ হয়ে যাবে? বন্ধ হবে না। আইন কাগজের মধ্যে থাকলে চলবে না, আইনের প্রয়োগ থাকতে হবে। প্রশাসনকে জনগণের পক্ষে আইনের দৃষ্টিতে জনগণকে সুরক্ষা দিতে হবে। জনগণের পাশে থাকতে হবে।’ বিচারহীনতার সংস্কৃতির কারণেই কিন্তু আজকে একের পর এক অপরাধ বাড়ছে বলেও তিনি মন্তব্য করেন।
গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, ‘ক্রিমিনাল কোডে লেখা আছে-কতটুকু অপরাধের জন্য কতটুকু শাস্তি। আইনের শাসন থাকলে কিন্তু আমরা সেই ক্রিমিনাল কোড প্রয়োগ করতে পারি। আইনের শাসন নাই বলেই প্রশাসনের জবাবদিহিতা নাই, বিচার বিভাগের স্বাধীনতা নাই। বিচার বিভাগ স্বাধীন সংবাদপত্রের মতো কিন্তু বিচারকরা স্বাধীন না।’
তিনি বলেন, ‘দেশ ও জনগণের জন্য যদি কিছু চান তাহলে চিৎকার করে বলতে হবে ‘স্টপ জেনোসাইড’। স্টপ জেনোসাইড মানে আমার মা-বোন-শিশু যে যেখানে আছে, তাদেরকে আমি নিরাপদ জীবনের নিশ্চয়তা দিতে চাই। এর চেয়ে বড় পাওয়ার কিছু নাই।’
গয়েশ্বর বলেন, ‘আজকে ধর্ষণের শব্দটা শুধু নারী-শিশুর মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়। গোটা বাংলাদেশটাই তো ধর্ষিত। আমাদের জননী-জন্মভুমি স্বর্গের চেয়ে পবিত্র। সেই পবিত্র জায়গায় যদি হাত পড়ে অপবিত্র হয়, তাহলে ধর্ষিত রাষ্ট্র বলা যায় না।’
জাতীয় প্রেসক্লাবের আবদুস সালাম হলে জাতীয়তাবাদী সামাজিক সাংস্কৃতিক সংস্থা-জাসাস মহানগরের উদ্যোগে দেশব্যাপী অব্যাহত ধর্ষণ ও নারী নির্যাতনের প্রতিবাদে এই আলোচনা সভা হয়।
জাসাস মহানগরের আহবায়ক মীর সানাউল হকের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় জাসাসের সভাপতি বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য অধ্যাপক মামুন আহমেদ, জাসাসের আহসান উল্লাহ চৌধুরী, রফিকুল ইসলাম, লিয়াকত আলী, শরীফ মাহমুদুল হক, আরিফুর রহমান মোল্লা ও জাকির হোসেন রোকন প্রমুখ বক্তব্য দেন।