২০১৪ ও ১৮ সালের নির্বাচন ছিল আওয়ামী ‘ধর্ষকদের’ ট্রেনিং ক্যাম্প: আলাল
২০১৪ ও ১৮ সালের নির্বাচন ধর্ষকদের ট্রেনিং ক্যাম্প ছিল বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির যুগ্ম-মহাসচিব ও যুবদলের সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকেট সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল। তিনি বলেন, ‘এ পর্যন্ত যত ধর্ষকদের বাছাই করা হয়েছে এবং যাদের চেহারা উন্মোচিত হয়েছে, তাদের সবার ট্রেনিং ক্যাম্প ছিল ২০১৪ এবং ২০১৮ সালের নির্বাচন। ওই ট্রেনিং ক্যাম্প থেকে তাদের মুরুব্বীরা তাদের বাছাই করেছে।’
শনিবার (১০ অক্টোবর) দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বাংলাদেশ শিক্ষক সমন্বয় পরিষদের উদ্যোগে আয়োজিত মানববন্ধনে এসব কথা বলেন তিনি।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ডক্টর মোর্শেদ হাসান খান এবং জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ওয়াহিজ্জামান অ্যাপোলোকে অন্যায়ভাবে চাকরিচ্যুত করার প্রতিবাদে এ কর্মসূচি পালন করা হয়।
জনগণের কাছে ক্ষমতা ফেরত দেয়ার জন্য অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের ঘোষণা দিতে আদালতের প্রতি আহ্বান জানিয়ে আলাল বলেন, ‘গত পরশুদিন এবং তার আগের দিন দু’রাতে আদালত মধ্যরাতে বসেছে। উচ্চ আদালত বসে বাকেরগঞ্জের ৪ শিশুকে তাদের পরিবারের কাছে ফেরত দিয়েছে। আরও একটি ঘটনায় অত্যন্ত ভালো উদ্যোগ তারা নিয়েছেন। আদালতকে বলব সব যখন স্তব্ধ হয়ে যায়, মানুষ তখন আদালতের দিকে তাকিয়ে থাকে। আপনারা মধ্যরাতে আদালত বসান। মধ্যরাতে আদালত বসিয়ে বাংলাদেশের সংবিধানের যারা অভিভাবক সেই জনগণের কাছে ক্ষমতা ফেরত দিতে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের ঘোষণা দিন। এই সরকারকে পদত্যাগ করতে বাধ্য করুন তাহলে মানুষ আপনাদের স্বরণ করবে।’
তিনি বলেন, ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পহেলা বৈশাখে যৌন নির্যাতন হয়েছে। তার বিচার এখনো পর্যন্ত হয়নি। সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ৭ ই মার্চের ভাষণে যাওয়ার পথে যৌন নিপীড়নের শিকার বোনদের বিচার পাওয়া হয়নি। ভিকারুন্নেসা নুন এর পরিমল যে ছাত্রী ধর্ষণ করেছে তার বিচার হয়নি। হোটেল রেনটিতে আওয়ামী লীগের এমপির দুই ছেলে গণধর্ষণ করছে তার বিচার হয়নি। আমরা জানি এখন যেসব ধর্ষণ হচ্ছে এগুলোরও বিচার হবে না। শুধুমাত্র চোখে সুরমা লাগানোর ব্যবস্থা করা হচ্ছে। এই বিচার ব্যবস্থাকে যারা কলুষিত করেছে, তাদের বিরুদ্ধে দুটি পথ। প্রথমটা রাজপথে উত্তাল আন্দোলন করা আর আরেকটা হচ্ছে আদালত।’
বিএনপির এই যুগ্ম মহাসচিব বলেন, ‘বাংলাদেশের জন্মের পর থেকে এই ৫০ বছরে বর্তমান প্রেসিডেন্ট কি পরিমাণ আওয়ামী দস্যুদের ক্ষমা করে দিয়েছেন তা আপনারা জানেন। মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি, যাবজ্জীবন ও শীর্ষ সন্ত্রাসীদের মুক্তি দিয়েছেন। এরা কলমের খোঁচায় যা খুশি তা করে ক্ষমা পেয়ে যাবেন। আইনে কিছু আসে যায় না। যদি আইনে কিছু আসতো তাহলে তো ‘রং হেডেড লেডি’ বলার পর তারতো সাংবিধানিকভাবে নির্বাচন করার অধিকার থাকে না। সে দেশের প্রধানমন্ত্রী হয় কিভাবে?’
এ সময় অধ্যাপক মোর্শেদ হাসান সহ যে সকল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক চাকরি হারিয়েছেন তাদের প্রতি চাকরি ফিরিয়ে দেয়ার দাবি জানান তিনি।
আয়োজক সংগঠনের সভাপতি ও বিএনপির শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক ওবায়দুল ইসলামের সভাপতিত্বে এবং সদস্য সচিব অধ্যাপক সেলিম ভূঁইয়ার সঞ্চালনায় মানববন্ধনে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, খায়রুল কবির খোকন, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার রিয়াজুল ইসলাম রিজু, সহ-প্রচার সম্পাদক কৃষিবিদ শামীমুর রহমান শামীম, যুবদলের সাধারণ সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল কাদের ভূঁইয়া জুয়েল, ছাত্রদলের সভাপতি ফজলুর রহমান খোকন, সিনিয়র সহ-সভাপতি কাজী রওনুকুল ইসলাম শ্রাবন,সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন শ্যামল, সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আমিনুর রহমান আমিন, সাবেক ছাত্রদল নেত্রী আরিফা সুলতানা রুমা প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।