ধর্ষণের শাস্তি ফাঁসি নয়, ৫০ বছরের কারাদণ্ড চান জাফরুল্লাহ
নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে নারীকে ধর্ষণ ও বিবস্ত্র করে নির্যাতন এবং সিলেট এমসি কলেজে স্বামীকে আটকে রেখে গৃহবধূকে ধর্ষণের ঘটনার প্রতিবাদে ও ধর্ষকদের শাস্তি মৃত্যুদণ্ড করার দাবিতে সারাদেশে আন্দোলন করছে বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ। আর এই লাগাতার দাবির মুখে মৃত্যুদণ্ডের বিধান রেখে সংশ্লিষ্ট আইনটি সংশোধনের উদ্যোগ নেওয়ার কথা জানিয়েছে সরকার। তবে ধর্ষণের শাস্তি ফাঁসি নয়, ৫০ বছরের কারাদণ্ড চান গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ও ট্রাস্ট্রি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী।
তিনি বলেছেন, ‘ফাঁসির দাবি না জানিয়ে ৫০ বছরের কারাদণ্ড চাইতে হবে। তবে সম্রাটের মতো কারাদণ্ড না। কেননা পিজি হাসপাতালে ১১ মাস তারা ভিআইপি কেবিনে কাটায়। এ ধরনের ছলনা নয়।’
শনিবার (১০ অক্টোবর) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে ভাসানী অনুসারী পরিষদ আয়োজিত এক মানববন্ধনে তিনি এসব কথা বলেন।
জাফরুল্লাহ বলেন, ‘ধর্ষণের মতো এত বড় অপরাধ যারা করেছে, তাদের দুই মিনিটের ফাঁসি হবে। দুই মিনিটেই তাদের শাস্তি শেষ হয়ে যাবে?- প্রশ্ন রাখলেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রীকে উদ্দেশ্য করে জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, ‘আপনার মেয়েকে যদি কেউ নিয়ে যেতো তাহলে কি দুই মিনিটের ফাঁসি দিয়ে আপনার কান্না থামতো? আমার কান্না কিন্তু থামতো না।’
তিনি আরও বলেন, ‘আপনাদের বাড়ি ও প্রেসিডেন্ট হাউজ থেকে পুলিশ প্রত্যাহার করেন। জীবনের এতো ভয় কিসের আপনাদের। ভয় যদি থাকে তবে সামরিক বাহিনী দিয়ে পাহারা দেওয়ান। আর পুলিশ বাহিনীকে দেশের শৃঙ্খলা নিয়োগে রাখেন। প্রতিটি বাসে, রেলপথে, রাস্তাঘাটে পুলিশ দেন। প্রতিটি গার্লস স্কুলে মেয়েদের ক্যারাতি শেখান। ছেলেমেয়েদের বিদ্যালয়ে খেলাধুলার পাশাপাশি শিক্ষার পরিবর্তন আনেন। নয়তো একদিন দুইদিনের আন্দোলনে সরকারের পতন হবে।’
প্রধানমন্ত্রীকে ভারতীয় লোকদের দ্বারা প্ররোচিত না হয়ে চলার আহব্বান জানিয়ে তিনি বলেন, আপনি যদি সত্যিকার অর্থে বঙ্গবন্ধুকে শ্রদ্ধা করেন, বঙ্গবন্ধুর কন্যা হিসেবে আপনার কাজ হবে, একটা সত্যিকার নির্বাচন দেয়া। নয়তো ইতিহাস আপনাকে ক্ষমা করবে না। আপনি অনুগ্রহ করে ভারতীয়দের দ্বারা প্ররোচিত হয়ে চলাফেরা করবেন না।
জাফরুল্লাহ বলেন, আজকে আপনারা যদি মনে করেন এ আন্দোলন থেমে যাবে, এটা ভুল। থামলেও আপনি শান্তি পাবেন না। বঙ্গবন্ধু কবরে বসে শান্তি পাবে না। উনি নিশ্চয়ই দুঃখ পাচ্ছেন আজকের বাংলাদেশ দেখে। আজকে আমাদের সবার দায়িত্ব আপনাকে অনুরোধ করা। আপনি রাস্তায় নেমে আসেন স্বচোক্ষে দেখেন। ডিজিটাল বাদ দিয়ে আসেন এখানে, আসেন আমাদের সামনে এসে দাঁড়ান। তবেই জাতি বুঝবে আপনি এ জাতীয় সমস্যা সমাধান করতে চান।