নৌকার সমর্থকরা মসজিদে নামাজও পড়তে দিচ্ছে না: সালাহউদ্দিন
আওমীলীগ প্রার্থীর সমর্থকরা নামাজ পড়তে মসজিদে ঢুকতে দিচ্ছে না অভিযোগ করে ঢাকা-৫ আসনের উপনির্বাচনে বিএনপির প্রার্থী সালাউদ্দিন আহমেদ বলেন, আজ জুমার নামাজ আদায় করতে মসজিদেও ঢুকতে বাঁধা দিচ্ছে আওয়ামীলীগের সমর্থকরা। এতেই প্রতীয়মান হচ্ছে তারা আমাকে কিভাবে বাধাগ্রস্ত করছে? একজন ঈমানদার মুসলমান হিসেবে গতকাল জনতাবাগের একটি মসজিদে নামাজ আদায় করার জন্য আমি গিয়েছিলাম। কিন্তু সেখানে আওয়ামী সন্ত্রাসী বাহিনী দিয়ে আগেই সবকিছু ব্লক করে দেয়া হয়েছে। যাতে আমি সেখানে নামাজ পড়তে না পারি।
তিনি বলেন, আজ শুক্রবার আমি এখানে নামাজ পড়তে এসেছি কাউকে না জানিয়ে। এমনকি আমার দলীয় নেতা-কর্মীদেরও জানানো হয়নি। আগাম জানিয়ে আসলে আওয়ামী লীগের লোকেরা আমার নামাজে বাধাগ্রস্ত করবে যে কারনে আমি এখানে না জানিয়ে নামাজ পড়তে এসেছি।
শুক্রবার(৯ অক্টোবর) যাত্রাবাড়ি ওয়াসা রোড জামে মসজিদে জুমা’র নামাজ পড়তে মসজিদের প্রবেশ সময় তিনি এসব কথা বলেন। এর আগে তিনি আশপাশের এলাকায় গণসংযোগ করেন।
নির্বাচনী দায়িত্ত্বপ্রাপ্ত কিছু ম্যাজিস্ট্রেট তার নির্বাচনী প্রচারণায় বাঁধার সৃষ্টি করছে অভিযোগ করে সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, আমি নির্বাচন কমিশনকে একটা কথা বলতে চাই, যা আমি আগেও অনেকবার বলেছি, ‘একটা সুষ্ঠু নির্বাচনের পরিবেশ সৃষ্টি করুন। কিন্তু কমিশনের নিয়োগপ্রাপ্ত কিছু মহিলা ম্যাজিস্ট্রেট এক তরফাভাবে আমাকে বাঁধাগ্রস্ত করছে। আমি কোথাও গেলে আমাকে ফোন করে বলে আপনি মিছিল করতে পারবেন না। অথচ সরকারী দলের প্রার্থী মিছিল মিটিং সবই করছেন। এটা কোন আইনের বলে?’
তিনি বলেন, ‘নির্বাচন বিধিতে যে আইন আছে সে আইনে নির্দিষ্ট সময়ে আমি সকল প্রকার মিটিং মিছিল ও গণসংযোগ করি। কিন্তু গতকাল শুক্রবার আমি ৬০ নং ওয়ার্ডে নির্বাচনী প্রচারণায় গিয়েছিলাম সেখানে পুলিশ এসে আমাকে ফোনে একজন মহিলা ম্যাজিস্ট্রেটকে ধরিয়ে দিলেন। সেই মহিলা ম্যাজিস্ট্রেটকে আমি নাম জিজ্ঞেস করলাম কিন্তু তিনি তার নাম বললেন না। আমি মিছিল বন্ধ করার কারণ জানতে চাইলেও তিনি আমাকে কোন কারণ বলেননি।’
এসময় বাঁধার মুখে শেষ পর্যন্ত মাঠে থাকবেন কিনা সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমি ভোটারদেরকে আশ্বস্ত করতে চাই যে যত বাঁধা আসুক আমি শেষ পর্যন্ত মাঠে থাকবো ও নির্বাচনের দিন সকালে ভোট কেন্দ্রে অবস্থান করবো।
নামাজের পরে সালাহউদ্দিন আহমেদ তার প্রধান নির্বাচনী কার্যালয়ে স্থানীয় বিএনপি এবং অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীদের সাথে মতবিনিময় করেন। এ সময় তিনি বলেন, সরকার যদি কোন অন্যায় নির্দেশ দেয় তা উপেক্ষা করতে হবে। কোন ধরণের ভয়ভীতিতে পিছ পা হলে চলবে না।
তিনি আরো বলেন, আমি আপনাদের সন্তান। অতীতে আপনাদের সেবা করেছি, যতদিন বাঁচব ততদিন আপনাদের সেবায় জীবন উৎসগ করব। কান্নাজড়িত কন্ঠে সালাহউদ্দিন বলেন, আমাকে নানা কৌশলে মিথ্যা মামলা দিয়ে আদালতে ব্যস্ত রাখা হচ্ছে, প্রচারণায় হামলা করা হচ্ছে, প্রচারণায় পুলিশ দিয়ে বাঁধা দেয়া হচ্ছে। তাই আমি এলাকাবাসীর কাছে যেতে পারছি না।
এসময় ঢাকা দক্ষিন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক তানভীর আহমেদ রবিন, সহ-সম্পাদক আকবর হোসেন ভূঁইয়া নান্টু, যাত্রাবাড়ী বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মিজানুর রহমান ভাণ্ডারী, সহ সভাপতি আনোয়ার হোসেন সরদার, সহ সম্পাদক মাসুম দেওয়ান ও শাহীন আহমেদ শাহীনসহ শতাধিক নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।