ধর্ষণবিরোধী মানববন্ধন থেকে তুলে নিয়ে দুই শিক্ষার্থীকে হাতুড়িপেটা
নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় ধর্ষণবিরোধী মানববন্ধন থেকে তুলে নিয়ে দুই শিক্ষার্থীকে হাতুড়িপেটা করার ঘটনা ঘটেছে। মানববন্ধন চলাকালে লঞ্চঘাটের সামনে গাড়ি রাখাকে কেন্দ্র করে ঘাট কর্তৃপক্ষের লোকজন এ ঘটনা ঘটিয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
এ সময় মানববন্ধনে অংশ নেয়া ঢাকা টিঅ্যান্ডটি কলেজের ছাত্র মিলন ও বন্দর কদম রসূল কলেজের ছাত্র মাসুমকে পিটিয়ে আহত করে তারা। পরে খবর পেয়ে তাদের হাত থেকে শিক্ষার্থীদের উদ্ধার করেন পুলিশ ও সাংবাদিকরা।
মঙ্গলবার (৬ অক্টোবর) বিকেলে ফতুল্লা লঞ্চঘাটের সামনে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ফতুল্লা মডেল থানায় অভিযোগ দিয়েছেন শিক্ষার্থীরা।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, মঙ্গলবার সারাদেশে নারী ও শিশু ধর্ষণ নির্যাতনের বিচার দাবিতে ফতুল্লার সর্বস্তরের শিক্ষার্থীদের ব্যানারে আয়োজিত মানববন্ধনে কয়েকশ শিক্ষার্থী অংশ নেন। সেখানে গিয়ে সংহতি প্রকাশ করেন জেলা ছাত্রলীগের সহসম্পাদক সামিউন সিনহা ও ইমরান হোসেন শুভ। এছাড়া ফতুল্লা প্রেসক্লাবের সভাপতি সৈয়দ ওবায়েদ উল্লাহ, সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহিম বক্তব্য রাখেন।
মানববন্ধন চলাকালে ফতুল্লা লঞ্চঘাটের সামনে গাড়ি না রাখতে অনুরোধ করে শিক্ষার্থীরা। এতে করে যানজট দেখা দিতে পারে বলে ঘাট কতৃর্পক্ষকে বোঝাতে থাকে। ওই সময় তর্ক বেধে গেলে ঘাট পাহারাদার মুন্না বাহিনীর নেতৃত্বে নিহাদ, হৃদয়, তানভীরসহ তাদের অনুগামীরা শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা চালিয়ে মিলন ও মাসুম নামে দুজনকে তুলে নিয়ে যায়। এরপর তাদেরকে হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে মিলনের দুই হাত ও মাসুমের দুই পা ভেঙে দেয়া হয়। পরে থানায় খবর দেয় শিক্ষার্থীরা।
মানববন্ধনে অংশ নেয়া জেলা ছাত্রলীগ নেতা শুভ জানান, থানায় গিয়ে তুলে নিয়ে যাওয়া দুই শিক্ষার্থীকে উদ্ধার করতে অনুরোধ জানাই। কিন্তু পুলিশ অনেক দেরি করে ঘটনাস্থলে যায়। ওই সময়ের মধ্যে হাতুড়ি দিয়ে শিক্ষার্থীদের বেধড়ক পেটানো হয়েছে। সময়মতো গেলে হয়ত এত মার খেতে হত না।
ফতুল্লা মডেল থানার ওসি আসলাম হোসেন জানান, লঞ্চঘাটের সামনে দু’পক্ষের সংঘর্ষের খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনেছে। বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। এ বিষয়ে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়া হবে।