খালেদা জিয়া কে আবার প্রয়োজন এই মাতৃভূমির, একজন খালেদা জিয়া অতুলনীয়

0

মিনুর সুন্দর মুখ।

সময়টা ২০০২ সাল, বিএনপির সরকার তখন রাষ্ট্র ক্ষমতায়।

প্রতিদিন দেশের কোন না কোন জায়গায় নারীরা এসিড নিক্ষেপের শিকার হচ্ছে এবং সংখ্যাটা প্রতিনিয়ত বেড়েই চলেছে। সংবাদপত্র খুললেই এসিড নিক্ষেপের খবরে সয়লাব। প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া খুবই উদ্বিগ্ন। তিনি ভাবলেন নারীর প্রতি এই সহিংসতা এখুনি বন্ধ করা দরকার। তার জন্য যা যা করার তিনি সবই করলেন। সংসদে আইন পাশ হলো, অপরাধ প্রমাণিত হলে মৃত্যুদন্ড আর বিচার ৯০ দিনের মধ্যে শেষ করতে হবে। সেই সাথে সমানতালে চললো প্রচারণা। টিভি খুললেই সেই বিজ্ঞাপন “টাকা না পাইলে মিনুর সুন্দর মুখ আর সুন্দর থাকবো না”। ম্যাজিকের মতো কাজ করলো প্রধানমন্ত্রীর আইডিয়াটা। ২ বছরের মধ্যে এসিড নিক্ষেপের ঘটনা শূন্যের কোটায় নামলো। বাংলাদেশ এক অভিশাপ থেকে মুক্তি পেল।

নতুন প্রজন্ম চাইলে Acid Survivors in BD লিখে ইউটিউবে ঘুড়ে আসতে পারেন। বুঝতে পারবেন কি দুর্বিষহ স্মৃতি !!

২০২০ সাল ঠিক একই রকম সমস্যার সম্মুখীন বাংলাদেশ। এবারের সমস্যা ধর্ষণ! কিন্তু এইবার রাষ্ট্র পরিচালনার প্রেক্ষাপট ভিন্ন। জাহাঙ্গীর নগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগ নেতা মানিক ধর্ষণে সেঞ্চুরি করে কেক কেটে উদযাপন করেছিল প্রকাশ্যে, কোন বিচার হয় নি। সুবর্ণেচরের সেই গৃহবধু আজও বিচার পায়নি। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী ধর্ষণের বিচারে মজনু নাটক সবাই জানে। এই রকম অহরহ উদাহরণ আছে।

পরিসংখ্যান বলছে গড়ে ৯৭ % ধর্ষণের বিচার হয় না বর্তমান দেশে। এই দেশ যখনই বিপদে পরেছে জিয়া পরিবার সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়ে তা সামাল দিয়েছে। একজন খালেদা জিয়া কে আবার প্রয়োজন এই মাতৃভূমির, একজন খালেদা জিয়া অতুলনীয়।

©

তুমি এটাও পছন্দ করতে পারো

উত্তর দিন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রচার করা হবে না.

WP2Social Auto Publish Powered By : XYZScripts.com