দেশকে একটা অকার্যকর রাষ্ট্রে পরিণত করার লক্ষ্যে আ.লীগ সরকার কাজ করছে: বিএনপি

0

নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে এক নারীকে বিবস্ত্র করে শ্লীলতাহানি এবং সেই ভিডিও প্রকাশ, সিলেটের এমসি কলেজে স্বামীর কাছ থেকে স্ত্রীকে ছিনিয়ে নিয়ে গণধর্ষণসহ সারা দেশে একের পর এক ধর্ষণ, গণধর্ষণ ও নারী নিপীড়নের ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশারফ হোসেন।

তিনি বলেছেন, ‘আজকে এই যে ধর্ষণ এটা শুধুমাত্র একজন মহিলাকে ধর্ষণ না, একটা গোটা বাংলাদেশকে ধর্ষণ, বাংলাদেশের গণতন্ত্রকে ধর্ষণ, বাংলাদেশের জনগণকে ধর্ষণ। এর ধিক্কার দেয়ার ভাষা আমাদের কাছে নাই।’ 

বুধবার(৭ অক্টোবর) দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ও উত্তর বিএনপি আয়োজিত এক মানববন্ধনে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, ‘আমরা বাংলাদেশে বহু অপকর্ম দেখেছি, শুনেছি। কিন্তু এই যে এমসি কলেজে স্বামীর হাত থেকে স্ত্রীকে টেনে নিয়ে ধর্ষণ, বেগমগঞ্জে নারীকে বিবস্ত্র করে যে নির্মম নির্যাতন তা কখনও এদেশে এর আগে দেখিনি। এগুলো কারা করেছে, তা পত্রপত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে। আওয়ামী লীগের ছাত্রলীগের সোনার ছেলেরা এসব ঘটিয়েছে।’ 

তিনি আরও বলেন, ‘আমরা দেখেছি, বেগমগঞ্জে নারীকে যে ধর্ষণ করেছে সেই ধর্ষকের বিরুদ্ধে এক বছর আগেই ধর্ষণের অভিযোগে মামলা রয়েছে, তারতো এখন জেলে থাকার কথা। তাহলে কী করে সে নতুন করে এ অপকর্ম করতে পারে।’

বিএনপির স্থায়ী কমিটির এ সদস্য বলেন, ‘শুধু ধর্ষণ নয়, আজকে বাংলাদেশের অর্থনীতিকে তারা লুট করেছে। দেশকে একটা অকার্যকর রাষ্ট্রে পরিণত করার লক্ষ্যে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে আজ সরকার এ কাজ করছে। আজকে তারা কোনও ক্ষেত্রে কোনও কিছুর নিয়ন্ত্রণ করতে পারে না। স্বাস্থ্য অধিদফতরের ড্রাইভারের কী পরিমাণ টাকা তা আপনারা দেখেছেন। ড্রাইভারের যদি এ পরিমাণ টাকা থাকে তবে যারা নেতৃত্ব দিচ্ছেন তাদের কী পরিমাণ আছে!’ 

খন্দকার মোশাররফ বলেন, ‘ফরিদপুর জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক যদি ২ হাজার কোটি টাকা পাচার করতে পারে তাহলে এই ছাত্রলীগ যারা পরিচালনা করেন সেই আওয়ামী লীগ নেতাদের হাতে কী পরিমাণ টাকা পাচার হয়েছে? আজকে কেন এগুলো হচ্ছে? কারণ একটাই, দেশে আজকে বিচার নেই। বিচারহীনতা ও গণতন্ত্রহীনতার কারণে আজকে সমাজের এই দুষ্ট ব্যক্তিরা ক্ষমতার দোহাই দিয়ে অপকর্ম করছে। আজকে বাংলাদেশ এমন একটা অবস্থায় গিয়েছে যে মহামারি করোনাকে ভয় না করে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে প্রতিবাদ করতে এসেছি।’

এসময় ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সভাপতি হাবিব-উন-নবী খান সোহেলের সভাপতিত্বে মানববন্ধনে আরও উপস্থিত ছিলেন, বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আব্দুস সালাম, যুগ্ম মহাসচিব মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, খায়রুল কবির খোকন, সাংগঠনিক সম্পাদক ইমরান সালেহ প্রিন্স, স্বেচ্ছাসেবকবিষয়ক সম্পাদক মীর সরফত আলী সপু, ঢাকা-৫ উপনির্বাচনে বিএনপির প্রার্থী সালাহউদ্দিন আহমেদ, ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেন, কৃষকদলের সদস্য সচিব কৃষিবিদ হাসান জাফির তুহিন, যুবদলের সাধারণ সম্পাদক সুলতান সালাহউদ্দিন টুকু, স্বেচ্ছাসেবক দলের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক আব্দুল কাদির ভুঁইয়া জুয়েলসহ অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের অসংখ্য নেতাকর্মী। 

তুমি এটাও পছন্দ করতে পারো

উত্তর দিন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রচার করা হবে না.

WP2Social Auto Publish Powered By : XYZScripts.com