নারীর উপর নির্যাতন অবৈধ আ.লীগ সরকারের নিয়মিত ব্যবস্থায় পরিণত হয়েছে: ফখরুল

নারীর উপর নির্যাতন অবৈধ সরকারের নিয়মিত ব্যবস্থায় পরিণত হয়েছে মন্তব্য করে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে লোমহর্ষক ভয়াবহ ঘটনা ঘটেছে, তা সমস্ত জাতি শুধু নয়, আমার মনে হয় সমস্ত বিশ্ব বিবেককে নাড়া দিয়েছে। শুধু নোয়াখালীর ঘটনা নয়, গত কয়েকমাসে আপনারা লক্ষ্য করেছেন, ধর্ষণের মহোৎসব শুরু হয়েছে। নারীর শ্লীলতাহানী, নারীর উপর নির্যাতন এটা এখন এই অবৈধ সরকারের নিয়মিত ব্যবস্থায় পরিনত হয়েছে।

বুধবার (৭ অক্টোবর) দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে ঢাকা মহানগর দক্ষিন ও উত্তর বিএনপি আয়োজিত এক মানববন্ধনে তিনি এসব কথা বলেন। দেশব্যাপী অব্যাহতভাবে ধর্ষণের প্রতিবাদে এ মানববন্ধনের আয়োজন করা হয়।

তিনি বলেন, দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে শুধু তাই নয় অর্থনীতি আজ ধংশের মুখে। মানুষের জীবনের কোন নিরাপত্তা নাই। আজকে এই দেশে সবচেয়ে অসহায় অবস্থায় আছেন আমাদের মা-বোনেরা। প্রতি মুহূর্তে তারা নিজেদের নিরাপত্তা নিয়ে চিন্তিত হয়ে পড়েছে। আমরা স্পষ্টভাবে বলতে চাই সরকার ক্ষমতায় থাকার সকল অধিকার হারিয়েছে। তাদের ক্ষমতায় থাকার কোন ধরনের কোন কারন নেই।

মির্জা ফখরুল বলেন, করোনা মহামারীর শুরু থেকে এই সরকারের ব্যর্থতা আড়াল করতে তারা বিভিন্ন দিকে মানুষের চোখ ডায়বাট করছে। আমরা বারবার সরকারকে বলেছি কিন্তু সরকার কোন কর্ণপাত করেনি। কারন, এই সরকার জনগণের ভোটে নির্বাচিত নয়। এই সরকার রাতের আধারে জোর করে জনগণের ভোট ডাকাতি করে অবৈধভাবে ক্ষমতায় বসে আছে।

তিনি আরও বলেন, আজকে আমরা যারা গণতন্ত্রে বিশ্বাস করি, স্বাধীনতা সার্বভৌমত্বে বিশ্বাস করি এবং ভাবি মানুষের স্বাধীনভাবে বসবাস করা উচিত, তারাই পারবে একমাত্র এই সমস্যার সমাধান করতে। ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের মধ্য দিয়ে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে।

বিএনপি মহাসচিব বলেন,  আমাদের চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া গণতন্ত্রের জন্য সংগ্রাম করতে গিয়ে এখনও বন্দি আছেন। আজকে তিনি অসুস্থ কিন্তু তাঁর যেটা প্রাপ্য সেটা তাঁকে দেয়া হচ্ছে না। আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান তিনি আজ দেশের বাইরে। তাকে ফিরিয়ে আনতে হলে আমাদের আজকে অবশ্যই ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।

ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সভাপতি হাবিব-উন-নবী খান সোহেলের সভাপতিত্বে মানববন্ধনে এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, চেয়ারপার্সন এর উপদেষ্টা আব্দুস সালাম, যুগ্ম মহাসচিব মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, খায়রুল কবির খোকন,সাংগঠনিক সম্পাদক ইমরান সালেহ প্রিন্স,স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক মীর সরফত আলী সপু, ঢাকা-৫ উপনির্বাচনে বিএনপির প্রার্থী সালাহউদ্দিন আহমেদ, ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেন, কৃষকদলের সদস্য সচিব কৃষিবিদ হাসান জাফির তুহিন, যুবদল সাধারন সম্পাদক সুলতান সালাহউদ্দিন টুকু, সেচ্ছাসেবক দলের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান, সাধারন সম্পাদক আব্দুল কাদির ভুঁইয়া জুয়েল সহ অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনগুলোর কয়েকশত নেতাকর্মী।