ধর্ষণে ‘জিরো টলারেন্স’ নীতি গ্রহণের দাবি

0

ধর্ষণের ক্ষেত্রে ‘জিরো টলারেন্স’ নীতি অবলম্বন করার দাবি জানিয়েছেন ৬৬টি নারী, মানবাধিকার ও উন্নয়ন সংগঠনের সমন্বয়ে গঠিত ‘সামাজিক প্রতিরোধ কমিটি’। মঙ্গলবার (৬ অক্টোবর) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে আয়োজিত মানববন্ধন থেকে এ দাবি জানানো হয়।

মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, করোনা মহামারীর সময়ে সমগ্র দেশ আজ ধর্ষণের অভয়ারণ্যে পরিণত হয়েছে। নারীরা যখন তাদের মেধা, শ্রম ও নিজ প্রচেষ্টার মাধ্যমে দেশের উন্নয়নে অবদান রাখছে, ঠিক তখনই ক্রমবর্ধমান হারে সহিংসতার ঘটনা নারীদের এগিয়ে চলায় বড় ধরণের প্রতিবন্ধকতা তৈরি করছে। বিংশ শতাব্দীতে এসে প্রযুক্তিগত উন্নয়ন হয়েছে, কিন্তু নারীর প্রতি ভাবনার ক্ষেত্রে মানসিকতার উন্নয়ন ঘটেনি। সহিংসতার ঘটনায় রাজনৈতিক, প্রশাসনিক ছত্রছায়ায় যে বিভিন্ন অপরাধী বাহিনী গড়ে উঠছে এগুলো প্রশাসন থেকে প্রতিহত করা না হলে সহিংসতার ঘটনা বাড়তেই থাকবে।

তারা আরও বলেন, ধর্ষণ সকল দেশেই হয় এমন মানসিকতা যতদিন রাষ্ট্রের নীতিনির্ধারকরা বহন করবেন ততদিন দেশ এই সহিংসতা থেকে মুক্ত হবে না। সহিংসতা দূর করতে সংসদে জবাবদিহিতার জায়গা তৈরি করা এবং দেশে বিচারহীনতার সংস্কৃতি দূর করে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় রাষ্ট্রকে কঠোর হতে হবে। ধর্ষণের ক্ষেত্রে জিরো টলারেন্স নীতি অবলম্বন করতে হবে। রাজনৈতিক, প্রশাসনিক ও রাজনীতির ছত্রছায়ায় অপরাধীদের আশ্রয় দেয়া বন্ধ করতে হবে। দোষীদের কঠোর দ্রুত শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে।

মানববন্ধনে বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ডা. ফওজিয়া মোসলেম, সাধারণ সম্পাদক মালেকা বানু, মানুষের জন্য ফাউন্ডেশনের প্রতিনিধি নাজরানা হক হীরা, বাংলাদেশ নারী প্রগতি সংঘের সেলিনা পারভীন, ব্র্যাকের বিমান হালদার, বিলসের নাসরিন আক্তার, আইন ও সালিশ কেন্দ্রের ফাহমিদা জামান রনি প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

তুমি এটাও পছন্দ করতে পারো

উত্তর দিন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রচার করা হবে না.

WP2Social Auto Publish Powered By : XYZScripts.com