দলগত ত্রাণ তৎপরতায় শীর্ষে ছিল বিএনপি
সাতক্ষীরা জেলা বিএনপির আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট সৈয়দ ইফতেখার আলী বলেছেন, আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মী ও দলীয় চেয়ারম্যান এবং মেম্বাররা সরকারি ত্রাণ ও অর্থ আত্মসাৎ করে নিজেদের পকেট ভারী করেছে। আর বিএনপির নেতা-কর্মীরা নিজেদের পকেটের টাকা দিয়ে মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে। করোনাকালে দলগতভাবে ত্রাণ তৎপরতায় শীর্ষে ছিল সাতক্ষীরা জেলা বিএনপি। করোনার মধ্যে রোজার এক মাস ৩১৫ জনকে রান্না করা খাবার দেওয়া হয়েছে। ২২ দিন অতিবাহিত হওয়ার পর ঘূর্ণিঝড় আম্ফান সাতক্ষীরায় তা-ব হানলে রান্না করা খাবার দেওয়া বন্ধ করতে হয়। পৌরসভার মধ্যে কামাননগর ও বাকালে গাছ পড়ে দুজনের মৃত্যু হয়। তাদের বাড়িতে গিয়ে নিহত পরিবারকে ১০ হাজার করে টাকা অনুদান দেওয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, খুলনা মহানগর বিএনপির নেতা অনিন্দ ইসলাম অমিতের উপস্থিতিতে দলীয় নেতা-কর্মীদের নিয়ে তালা ও ধানদিয়া গ্রামে ক্ষতিগ্রস্ত দুই পরিবারকে ৫০ হাজার টাকা অনুদান দেওয়া হয়। আম্ফানে ক্ষতিগ্রস্ত শ্যামনগর ও আশাশুনিতে বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা রফিকুল ইসলাম বকুলের নিজস্ব অর্থায়নে দুই হাজারের অধিক মানুষকে খাদ্যসহায়তা দেওয়া হয়েছে।
গাবুরা ইউনিয়নে আম্ফানে ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে ত্রাণসামগ্রী বিতরণ করা হয়। শ্যামনগরে ত্রাণ পৌঁছে দিতে গেলে কাশিমারি যাওয়ার পথে স্থানীয় আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ ও যুবলীগের সন্ত্রাসীরা জেলা বিএনপির গাড়ি বহরে হামলা করে দলীয় নেতা-কর্মীদের আহত করে। পরে প্রশাসনের বাধার মুখে ত্রাণতৎপরতা বন্ধ হয়ে যায়। পক্ষান্তরে করোনাকালে সাতক্ষীরায় আওয়ামী লীগ ও যুবলীগ সন্ত্রাসী কর্মকান্ড করে জনসাধারণকে অতিষ্ঠ করে তুলেছে। সরকারদলীয় নেতা-কর্মী ও জনপ্রতিনিধিদের এখন খাই খাই অবস্থা। তারা আখের গোছাতে নিজেদের ব্যস্ত রেখেছে। তাদের কাছ থেকে জনসাধারণ কোনো সেবাই পাচ্ছে না।