খুনিদের ফেরাতে কূটনৈতিক প্রচেষ্টা জোরদার করা হবে: কাদের
বঙ্গবন্ধুর ও জাতীয় চার নেতা হত্যাকাণ্ডে বিদেশে পালিয়ে থাকা খুনিদের ফেরাতে আগামী দিনগুলোতে কূটনৈতিক প্রচেষ্টা আরও জোরদার করা হবে বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
জেলহত্যা দিবস উপলক্ষে রোববার সকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদনের পর সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, দেশের ইতিহাসে কলঙ্কজনক রক্তাক্ত দু’টি ঘটনা- ১৯৭৫ এর ১৫ আগস্ট, এরপর ৩ নভেম্বর। ১৫ আগস্ট ও ৩ নভেম্বর একই সূত্রে গাঁথা। একই ষড়যন্ত্রের ধারাবাহিকতা। এটি জাতির কাছে স্পষ্ট।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর আওয়ামী লীগকে নিশ্চিহ্ন ও নেতৃত্ব শূন্য করে দেয়ার ঘৃণ্য অভিলাসে আমাদের জাতীয় চার নেতা, মুক্তিযুদ্ধের চারজন প্রথম সারির সংগঠককে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়।
বিদেশে পলাতক বঙ্গবন্ধু ও জাতীয় চার নেতার খুনিদের প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আজকে যারা খুনি, তাদের দণ্ড কার্যকর হয়েছে। যাদের দণ্ড কার্যকর হয়নি, তারা বিদেশে পলাতক। তাদের ফিরিয়ে আনতে চেষ্টা চলছে। এই কূটনৈতিক প্রয়াস সামনের দিনগুলোতে আরও বাড়বে।
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘কোনো কোনো দেশে আইনে সমস্যা আছে। তাদের দেশে মৃত্যুদণ্ডের কোনো বিধান নেই। ফাঁসির আসামি বিধায় তাদের ফিরিয়ে আনতে অসুবিধা হচ্ছে। তবুও বিভিন্ন দেশে যারা রাষ্ট্রপ্রধান, সরকারপ্রধান, উচ্চ পর্যায়ে তাদের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা চলছে। তাদের কীভাবে ফিরিয়ে আনা যায়।’
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আজকে আমাদের শপথ হবে তাদের যে স্বপ্ন, শহীদদের স্বপ্ন, বঙ্গবন্ধু ও জাতির পিতার যে স্বপ্ন, সে স্বপ্নের অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ, প্রধানমন্ত্রী আমাদের নেত্রী, দেশরত্ন শেখ হাসিনার নেতৃত্বে অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গড়া এটা আমাদের অঙ্গীকার।’
উল্লেখ্য, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যার ধারাবাহিকতায় ৩ নভেম্বর বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক সহকমী জাতীয় চার নেতা সৈয়দ নজরুল ইসলাম, তাজউদ্দিন আহমেদ, ক্যাপ্টেন এম মনসুর আলী ও এ এইচ এম কামরুজ্জামানকে জেলখানার অভ্যন্তরে গুলি করে ও বেয়োনেট দিয়ে খুঁচিয়ে খুঁচিয়ে নির্মমভাবে হত্যা করে ঘাতকচক্র।