নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার, মিন্নিসহ সব আসামীদের সাজা চাইলেন রিফাতের বোন

0

বরগুনার বহুল আলোচিত শাহনেওয়াজ রিফাত শরীফ হত্যা মামলার প্রাপ্তবয়স্ক ১০ আসামীর বিরুদ্ধে আজ বুধবার রায় ঘোষণা করবেন বরগুনার জেলা ও দায়রা জজ আদালত। এ হত্যা মামলার রায়কে কেন্দ্র করে আদালত পাড়াসহ জেলা কারাগারকে ঘিরে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে।

পুলিশ সুপারের কার্যালয় ও আদালত প্রাঙ্গনে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের উপস্থিতি বেড়েছে। আদালতপাড়া ঘিরে বিভিন্ন সড়কে ব্যারিকেড বসানো হয়েছে।

রিফাতের বোন ইসরাত জাহান মৌ বলেন, আমরা ভাইয়াকে তো আর ফিরে পাব না। মিন্নিসহ সব খুনির দৃষ্টান্তমূলক সাজা হলে কিছুটা শান্তি পাব। ভাইয়ার আত্মাও শান্তি পাবে।

তিনি বলেন, আমরা দুই ভাই-বোন। ভাই ছিল কলিজার টুকরা। ভাই ছিল আমার সাহস ও ভরসা। ভাইকে হারিয়ে আজ আমরা নিঃস্ব। ভাইয়ের হত্যাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক বিচার চাই।

বহুল আলোচিত বরগুনার রিফাত শরীফ হত্যা মামলার রায়ের অপেক্ষায় তার পরিবার। করোনার সংক্রমণে আদালত বন্ধ থাকাসহ দীর্ঘ এক বছরের বিচারিক কার্যক্রম শেষে আজ বুধবার রায়ের দিন ধার্য করেন বিচারক। বরগুনার জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. আছাদুজ্জামানের আদালত এ রায় ঘোষণা করবেন।

১৬ সেপ্টেম্বর রায়ের জন্য ৩০ সেপ্টেম্বর দিন ধার্য করেন আদালত। আয়েশা সিদ্দিকা মিন্নিসহ এ মামলার সব আসামির দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চায় রিফাতের পরিবার। রাষ্ট্রপক্ষের প্রত্যাশা, ১০ আসামিকে সর্বোচ্চ সাজা দেবেন আদালত।

মামলার বাদী রিফাতের বাবা আবদুল হালিম দুলাল শরীফ বলেন, অপরাধ করে কেউ পার পাবে না। কেউ আইনের ঊর্ধ্বে নন, এটাই প্রমাণ হোক। রাষ্ট্র বিচার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিয়ে দেশবাসীকে জানিয়ে দিক, অপরাধ করে কেউ বাঁচতে পারে না। মিন্নিসহ সব আসামির শাস্তি চাই আমরা।

তিনি আরো বলেন, দেশের বিচার ব্যবস্থার ওপর আমাদের আস্থা আছে। আদালত রিফাতের খুনের সঙ্গে জড়িতদের এমন শাস্তি দিক যাতে আমরা স্বস্তি পাই।

রিফাতের মা ডেইজি আক্তার বলেন, আমি সব আসামির ফাঁসি চাই। এমন জঘন্য হত্যাকাণ্ড যেন আর না হয়। আমার মতো আর কোনও মায়ের বুক যেন খালি না হয়।

২০১৯ সালের ২৬ জুন বরগুনা সরকারি কলেজের সামনে শত শত লোকের উপস্থিতিতে স্ত্রীর সামনে রিফাত শরীফকে (২৫) কুপিয়ে হত্যা করা হয়। পরে রিফাতকে কুপিয়ে হত্যার একটি ভিডিও ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়লে ভাইরাল হয়।

ঘটনার পরদিন ১২ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরও পাঁচ-ছয়জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন রিফাতের বাবা আবদুল হালিম দুলাল শরীফ। ওই বছরের ১ সেপ্টেম্বর ২৪ জনকে অভিযুক্ত করে প্রাপ্ত ও অপ্রাপ্তবয়স্ক দু’ভাগে বিভক্ত করে আদালতে প্রতিবেদন দেয় পুলিশ। এর মধ্যে প্রাপ্তবয়স্ক ১০ জন এবং অপ্রাপ্তবয়স্ক ১৪ জনকে আসামি করা হয়। মামলার চার্জশিটভুক্ত প্রাপ্তবয়স্ক আসামি মো. মুসা এখনও পলাতক।

রিফাত হত্যা মামলার প্রাপ্তবয়স্ক আসামিরা হলেন, রাকিবুল হাসান রিফাত ফরাজি, আল কাইউম ওরফে রাব্বি আকন, মোহাইমিনুল ইসলাম সিফাত, রেজওয়ান আলী খান হৃদয় ওরফে টিকটক হৃদয়, মো. হাসান, মো. মুসা, আয়েশা সিদ্দিকা মিন্নি, রাফিউল ইসলাম রাব্বি, মো. সাগর এবং কামরুল ইসলাম সাইমুন।

তুমি এটাও পছন্দ করতে পারো

উত্তর দিন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রচার করা হবে না.

WP2Social Auto Publish Powered By : XYZScripts.com