আ.লীগ জনগণের জনগণের ভোটে ক্ষমতায় আসেনি, এসেছে ভোট ডাকাতি করে: মান্না
নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না বলেছেন, ‘আমাদের সরকারপ্রধান গতকাল বক্তৃতা করেছেন উনি জনগণের আরো সেবা করতে চান। ১২ বছর সেবা করেছেন। পথে ঘাটে থেকে মেয়ে মানুষ তুলে নিয়ে যায় আপনার সোনার ছেলেরা। গতকালও চট্টগ্রামে দুইটা ধর্ষণ হয়েছে। নারায়ণগঞ্জে হয়েছে। আপনি আমাদেরকে মাফ করে দেন। আর আওয়ামী লীগের সেবা চাই না। আর আপনার সেবা চাই না। আপনি জনগণের রায় নেন, ভোট দেন, গদি থেকে নেমে চলে যান। জনগণ নিজেদের মুক্তি পথ খুঁজে নেবে।’
মান্না আরও বলেন, ‘আসুন এই আওয়াজ তুলি এই সরকার আর না। যত তাড়াতাড়ি বিদায় নেবে তার স্বপক্ষে আমরা সবাই ঐক্যবদ্ধ হই, আন্দোলন গড়ে তুলি।’
গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে এক মানববন্ধন কর্মসূচিতে তিনি এসব কথা বলেন।
শহীদ জিয়াউর রহমানের অবদানকে খাটো করা, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক অধ্যাপক মোর্দেশ হাসান খান ও জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক কে এম ওহায়েদুজ্জামান এ্যাপেলোকে চাকরি থেকে অব্যাহতি এবং এমসি কলেজসহ বিভিন্ন স্থানে নারী নির্যাতনের প্রতিবাদে সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদের উদ্যোগে এই মানববন্ধন হয়।
মান্না বলেন, ‘এদের (ক্ষমতাসীন ছাত্র সংগঠন) হাতে দেশের মা-বোন নিরাপদ নয়। ফেসবুকের মধ্যে খালি পোস্টারে লেখায় সয়লাব হয়ে গেছে- ‘স্ত্রীকে নিয়ে, প্রেমিকাকে নিয়ে কোথাও যদি বেড়াতে যান, আগে খোঁজ নেবেন ওইখানে ছাত্রলীগ আছে কিনা।’
‘বাংলাদেশে সেখানে যান মানুষের জীবন নিরাপদ নাই। এই করোনায় কত মানুষ বেকার হয়ে গেছে মানুষের কাজ চলে গেছে। তাদের পেটে ক্ষুধার আগুন। আর আপনার সবাই এই ফ্লাইওভারের পিলার দেখাচ্ছেন, পদ্মসেতুর স্পেন দেখাচ্ছেন।ওটা দিয়ে খিদে যায়? উন্নয়ন মানে জীবন সুখকর হবে, জীবন সুন্দর হবে, জীবন নিরাপদ হবে। আমি আমার ইচ্ছামতো, মনের মতো প্রকাশ করতে পারবো, লিখতে পারবো, বলতে পারবো, কথা বলতে পারবো- বাংলাদেশে এর কোনোটাই নাই’, বলেন তিনি।
মান্না বলেন, যারা ক্ষমতায় আছে তারা জনগণের কথায় আসেনি, ২৯ ডিসেম্বর ৩০ তারিখের ভোট ডাকাতি করে নিয়ে চলে গেছে। ডাকাতরা এখন ক্ষমতায়। এই ডাকাতদের সরাতে হবে। সেজন্য আজ সমস্ত মানুষের কাছে বলি, কোনো মানুষ মানুষের স্ত্রী, মানুষের বোন মানুষের মা যদি তার বয়স কম হয় তিনি নিরাপদ নন। কোনো পঙ্গু মানুষ কাঁদলেও যে সরকার আছে তারা তাকায় না, তাদের জন্য রাষ্ট্র-সরকার এগিয়ে আসে না।
বাংলাদেশ সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদের আহ্বায়ক শওকত মাহমুদের সভাপতিত্বে ও পরিষদের সদস্য সচিব প্রফেসর ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেনের সঞ্চালনায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান, বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি রুহুল আমিন গাজী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. আ ফ ম ইউসুফ হায়দার, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি কাদের গনি চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের সাদা দলের আহ্বায়ক প্রফেসর ড. ওবায়েদুল ইসলাম, শিক্ষক-কর্মচারী ঐক্যজোটের চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ সেলিম ভূঁইয়া, ইঞ্জিনিয়ার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার রিয়াজুল ইসলাম রিজু, কৃষিবিদ শামীমুর রহমান শামীম, সাংস্কৃতিক জোটের সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম, জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন শ্যামল, সাবেক সাধারণ সম্পাদক আকরামুল হাসান মিন্টু, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের আহ্বায়ক রাকিবুল ইসলাম রাকিব।