‘জিয়াউর রহমানকে নিয়ে মিথ্যা নাটক প্রচার খারাপ দৃষ্টান্ত’ এটা দেশ ও গণতন্ত্রের জন্য ক্ষতিকর

0

টিভিতে জিয়াউর রহমানকে নিয়ে নাটক প্রচার করে সরকার যে খারাপ দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে সেটা ভবিষ্যতে যেন পুনরাবৃত্তি না হয়। এটা দেশ ও গণতন্ত্রের জন্য ক্ষতিকর।

মঙ্গলবার (২৯ সেপ্টেম্বর) দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বাংলাদেশ সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদের (বিএসপিপি) উদ্যোগে টিভিতে নাটক প্রচার করে জিয়াউর রহমানকে খাটো করা, ঢাবির অধ্যাপক ড. মোর্শেদ হাসান খান ও এ কে এম ওয়াহিদুজ্জামানকে চাকরি থেকে অব্যাহতির প্রতিবাদে পেশাজীবী সমাবেশ ও মানববন্ধনে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান একথা বলেন।

নজরুল ইসলাম বলেন, টিভিতে রাজনীতিবিদদের চরিত্র হননকে মানুষ রাজনীতিতে খুব খারাপ দৃষ্টান্ত হিসেবে মনে করে। যে খারাপ দৃষ্টান্ত আপনারা স্থাপন করলেন এই দৃষ্টান্ত ভবিষ্যতে যেন আর পুনরাবৃত্তি না হয়। এভাবে রাজনীতিবিদদের চরিত্র হনন করে আমরা রাজনীতি সম্পর্কে মানুষকে নিরুৎসাহিত করে দিচ্ছি। যেটা দেশ ও গণতন্ত্রের জন্য ক্ষতিকর।

‘জিয়াউর রহমান সম্পর্কে একটি নাটক আওয়ামী লীগের একজন এমপির মালিকানাধীন টিভি চ্যানেলে প্রচারিত হয়েছে। তাদের বলতে চাই, আপনারাতো কিছুই না, আপনাদের চেয়ে বড় বড় লোকেরা জিয়াউর রহমান, খালেদা জিয়া, তারেক রহমান সম্পর্কে অপপ্রচার চালাচ্ছে। তাতে কি জনগণ জিয়াকে ভুলে গেছে? নাকি খালেদা জিয়ার জনপ্রিয়তা কমেছে?’ 

নজরুল ইসলাম বলেন, আমরা জানি গণতন্ত্রের জন্য আপনাদের আবেগ কম। কিন্তু বাংলার মানুষের কাছে গণতন্ত্রের আবেগ অনেক বেশি। কারণ এই গণতন্ত্রই হলো আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধের গৌরব। আমরা রক্ত দিয়ে গণতন্ত্র এনেছি, আবারও রক্ত দিয়ে গণতন্ত্র রক্ষা করবো।  

যাদের অন্যায়ভাবে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে তাদের চাকরিতে পুনর্বহালের দাবি জানিয়ে তিনি বলেন, সেটা আজ যদি বাস্তবায়ন না হয়, আগামীতে হবে। কিন্তু আমাদের সমস্যা একটা না। আমরা অসংখ্য সমস্যায় জর্জরিত। কোভিডের কারণে আমরা মাস্ক পরি। কিন্তু যারা আজ ক্ষমতায় আছে, তাদের আরও বেশি মাস্ক পরা দরকার।  

নাগরিক ঐক্যর আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, ছাত্রলীগের মানিক জাহাঙ্গীরনগরে যখন ধর্ষণের সেঞ্চুরি করেছিল আপনারা বললেন সে ছাত্রদল থেকে জয়েন করেছে। সিলেটে যখন ছাত্রলীগ ধরা পড়ে তখন বলেন শিবির করে। তাহলে আপনারা এদের দলে কেন নিলেন। নেওয়ার সময় মজা লাগে। যখন স্বাদ তিতা হয়ে যায় তখন ইতিহাস পাল্টে দেওয়ার চেষ্টা করেন।

তিনি বলেন, এদের হাতে আজকে কোনো মা-বোন নিরাপদ নয়। মা-বোন-প্রেমিকাকে নিয়ে কোথাও বেড়াতে গেলে আগে খোঁজ নেবেন ওখানে ছাত্রলীগ আছে কিনা।

সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদের ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক জাতীয় প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি সাংবাদিক শওকত মাহমুদের সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব অধ্যাপক ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেনের পরিচালনায় সমাবেশে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন বিএফইউজের একাংশের সভাপতি সাংবাদিক রুহুল আমিন গাজী, ঢাবির সাবেক প্রো-ভিসি আফম ইউসুফ হায়দার, ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ড্যাব) সভাপতি অধ্যাপক ডা. হারুন আল রশিদ ও মহাসচিব ডা. আব্দুস সালাম, ঢাবি সাদা দলের আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. ওবায়দুল ইসলাম, প্রকৌশলী রিয়াজুল ইসলাম রিজু, ডিইউজের একাংশের সভাপতি কাদের গণি চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম, শিক্ষক-কর্মচারী ঐক্যজোটের চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ সেলিম ভূইয়া জাতীয়তাবাদী সাংস্কৃতিক জোটের মহাসচিব রফিকুল ইসলাম, বিএনপির সহ-প্রচার সম্পাদক কৃষিবিদ শামীমুর রহমান শামীম, ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন শ্যামল প্রমুখ।

তুমি এটাও পছন্দ করতে পারো

উত্তর দিন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রচার করা হবে না.

WP2Social Auto Publish Powered By : XYZScripts.com