আ’লীগ নেতার গুদাম থেকে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির চাল ও কার্ড উদ্ধার
বগুড়া ধুনটে আওয়ামী লীগ নেতা নবাব আলীর রাইচ মিলে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির ৫১ বস্তা চাল ও ২৩০টি কার্ড উদ্ধার করেছে র্যাব-১২।
সোমবার বিকালে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) আব্দুল্লাহ আল রনির নেতৃত্বে এ অভিযান পরিচালনা করা হয়।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জানান, এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তার নেতৃত্বে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছেন। উদ্ধারের বিষয়টি তদন্তাধীন রয়েছে; এখনই এটাকে দুর্নীতি বলা সম্ভব নয়।
জানা গেছে, ধুনটের বেড়েরবাড়ি গ্রামে নিমগাছি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক নবাব আলীর তিন ভাই ট্রেডার্স অ্যান্ড সেমি অটো রাইচ মিল রয়েছে। একই ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক আবদুল হামিদ ওই গ্রামের খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির ডিলার।
সোমবার বিকালে ধুনট উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) আবদুল্লাহ আল রনির নেতৃত্বে ভ্রাম্যমাণ আদালত র্যাব সদস্য ও খাদ্য বিভাগের কর্মকর্তাদের নিয়ে রাইচ মিলে অভিযান চালান। তাদের সঙ্গে উপজেলা খাদ্য পরিদর্শক আমিনুল ইসলাম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। সেখান থেকে ৩০ কেজির ৫১ বস্তা চাল এবং ২৩০টি কার্ড পাওয়া যায়।
উপজেলা খাদ্য পরিদর্শক জানান, নিমগাছী ইউনিয়নের বেড়েরবাড়ি গ্রামের মজিবর রহমানের ছেলে আবদুল হামিদ খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির ডিলার। তার আওতায় ৭১০ জন দুস্থ মানুষ ১০ টাকা কেজি দরে চাল পেয়ে থাকেন। তিনি গত ২০ সেপ্টেম্বর ধুনট খাদ্য গুদাম থেকে ২১ হাজার ৩০ কেজি চাল উত্তোলন করেন। সোমবার চালগুলো দুস্থদের মাঝে বিক্রি করা হচ্ছিল। পরিদর্শনকালে উপকারভোগীদের মধ্যে থেকে ২৩০টি ‘কার্ড’ জব্দ করা হয়। এছাড়া খাদ্য বান্ধব কর্মসূচির ৫১ বস্তা চাল পাওয়া গেছে।
উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) আবদুল্লাহ আল রনি বলেন, চাল ও কার্ডগুলো জব্দ করে খাদ্য বিভাগের জিম্মায় রাখা হয়েছে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সঞ্জয় কুমার মহন্ত তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছেন। চাল ও কার্ডগুলো অবৈধভাবে মজুদ করা হয়েছিল কী না তদন্ত শেষ হলে তা নিশ্চিত হওয়া যাবে। অভিযোগের সত্যতা পেলে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
নিমগাছি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মামুনুর রশিদ জানান, রাইচ মিল মালিক নবাব আলী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক এবং আবদুল হামিদ ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক।