ছাত্রলীগ নেতা ও মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের সভাপতি ধর্ষক রবিউলের যতো অপকর্ম
সিলেটের প্রাচীনতম ঐতিহ্যবাহী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমসি কলেজ ছাত্রাবাসে স্বামীকে আটকে রেখে স্ত্রীকে গণধর্ষণের ঘটনায় দায়ের মামলার ৫ নম্বর আসামি ছাত্রলীগ নেতা রবিউল হাসান মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের এমসি কলেজ শাখার সভাপতি।
ধর্ষক রবিউল জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক যুব ও ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট রণজিৎ সরকারের গ্রুপের বলে জানাগেছে।
গত বছরের ৯ ডিসেম্বর সংগঠনটির কেন্দ্রীয় আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. আ ক ম জামাল উদ্দিন মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চ এমসি কলেজ শাখার ৪২ সদস্যের আংশিক কমিটির অনুমোদন দেন। এতে সভাপতি হিসেবে রবিউল হাসান এবং সাধারণ সম্পাদক হিসেবে সোহেব মামুন নির্বাচিত হন।
রবিউল হাসান ও তার সঙ্গিরা সিলেট এমসি কলেজ ক্যম্পাসে নানা ধরনের অপকর্ম করে বেড়াত।
এমসি কলেজের একাধিক শিক্ষার্থী গণমাধ্যমকে জানান, আদাব সালাম না দিলে শিক্ষার্থীদের মারধর করে আহত করতে রবিউল ও তার সঙ্গিরা। শুধু তাই নয়, মোটরসাইকেল চালিয়ে যাওয়ার সময় রাস্তা ফাঁকা পেলেই নারী শিক্ষার্থীদের ওড়না ধরে টান মারা, মদ-জোয়া, ইয়াবা সেবন ও বিক্রি, বিনা কারণে শিক্ষার্থীদের লাঞ্ছনা, হোস্টেলে জোরপূর্বক বসবাস, মিল না দিয়ে বন্ধুবান্ধবসহ খাওয়া, হোস্টেলের সিট বিক্রিসহ নানা ধরনের অপরাধের সাথে জড়িত ছিল রবিউল।
এছাড়া রবিউল ও তার সহযোগিরা টিলাগড়সহ নগরীর বিভিন্ন এলাকা থেকে চাঁদা আদায়, ছিনতাইয়ের সাথে জড়িত ছিলেন। তবে তাদের বিরুদ্ধে কথা বললেই ধরে নিয়ে মারধর করা হতো এবং এমনকি হত্যার হুমকিও দেওয়া হতো। তাদের যন্ত্রণায় অতিষ্ঠ হয়ে ছাত্র হোস্টেল ছেড়ে যেত বাধ্য হয়েছে অনেকে।
শুক্রবার সিলেটের এমসি কলেজে স্বামীর সঙ্গে বেড়াতে গিয়ে ধর্ষণের শিকার হন এক তরুণী। সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে ভর্তি রয়েছেন ওই তরুণী। এঘটনায় ছাত্রলীগের ৬ নেতাকর্মীসহ ৯ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।
মামলার আসামিরা হল- এমসি কলেজ ছাত্রলীগের নেতা ও ইংরেজি বিভাগের মাস্টার্সের ছাত্র শাহ মাহবুবুর রহমান রনি, মাহফুজুর রহমান মাছুম, এম সাইফুর রহমান, অর্জুন এবং বহিরাগত ছাত্রলীগ কর্মী রবিউল এবং তারেক আহমদ।