ধর্ষকদের ধরতে নজরদারিতে সিলেট সীমান্ত
সিলেটের ১২৮ বছরের ঐতিহ্যবাহী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমসি কলেজের ছাত্রাবাসে স্বামীকে আটকে রেখে স্ত্রীকে গণধর্ষণের ঘটনায় জড়িতদের ধরতে কঠোর অবস্থানে রয়েছেন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। সীমান্ত এলাকায় সর্তকবার্তা পাঠানোর পাশাপাশি সিলেট রেঞ্জের পুলিশ ও মহানগর পুলিশের সব থানায় ধর্ষকদের ছবি পাঠিয়ে এ ব্যাপারে সতর্ক থাকার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। এরমধ্যে ধর্ষণ মামলার আসামিদের গ্রামের বাড়িতেও নজরদারি বাড়ানো হয়েছে।
এছাড়া সম্ভাব্য বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে পুলিশের একাধিক দল। ধর্ষকদের গ্রেফতারে ইতোমধ্যে মহানগর পুলিশের সাতটি দল বিভিন্ন ধাপে কাজ করে যাচ্ছে। এছাড়া সিলেট বিভাগের সবগুলো থানা পুলিশ আসামিদের গ্রেফতারে সোর্সের মাধ্যমে নজরদারি বাড়িয়েছে।
ইতোমধ্যে আজ সকালে সুনামগঞ্জের ছাতক খেয়াঘাট এলাকা থেকে গণধর্ষণ ও অস্ত্র মামলার প্রধান আসামি সাইফুর রহমানকে গ্রেফতার করেছে ছাতক থানা পুলিশ। তাকে শাহপরাণ থানায় নিয়ে এসেছে পুলিশ। গ্রেফতার সাইফুর সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক যুব ও ক্রীড়া সম্পাদক রণজিৎ সরকার বলয়ের অনুসারী ও সিলেট জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সদস্য নাজমুল ইসলাম সমর্থিত ছাত্রলীগ কর্মী। সে বালাগঞ্জ উপজেলার চান্দাই পাড়া গ্রামের তাহমিদ মিয়ার ছেলে।
একটি সূত্র জানিয়েছে, আসমিদের গ্রেফতার করার জন্য ইতোমধ্যে বেশ কয়েকজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে।
সিলেট রেঞ্জের ডিআইজি অফিসের পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যানালাইসিস) জেদান আল মুসা বলেন, সিলেট বিভাগের সবগুলো থানা পুলিশকে আলোচিত ধর্ষণ মামলার আসামিদের ব্যাপারে সতর্কদৃষ্টি রাখতে বলা হয়েছে। কোনো আসামি যাতে পালাতে না পারে তার জন্য নজরদারি বাড়ানোরও নির্দেশ দিয়েছেন ডিআইজি।
সিলেট মহানগর পুলিশের উপ-পুলিশ কমিশনার (গণমাধ্যম) জ্যোতির্ময় সরকার বলেন, পুলিশ ধর্ষণ মামলার আসামিদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রেখেছে। তাদের নানা বিষয়ে খোঁজ নেয়া হচ্ছে। ইতোমধ্যে মাঠে পুলিশের একাধিক দল কাজ করছে।
সিলেট জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ ফরিদ উদ্দিন বলেন, সিলেট জেলা পুলিশের সব থানাকে সতর্ক থাকার পরামর্শ দেয়া হয়েছে। এছাড়া আসামিরা যাতে সীমান্ত এলাকা ব্যবহার করে পালাতে না পারে সেজন্য সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে থানা পুলিশকে।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা শাহপরাণ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (তদন্ত) ইন্দ্রনীল ভট্টাচার্য বলেন, পুলিশ ইতোমধ্যে বেশ কয়েকটি জায়গায় অভিযান চালিয়েছে। কিন্তু আসামিরা স্থান পরিবর্তন করায় পুলিশ তাদের খোঁজ পাচ্ছে না। তবে পুলিশ দোষীদের ধরতে তৎপর রয়েছে।