কেনাকাটায় লুটপাট: মন্ত্রণালয়গুলোকে সতর্ক থাকার নির্দেশ
মাঝেমধ্যেই সরকারের বিভিন্ন প্রকল্পের যন্ত্রপাতি বা আসবাবপত্র কেনাকাটাযর নামে ব্যাপক দুর্নীতি-লুটপাট আলোচনায় এসেছে দেশব্যাপী। যা সরকারকে ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়তে হয়েছে। এর প্রেক্ষিতে এবার কঠোর হলো সরকার।
সরকারি প্রকল্পের কেনাকাটায় আর যেন ‘অস্বাভাবিক মূল্য’ দেখানো না হয় সেজন্য প্রকল্প যাচাই-বাছাইয়ের ক্ষেত্রে অধিকতর সচেতনতা অবলম্বনসহ ৬ দফা নির্দেশনা দিয়েছে সরকার।
প্রকল্পে অস্বাভাবিক পণ্যমূল্যের প্রস্তাব করা নিয়ে সমালোচনার পর মন্ত্রণালয়/বিভাগগুলোর বাজেটে বরাদ্দ করা সিলিংয়ের (ব্যয়সীমা) মধ্যে প্রকল্প গ্রহণ সংক্রান্ত নির্দেশনা দিয়েছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। সব মন্ত্রণালয় ও বিভাগের সচিবদের কাছে গত সোমবার এ সংক্রান্ত চিঠি পাঠানো হয়েছে।
চিঠিতে বলা হয়েছে, মন্ত্রণালয়/বিভাগগুলোর বাজেটে সংশ্লিষ্ট অর্থবছরে প্রকল্প গ্রহণের জন্য ‘অননুমোদিত প্রকল্পের জন্য সংরক্ষিত সাধারণত থোক বরাদ্দ’ খাতে ও প্রক্ষেপণের অর্থবছরে প্রয়োজনীয় অর্থ বরাদ্দ করা হয়। সম্প্রতি লক্ষ করা যাচ্ছে, বিভিন্ন মন্ত্রণালয়/বিভাগ তাদের মধ্যমেয়াদি বাজেট কাঠামোর আওতায় সংশ্লিষ্ট অর্থবছরে সিলিংবহির্ভূতভাবে প্রকল্প গ্রহণ করছে।
এতে সরকারের রাজস্ব আয়ের সঙ্গে চলমান প্রকল্পের বরাদ্দ সামঞ্জস্যতা থাকছে না। এছাড়া সিলিংবহির্ভূত প্রকল্প গ্রহণ করায় সব প্রকল্পে প্রয়োজন অনুযায়ী বরাদ্দ দেয়া সম্ভব হচ্ছে না। প্রাক্কলন ও প্রক্ষেপণের বাইরে প্রকল্প গ্রহণ সরকারের সুষ্ঠু আর্থিক ব্যবস্থাপনার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়। এমতাবস্থায় মন্ত্রণালয়/বিভাগগুলোকে ছয়টি বিষয়ে সজাগ থাকার জন্য অনুরোধ জানানো হয়।
বিষয়গুলো হল:
১.মন্ত্রণালয়/বিভাগগুলোকে তাদের মধ্যমেয়াদি বাজেট কাঠামোর আওতায় প্রাক্কলন ও প্রক্ষেপণের অর্থবছরে বরাদ্দ করা সিলিংয়ের মধ্যে থেকে প্রকল্প গ্রহণ করা। ২. বিনিয়োগ প্রকল্পের ক্ষেত্রে ৫০ কোটি টাকার ঊর্ধ্বে প্রকল্পে আবশ্যিকভাবে বাস্তবায়নের সম্ভাব্যতা যাচাই করা। ৩. প্রকল্প যাচাই-বাছাইয়ের ক্ষেত্রে অধিকতর সচেতনতা অবলম্বন করা, যাতে কোনো পণ্য বা দ্রব্যের অস্বাভাবিক বাজারমূল্য প্রদর্শিত না হয়। ৪. জি-টু-জি ভিত্তিতে গৃহীত প্রকল্পে জিওবি (সরকারি বরাদ্দ) অর্থে পরামর্শক নিয়োগের ব্যবস্থা রাখা। ৫. প্রকল্প বাছাই/অনুমোদনের সময় বিষয়গুলোতে অধিকতর সচেতনতা অবলম্বন করা। ৬. রাষ্ট্রীয় ও জনগুরুত্বপূর্ণ বিশেষ প্রকল্পের ক্ষেত্রে অতিরিক্ত অর্থের প্রয়োজন হলে আগেই অর্থ বিভাগের সম্মতি নেয়া।