একজন নারী যদি সেনাবাহিনীর প্রধান হিসেবে নিয়োগ পান- তাহলে কেমন হয়!
একজন নারী যদি দেশের সেনাবাহিনীর প্রধান হিসেবে নিয়োগ পান- তা হলে কেমন হয়! জাস্টিন ট্রুডোর মাথায় না কি এমন চিন্তা প্রবলভাবে ঘুরপাক খাচ্ছে। আগামী ২০ নভেম্বর লিবারেল সরকারের নতুন যে মন্ত্রীসভা শপথ নেবে- সেটি নারী পুরুষের সমতাভিত্তিক হবে -এটি আগে ভাগেই জাস্টিন ট্রুডো জানিয়ে দিয়েছেন । কিন্তু ‘নারী পুরুষের সমতাটা কিভাবে হবে, সেটা কি কেবল সংখ্যায় সমান, না কি ক্ষমতায়ও সমান- সেটি নিয়ে তুমুল আলোচনা চলছে লিবারেলের নীতি নির্ধারনী বলয়ে। সেই আলোচনায় ‘কানাডার প্রতিরক্ষার দায়িত্ব’ দুই জন নারীর উপর ছেড়ে দেয়ার সম্ভাবনা নিয়েও আলোচনা হচ্ছে।
গত মেয়াদে লিবারেল সরকার দায়িত্ব নেয়ার পর থেকেই হারজিত সাজ্জাম প্রতিরক্ষা মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। কয়েক দফা মন্ত্রী সভায় রদবদল হলেও সে সব ধাক্কা তাকে ছুঁতে পারেনি। কিন্তু এবার আর তিনি থাকছেন না- এটা প্রায় নিশ্চিত। তার স্থলাভিষিক্ত হচ্ছেন একজন নারী- এমন আলোচনা শোনা যায়- লিবারেল মহলে।প্রতিরক্ষা মন্ত্রীর পাশাপাশি সেনাবাহিনী প্রধান – চিফ অব ডিফেন্স স্টাফ হিসেবেও একজন নারীকে নিয়োগের কথাবার্তা হচ্ছে বলে জানা যায়। বর্তমান সেনাবাহিনী প্রধান নিয়োগ পেয়েছিলেন স্টিফেন হারপারের কনজারভেটিভ সরকারের আমলে। জাস্টিন ট্রুডোর লিবারেল সরকারের পুরো মেয়াদেই তিনি সেনাবাহিনী প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। জেনারেল জনাথন ভান্সই এতোটা দীর্ঘ সময় সেনাপ্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। ‘কনজারভেটিভ সরকারের আমলে নিয়োগ হয়েছিলো বলেই লিবারেল সরকার এসে তাকে সরিয়ে দেয়নি।
নারী সেনাপ্রধান আর নারী প্রতিরক্ষামন্ত্রীর ভাবনাটা শেষ পর্যন্ত বাস্তব হবে কী না- তা দেখার জন্য আমাদের ২০ নভেম্বর পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হচ্ছে।